মোবাইল আসক্তি নয়, দোষ খুঁজে দেখুন ঘরের আয়নায় — এক অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীর চোখে পরিবার ও বাস্তবতা!
মোবাইল আসক্তি নয়, দোষ খুঁজে দেখুন ঘরের আয়নায় — এক অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীর চোখে পরিবার ও বাস্তবতা!
🖋️ লিখেছেন: সংবাদ প্রতিনিধি | প্রকাশিত: 14 April 2025
সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর ও হৃদয়স্পর্শী অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন মনোবিজ্ঞান পেশাদার দেবাশীষ মজুমদার। ক্লাস এইটের এক মেধাবী ছাত্রকে তার বাবা-মা নিয়ে এসেছিলেন কাউন্সেলিং সেশনে। লক্ষ্য একটাই — মোবাইল আসক্তি থেকে বাঁচানো।
ছেলেটি সি.বি.এস.ই বোর্ডের ছাত্র এবং গণিতে বেশ দক্ষ। কিন্তু গত এক বছরে তার পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ কমেছে, ফলাফলেও তার প্রভাব পড়েছে। অভিভাবকদের ভাষ্যমতে, ছেলেটি বর্তমানে অধিকাংশ সময় হোয়াটস্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং চ্যাটিং-এ মগ্ন। নিষেধ করেও কাজ হয়নি, এমনকি শারীরিক শাসনও ফলপ্রসূ হয়নি। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে দেখে, অবশেষে তারা ছেলেটিকে নিয়ে এসেছেন পরামর্শের জন্য।
একান্তে যখন মুখ খুলল বাচ্চাটি…
মা-বাবাকে বাইরে পাঠিয়ে ছেলেটির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বললে বেরিয়ে আসে এক অনাকাঙ্ক্ষিত সত্য। সে জানায়, বাবা সারাদিন অফিসের প্রজেক্ট, ফোন কল ও ল্যাপটপে ব্যস্ত থাকেন — এমনকি বাড়িতেও। মায়ের অবস্থাও আলাদা কিছু নয়। তিনি এখন রীতিমতো ফুল-টাইম রীলস নির্মাতা। প্রতিদিন চার-পাঁচটি রীল বানিয়ে ডলার কামাচ্ছেন। ছেলেটির ভাষায় — “বাবা-মা তো নিজেদের পৃথিবীতে দিব্যি আছেন, আমার মোবাইলে থাকাতে ওদের এত সমস্যা কেন?”
ছেলেটির যুক্তি ছিল পরিষ্কার — “মা যদি তার অভ্যাস ছাড়তে না পারে, আমি কেন ছাড়বো?” এই কথায় একধরনের কৌতুক ছিল, আবার একধরনের কষ্টও। পরামর্শদাতা দেবাশীষ মজুমদার বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি করেন এবং বাচ্চাটিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন মোবাইল আসক্তির ভালোমন্দ দিকগুলো। তবে তিনি বুঝতে পারেন, ছেলেটি অনেক বেশি সচেতন — শুধু একটি ‘ইন্টারেস্টিং সাবজেক্ট’ এবং একটু ‘কোয়ালিটি টাইম’ পেলেই সে নিজেকে বদলে নিতে পারবে।
পরিবারের মুখোমুখি বাস্তবতা
ছেলেটির কথাগুলো সংক্ষেপে মা-বাবার সামনে তুলে ধরার পর, বাড়ে পারিবারিক উত্তেজনা। বাবার চোখ কটমট করে তাকায় মায়ের দিকে, আর মা তাকান ছেলের দিকে। একটু পর অবশ্য মা দৃষ্টি নরম করেন এবং প্রতিজ্ঞা করেন, রীল বানানোর সময় স্কুল টাইমেই সীমাবদ্ধ রাখবেন, ছেলেকে সময় দেবেন, পড়াশোনায় সাহায্য করবেন।
বাবার পক্ষ থেকে এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেখা যায়নি, বরং নিজের ক্যারিয়ার ও প্রমোশনের চিন্তাতেই ডুবে থাকেন। বিষয়টা এখানেই শেষ হয় না — মনোবিশ্লেষক বুঝে যান, বাচ্চার মোবাইল আসক্তির পেছনে বড় একটি দায় পরিবারের অস্থিরতা ও অভিভাবকদের ডিজিটাল আসক্তিরও।
এক শিক্ষণীয় বার্তা দিয়ে গেল সেই ছোট্ট শিশু
ছেলেটির কাছ থেকেই উঠে আসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা — “অন্য কাউকে বদলাতে চাইলে আগে নিজেকে বদলান। আপনি যেমন মানুষ তৈরি করতে চাইছেন সন্তানকে, আগে নিজেকে তেমন একজন মানুষ তৈরি করে দেখান। চোখ রাঙিয়ে কোনো লাভ নেই।”
এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি পরিবারের নয় — এটি একটি প্রজন্মের প্রতিফলন। আমরা যেখানে প্রযুক্তির ব্যবহারে সীমা হারিয়ে ফেলছি, সেখানে নতুন প্রজন্মের কাছেই আমাদের শেখার আছে অনেক কিছু।
📌 সংবাদটি লিখেছেন: দেবাশীষ মজুমদার, অভিজ্ঞ কাউন্সেলর ও সমাজ বিশ্লেষক
📍 সূত্র: সরাসরি অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে
📢 আপনার মতামত দিন: এই লেখাটি আপনার মনে কী বার্তা রেখে গেল? আপনি কি নিজেও একই রকম অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন? মন্তব্য করুন নিচে।
সঠিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের সফলতা নিশ্চিত করুন!
মাহবুবওসমানী.কম দিচ্ছে আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট, গ্যারান্টেড SEO র্যাঙ্কিং, এবং প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট – সবকিছু একসাথে, ইংশাআল্লাহ্!
✅ ১৪+ বছরের অভিজ্ঞতা – গ্যারান্টেড SEO র্যাঙ্কিং
 ✅ ৮০০+ সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট – আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট
 ✅ প্রমাণিত ফলাফল, সর্বোচ্চ ROI – প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
📩 আজই যোগাযোগ করুন এবং আপনার ব্যবসার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিন!
 🌍 ভিজিট করুন: MahbubOsmane.com
 
				 
					



