শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার ৭টি ইসলামী টেকনিক

PoriPurno News Desk | ৪ আগস্ট ২০২৫
ভূমিকা:
বিয়ে শুধু দুজন মানুষের সম্পর্ক নয়, বরং দুটি পরিবারকে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করে। ইসলামে পারিবারিক সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে শাশুড়ি-বউয়ের সম্পর্ক যতটা সহনশীল, মমতাময় ও পরস্পর সহযোগিতামূলক হবে, ততটাই একটি পরিবারে শান্তি, প্রশান্তি ও ভালোবাসা বিরাজ করবে।
আসুন আমরা দেখে নেই, কীভাবে শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখা যায় এবং এতে কীভাবে ইসলামের নির্দেশনাগুলো আমাদের সহায়তা করে।
১. বিয়ের পরপরই সংসারের ‘সিঁড়ি’ হতে যাবেন না!
অনেক নারী মনে করেন, বিয়ের পর স্বামীকে পুরোপুরি নিজের করে নিতে হবে—এতে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। ইসলাম ব্যালেন্স ও ইনসাফের শিক্ষা দেয়।
الْمُؤْمِنُ يَأْلَفُ وَيُؤْلَفُ، وَلَا خَيْرَ فِيمَنْ لَا يَأْلَفُ وَلَا يُؤْلَفُ
“একজন মুমিন নিজে ভাল আচরণ করে এবং অন্যদেরও ভালোবাসে। যে না ভালোবাসে, না ভালোবাসা পায়, তার মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই।”
— (সুনান আবু দাউদ, হাদীস: 4780)
২. রাগ করতে গেলে শাশুড়িকে জিতিয়ে করে রাগনা করুন!
সহিষ্ণুতা ইসলামের মহৎ গুণ। পারিবারিক শান্তির জন্য নিজের ইগো ত্যাগ করে বিনয়ী হওয়া উচিত।
وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ ۗ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
“আর যারা ক্রোধ সংবরণ করে এবং মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল—আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন।”
— (সূরা আলে ইমরান: ১৩৪)
৩. অবসর সময়ে একা সময় না কাটিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে গল্প করুন
শাশুড়ির সঙ্গে সময় কাটানো, গল্প করা একটি সম্পর্ক গড়ে তোলে। ইসলাম পারিবারিক বন্ধন জোরদার করতে উৎসাহ দেয়।
وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۖ وَبِذِي الْقُرْبَىٰ
“পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করো এবং আত্মীয়দের প্রতিও।”
— (সূরা আন-নিসা: ৩৬)
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
৪. ভালো শাশুড়িদের কিছু ইসলামিক বই উপহার দিন
উপহার দিলে সম্পর্ক গাঢ় হয়, ইসলাম তা স্পষ্টভাবে উৎসাহিত করে।
تَهَادَوْا تَحَابُّوا
“তোমরা উপহার দাও, ভালোবাসা সৃষ্টি হবে।”
— (মুসনাদ আহমদ, হাদীস: ১৬৩৫৯)
৫. শাশুড়ির সঙ্গে একসাথে বসে খাওয়া-দাওয়া করুন
একসাথে খাওয়া ইসলামে বরকতের কারণ। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে, দুরুত্ব কমে।
طَعَامُ الْوَاحِدِ يَكْفِي الِاثْنَيْنِ، وَطَعَامُ الِاثْنَيْنِ يَكْفِي الثَّلَاثَةَ وَالْأَرْبَعَةَ
“একজনের খাবার দুইজনের জন্য যথেষ্ট, দুইজনের খাবার তিন-চারজনের জন্য যথেষ্ট।”
— (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ২০৫৯)
৬. নিজের জন্য শপিং করতে গেলে শাশুড়ির জন্যও কিছু কিনুন
পরিবারের সদস্যদের ছোট ছোট উপহারে খুশি করা ইসলামের উৎসাহিত করা একটি আমল।
إِنَّ مِنَ الْبِرِّ أَنْ يَصِلَ الرَّجُلُ أَهْلَ وُدِّ أَبِيهِ
“আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করাও নেক আমল।”
— (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ২৫৫২)
৭. শাশুড়ির চুলে তেল দিয়ে দিন!
স্পর্শের মাধ্যমে ভালোবাসা ও ঘনিষ্ঠতা প্রকাশ হয়, যা সম্পর্ককে মজবুত করে। রাসূল ﷺ নিজেও স্ত্রীদের সেবা করতেন।
كَانَ فِي مِهْنَةِ أَهْلِهِ
“রাসূল ﷺ পরিবারে পরিবারের সদস্যদের কাজে সহযোগিতা করতেন।”
— (সহীহ বুখারী, হাদীস: ৫০৩৮)
উপসংহার:
ইসলামে শাশুড়ি-বউ সম্পর্ককে কখনোই প্রতিদ্বন্দ্বিতার জায়গা নয়, বরং এটি হচ্ছে সহযোগিতা, ভালোবাসা ও সহমর্মিতার সম্পর্ক। একজন নারীর দায়িত্ব যেমন স্বামীকে ভালোবাসা ও যত্ন দেওয়া, ঠিক তেমনি স্বামীর মা বা শাশুড়িকেও সম্মান ও শ্রদ্ধা করা।
আমাদের উচিত নিজের স্বভাবকে নম্র করে, ইসলামী নির্দেশনা অনুযায়ী সম্পর্ক গড়া এবং শান্তিপূর্ণ সংসার গঠনে এগিয়ে যাওয়া।
লেখক: মাহবুব ওসমানী
ইসলামী চিন্তাবিদ, লেখক ও PoriPurno.com-এর প্রতিষ্ঠাতা
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.



