আধুনিক ডেটিং কালচারে ‘লং-গেইম’ এবং এর বাস্তবতা

PoriPurno News Desk | ৮ আগস্ট ২০২৫
লং-গেইম বলতে বোঝায়, একজন পুরুষ দীর্ঘ সময় ধরে একজন নারীর প্রতি সময় ও এনার্জি বিনিয়োগ করে অপেক্ষা করে, যে একদিন নারী তাকে রোমান্টিকভাবে গ্রহণ করবে। এটি মূলত একটি সি–ম্পিং স্ট্রাটেজি, যেখানে পুরুষ নিজের আত্মমর্যাদা ও মূল্যবান সময় ত্যাগ করে শুধু নারীর স্বীকৃতির আশায় লেগে থাকে।
ইভোলিউশনারি সাইকোলজি, সোসিওবায়োলজি ও ফিলোসফির দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায় নারীর আকর্ষণ সাধারণত সময়ের সঙ্গে বাড়ে না, বরং মুহূর্তের মধ্যে, অর্থাৎ প্রথম ছাপেই নির্ধারণ হয়ে যায়। নারীরা স্বাভাবিকভাবে আকৃষ্ট হয় এমন পুরুষের প্রতি, যারা শক্তি, আত্মবিশ্বাস, জিনেটিক ফিটনেস এবং সামাজিক প্রভাবের সংকেত দেয়। নারীর মস্তিষ্ক প্রথম কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ঠিক করে নেয় সে একজন পুরুষকে রোমান্টিকভাবে দেখতে চায় কি না।
পুরুষ যদি বারবার বিনিময়হীন সস্তা মনোযোগ ও প্রশংসা দেয়, তাহলে নারীর মস্তিষ্কে পুরুষটির জন্য ডোপামিন লুপ তৈরি হয়, কিন্তু সেটি আসলে রোমান্টিক আকর্ষণ থেকে নয়, বরং প্রশংসা পাওয়ার কারণে। অতিরিক্ত লং-গেইম কৌশল নারীর কাছে পুরুষকে লো-ভ্যালু এবং ‘বেটা ব্যাংক’ হিসেবে উপস্থাপন করে — যেখানে পুরুষকে শুধু ইমোশনাল সাপোর্ট বা সেবার জন্য দেখা হয়, কিন্তু রোমান্টিকভাবে গ্রহণ করা হয় না।
সোসিওবায়োলজির একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টিভঙ্গি হলো, নারী মাত্র ২০% পুরুষের প্রতি প্রকৃত আকর্ষণ অনুভব করে, বাকিদের ব্যাকআপ, বিকল্প বা মানসিক সাপোর্ট সিস্টেম হিসেবে বিবেচনা করে।
আজকের সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, সাধারণ একজন মেয়েও প্রতিদিন শত শত ইনবক্স মেসেজ, লাইক এবং মন্তব্য পায়, যা তার মস্তিষ্কে ডোপামিন রিওয়ার্ড সিস্টেম তৈরি করে। এর ফলে মেয়েরা নিজেদের সৌন্দর্য ও সামাজিক মূল্যায়ন নিয়ে ভুল ধারণায় পড়ে যায় এবং নারসিসিস্টিক প্রবণতা বেড়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে পুরুষদের চেষ্টা ও সি–ম্পিং নারীদের নিজেদের মূল্যায়ন অবাস্তবভাবে বড় করে তোলে।
মনোবিজ্ঞানের ভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় “hedonic treadmill,” অর্থাৎ যত বেশি ভ্যালিডেশন পায়, ততই তার ক্ষুধা বেড়ে যায়, কিন্তু প্রকৃত রোমান্টিক বা মানসিক সংযোগের আগ্রহ কমে যায়।
দার্শনিক আর্থার শোপেনহাওয়ার বলেছিলেন,
“Die Welt ist meine Vorstellung” অর্থাৎ, “মানব আকাঙ্ক্ষা হলো এক অন্তহীন ইচ্ছার শৃঙ্খল, যা তৃপ্তির চেয়ে কষ্ট বেশি সৃষ্টি করে।”
লং-গেইম মূলত একটি মিথ্যা আশা, যেখানে পুরুষ মনে করে ধৈর্য ও আত্মবলিদান তাকে একদিন পুরস্কৃত করবে, কিন্তু যদি নারী প্রথম থেকেই তাকে আলফা সিগন্যাল হিসেবে না দেখে, তবে লম্বা সংগ্রাম ফলহীন হয়।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
প্লেটো ও নিটশে দু’জনই মানুষের আত্মমর্যাদা নিয়ে আলোচনা করেছেন। নিটশের “Übermensch” তত্ত্ব অনুসারে প্রকৃত উচ্চমানের মানুষ নিজ ক্ষমতা, নৈতিক শক্তি ও আত্মবিশ্বাসের ওপর ভর করে, কারও স্বীকৃতির জন্য ভিক্ষা করে না।
যদি পুরুষ নিজের সীমা নির্ধারণ করতে না পারে, তবে সম্পর্কের পাওয়ার ডাইনামিক তার বিরুদ্ধেই কাজ করে। নারীর কাছে সেই পুরুষের ‘না’ বলার ক্ষমতা না থাকলে শ্রদ্ধা হারায়।
আলফা বা সিগমা পুরুষরা লং-গেইম খেলেন না, কারণ তারা জানেন নারীর আকর্ষণ মূলত তাত্ক্ষণিক রসায়নের ওপর নির্ভর করে। তারা অস্পষ্ট সিগনাল পেলে সরাসরি সরে যান এবং নিজের সময় ও শক্তি নিজের উন্নতিতে বিনিয়োগ করেন — যেমন ফিটনেস, ক্যারিয়ার, সামাজিক মর্যাদা, ব্যক্তিত্ব ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজে উন্নতি।
একজন পুরুষ যখন নিজেকে সব দিক থেকে হাই-ভ্যালু ম্যান হিসেবে তৈরি করেন, তখন তার লং-গেইমের প্রয়োজন হয় না। কারণ তার মূল লক্ষ্য নারীদের জয় নয়, নিজের ক্ষমতা ও জীবনমান উন্নয়ন।
এটি ‘অ্যাটেনশন ইকোনমি’রও একটি দিক, যেখানে পুরুষ নিজের মনোযোগকে ফ্রি-কারেন্সি হিসেবে বিলিয়ে দেয় না, বরং তা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.



