PoriPurno News Desk | ৬ আগস্ট ২০২৫
রাজদরবারে এক ভিন্নধর্মী আবেদন
একদিন রাজদরবারে এক সাধারণ প্রজা এসে রাজার কাছে একটি চাকরির আবেদন করে। রাজা জানতে চান, তার কী ধরনের যোগ্যতা রয়েছে। প্রজার উত্তর ছিল ব্যতিক্রমী—সে দাবি করে, যেকোনো প্রাণীর মুখ দেখেই তার স্বভাব ও বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করতে পারে।
রাজা এই দাবিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং নিজের প্রিয় ঘোড়াটি সামনে এনে বলেন, “বলো তো, আমার এই ঘোড়াটি কেমন?”
ঘোড়ার আচরণ থেকেই ধরা পড়লো গভীর সত্য
প্রজা কিছুক্ষণ ঘোড়ার মুখ দেখে উত্তর দেয়, “আপনার এই ঘোড়াটি জাতের নয়।”
রাজা বিস্মিত হয়ে এর কারণ জানতে চান। প্রজা ব্যাখ্যা দেয়, “এই ঘোড়াটিকে ছোটবেলা থেকে গরুর দুধ খাইয়ে বড় করা হয়েছে। তাই এটি মাথা নিচু করে ঘাস খায়। অথচ প্রকৃত জাতের ঘোড়া ঘাস মুখে নিয়ে মাথা উঁচু করে ঘাস খায়।”
রাজা সঙ্গে সঙ্গে তার পরিচারককে ডেকে পাঠান এবং বিষয়টির সত্যতা যাচাই করেন। দেখা যায়, প্রজার কথা একদম সঠিক।
রাজা প্রজার প্রজ্ঞায় মুগ্ধ হয়ে তাকে পুরস্কারস্বরূপ হাঁস, মুরগি, গরু ও ছাগল দেন।
রাজার স্ত্রী সম্পর্কেও উঠে আসে চমকপ্রদ তথ্য
পরবর্তী প্রশ্ন ছিল রাজা নিজ স্ত্রীর বিষয়ে। তিনি জানতে চান, “আমার সহধর্মিণী কেমন?”
প্রজা উত্তরে জানায়, “তিনি জাতের নন। কারণ তিনি প্রজাদের সঙ্গে রূঢ় ব্যবহার করেন, তাদের ওপর অত্যাচার করেন।”
রাজা বিস্ময়ে হতভম্ব হন। তিনি বলেন, “আমি তো রাজপরিবারে জন্ম নেওয়া একটি মেয়েকে বিবাহ করেছি।”
এরপর রাজা তার শ্বশুর ও শাশুড়িকে রাজসভায় ডেকে আনেন। জিজ্ঞেস করেন তাদের কন্যার প্রকৃত পরিচয় কী।
শ্বশুর-শাশুড়ি জানান, তারা নিঃসন্তান দম্পতি এবং এই মেয়েটিকে অজপাড়াগাঁ থেকে কুড়িয়ে এনে লালন-পালন করেছেন।
আবারও প্রজার সত্য বলার ক্ষমতায় রাজা বিস্মিত হন এবং তাকে আরও গৃহপালিত পশু-পাখি উপহার দেন।
এবার প্রশ্ন ওঠে রাজার নিজের পরিচয় নিয়ে
সবশেষে রাজা নিজেই জানতে চান, “আমার সম্পর্কে তুমি কী বলো?”
প্রজা উত্তর দিতে দ্বিধা প্রকাশ করে এবং নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেন। রাজা প্রতিশ্রুতি দেন, কিছুই করা হবে না।
তখন প্রজা বলেন, “আপনার প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার পর আপনি আমাকে কেবল গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি দিয়েছেন। কিন্তু প্রকৃত রাজার স্বভাব ভিন্ন। তারা সন্তুষ্ট হলে গলার মণিমুক্তার মালা বা রাজকীয় সম্পদ দিয়ে থাকেন। এই জন্যই আমি বুঝেছি, আপনিও প্রকৃত অর্থে জাতের নন।”
এ কথা শুনে রাজা হতবাক হয়ে পড়েন। তিনি তার বাবা-মায়ের কাছে জানতে চান নিজের প্রকৃত পরিচয়। উত্তরে তিনি জানতে পারেন, তাঁকেও ছোটবেলায় দত্তক নিয়ে লালন-পালন করা হয়েছে রাজ্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
গল্পের অন্তর্নিহিত বার্তা
এই গল্পটি নিছক একটি কল্পকাহিনি নয়—এর মধ্যে লুকিয়ে আছে সমাজ, মর্যাদা ও মানবিকতার গভীর শিক্ষা। একটি মানুষ কত ধনী, রাজকীয়, বা সমাজে উচ্চ মর্যাদার অধিকারী—তা তার প্রকৃত জাত নির্ধারণ করে না।
বরং, তার চিন্তাধারা, আচরণ, সততা ও নৈতিকতাই তার আসল পরিচয়।
একজন রাজা হয়েও যদি কারও মধ্যে উদারতা, সত্য গ্রহণের সাহস এবং বিশুদ্ধ চিন্তার অভাব থাকে—তাহলে তার আসন থাকলেও রাজকীয়তা থাকে না।
অন্যদিকে, সাধারণ ও নিঃস্ব হয়েও যদি কেউ সততা, বিবেক এবং মর্যাদাবোধ বজায় রাখে—তবে তার মনই তার শ্রেষ্ঠ পরিচয়।
উপসংহার
‘জাত’ বলতে রক্তের বংশপরিচয় নয়, বরং অন্তরের চরিত্রই বোঝায়।
এই গল্প সমাজের সেই বাস্তবতা তুলে ধরে যেখানে বংশ নয়, মানুষের মনের বিশুদ্ধতাই তাকে সত্যিকারের ‘উচ্চ জাতের’ মানুষ করে তোলে।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.
