“একটা সার্কেলের সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত”—তথ্য উপদেষ্টার বিস্ফোরক অভিযোগ ঘিরে উঠছে রাজনৈতিক তোলপাড়
PoriPurno News Desk | ২ আগস্ট ২০২৫
গতকাল গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের একটি পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোড়ন। গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তাঁর স্ট্যাটাসে দাবি করেছেন—“একটি সার্কেলের প্রায় সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত”, এবং এই সার্কেলটি তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত কারণ তিনি নিজে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন।
এই বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে একাধিক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে:
কে এই “একটা সার্কেল”?
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নিজে যেহেতু সরকারের অভ্যন্তরে আছেন, তাহলে এই দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচনে তাঁর পদক্ষেপ কী?
তিনি কি নিজে এই সার্কেলের সদস্য ছিলেন বা আছেন?
এই বক্তব্য স্বাভাবিকভাবেই সরকারি দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা এবং আইনের শাসন প্রশ্নে জনগণের মনে সংশয় তৈরি করছে।
“এরা কারা?”—তথ্য থাকার পরেও নীরব কেন উপদেষ্টা?
জনগণের দাবির কেন্দ্রে এখন এই প্রশ্ন—তথ্য উপদেষ্টা যেহেতু একটি দুর্নীতিগ্রস্ত চক্রের কথা বলছেন, তাহলে এই চক্রের সদস্যদের নাম–পরিচয় প্রকাশ করছেন না কেন? গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা বদলের পরও যদি “ফ্রি–হ্যান্ড দুর্নীতি” চলতে পারে, তাহলে সেই চক্রের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বিলম্ব কেন?
অনেকে সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন, এমন অভিযোগ জানার পরও নীরবতা কি রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের খেয়ানত নয়?
নাগরিক পার্টির এক্টিভিস্ট আব্দুল্লাহিল বাকির মন্তব্য ও বিতর্ক
মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্টে নাগরিক পার্টির (NCP) এক পরিচিত এক্টিভিস্ট আব্দুল্লাহিল বাকি মন্তব্য করেন—“মাহফুজ কেন নিজের দলের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করেছেন?” এখানে ‘নিজের দল’ বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন—তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
পরবর্তীতে এই মন্তব্য এডিট করে তিনি “নিজের ভাই–ব্রাদারদের দল” লেখেন। কিন্তু প্রথম ভার্সনের মন্তব্য স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এই মন্তব্য থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধে:
- মাহফুজ আলম কি NCP–এর অন্তর্গত?
- যদি তাই হয়, তাহলে তিনি যাকে “দুর্নীতিগ্রস্ত সার্কেল” বলেছেন, তা কি NCP বা এর সংশ্লিষ্টদের দিকেই ইঙ্গিত?
আপ বাংলাদেশের কড়া প্রতিক্রিয়া
ঘটনার পরপরই আপ বাংলাদেশ একটি স্পষ্ট বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়:
“আমাদের দলের কেউ যদি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকে এবং তথ্য উপদেশ্তার কাছে তা প্রমাণসহ থাকে, তবে আমরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে মামলা ও গ্রেফতার দাবি করছি।”
তারা আরও জানায়, আপ বাংলাদেশের জন্মই হয়েছে দুর্নীতি ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য, সুতরাং এ ধরণের অভিযোগে দল কোনোভাবেই আপস করবে না।
প্রশ্নের কেন্দ্রে মাহফুজ আলম ও NCP
মাহফুজ আলম ও নাগরিক পার্টির সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, অতীতে একাধিক সংবাদ সম্মেলনে NCP–এর আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, “মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ আমাদের দলের কেউ নন।”
তবে আব্দুল্লাহিল বাকির মন্তব্য ঘিরে সেই দাবি এখন প্রশ্নের মুখে।
- মাহফুজ আলম যদি NCP–এর অংশ হয়ে থাকেন, তাহলে “একটা সার্কেল” বলতে কী তিনি নিজের রাজনৈতিক মহলকেই বুঝিয়েছেন?
- যদি না হন, তবে তাঁকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে—তিনি NCP–এর কেউ নন, এবং কোন সার্কেলের দুর্নীতির কথা বলছিলেন।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টি
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের বক্তব্য ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির পক্ষ থেকে আসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু শুধুমাত্র ইঙ্গিত দিয়ে বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখলে তা “পাবলিক ডিসট্রাস্ট” ও “কনফিউশন” তৈরি করবে।
তাঁদের মতে, এখনই মাহফুজ আলমকে দু’টি বিষয় স্পষ্ট করতে হবে—
- তিনি NCP–এর সঙ্গে যুক্ত কি না।
- দুর্নীতিগ্রস্ত সেই “সার্কেল” কারা—তাঁদের পরিচয় ও প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।
শেষ কথা
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করতে হলে কেবল ইঙ্গিত নয়—চিহ্নিতকরণ ও বিচারের বাস্তব পদক্ষেপ দরকার। তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে মাহফুজ আলমের অবস্থান অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তাই তাঁর স্ট্যাটাসের ভাষ্য ও দায় একেবারেই ব্যক্তিগত নয়—এটি রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের অংশ।
সামনের ২৪–৭২ ঘণ্টায় এ বিষয়ে তিনি এবং সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান পরিষ্কার না হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন অনিশ্চয়তা ও বিভ্রান্তির উদ্ভব হতে পারে।
“একটা সার্কেলের সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত!”
তথ্য উপদেষ্টার এই বিস্ফোরক মন্তব্যে কাঁপছে দেশের রাজনীতি।
অভিযোগের তীর কার দিকে? কী প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে সরকার ও বিরোধী পক্ষ?
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.
