বিদেশে সন্তান পাঠালে চাকরি নয়: আফগান সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনার ঝড়

PoriPurno News Desk | ২ আগস্ট ২০২৫

সম্প্রতি আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে সরকারি প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির প্রশ্নে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আফগান সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে—কোনো সরকারি কর্মকর্তা কিংবা রাজনীতিবিদের সন্তান যদি দেশের বাইরে পড়াশোনার জন্য যান, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবিলম্বে চাকরি ছাড়তে হবে।

এই ঘোষণা দিয়েছেন আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তালেবান সরকারের প্রভাবশালী নেতা সিরাজুদ্দিন হাক্কানি। তিনি টোলো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই সিদ্ধান্তের পেছনের পটভূমি ব্যাখ্যা করেন।


ঘানি আমলের ‘ব্রেইন ওয়াশ ও ওয়েলথ এক্সপোর্ট’ প্রসঙ্গ

হাক্কানি জানান, আফগানিস্তানের পূর্ববর্তী ঘানি সরকারের সময় থেকে শুরু করে বহু বছর ধরে একটি প্রবণতা দেখা গেছে—
১. সরকারি কর্মকর্তারা প্রথমে তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার নামে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, সুইডেনসহ উন্নত দেশগুলোতে পাঠাতেন।
২. এরপর তারা বিদেশে টাকা পাচার করতেন।
৩. কিছুদিন পর সেসব দেশে বাড়ি-গাড়ি কেনার মাধ্যমে স্থায়ীভাবে থিতু হতেন।
৪. শেষে দেশের পরিস্থিতি জটিল হলে তারা রাতারাতি আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়ে যেতেন।

এই চর্চা শুধু রাষ্ট্রীয় সম্পদ নয়, আফগান জনসাধারণের আস্থাকেও ধ্বংস করেছে বলে উল্লেখ করেন হাক্কানি।


“এটা ইসলামিক আমিরাত, রিপাবলিক নয়”—হাক্কানির কড়া বার্তা

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাক্কানি বলেন,

“এখন থেকে কেউ যদি তার সন্তানকে বিদেশে পাঠাতে চান, তাহলে আগে তাকে সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে হবে। এই দেশ আর রিপাবলিক নয়, এটা ইসলামিক আমিরাত। জনগণের কাছে আমাদের জবাবদিহিতা আছে।”

তিনি আরও জানান, এই নীতিমালা শুধু সরকারি কর্মকর্তা নয়, বরং সরকারের যেকোনো অংশের রাজনীতিবিদদের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য হবে।


বিশ্বব্যাপী বিতর্ক: নেতৃত্বে নৈতিকতা বনাম বাস্তবতা

আফগান সরকারের এই পদক্ষেপকে কেউ দেখছেন চূড়ান্ত অনমনীয়তা হিসেবে, কেউবা একে বলছেন নৈতিক নেতৃত্বের মডেল। দুর্নীতি ও জাতিগত মেধা পাচার বন্ধে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলেও অনেকে মত দিয়েছেন।

তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর একাংশ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছে, এই সিদ্ধান্ত হয়তো নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের নজির তৈরি করতে পারে।


বাংলাদেশ প্রসঙ্গ: মিল পাওয়া যাচ্ছে অনেক বাস্তবতার সঙ্গে

এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বিশ্লেষক মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখায় প্রশ্ন তুলেছেন—আমাদের দেশেও কি এমন একটি নীতিমালার প্রয়োজন নেই?

তিনি লেখেন:

“যেসব আমলারা বিদেশে সেকেন্ড হোম গড়ে তুলছে, বিপদে পড়লেই লন্ডন বা আমেরিকায় পালিয়ে যায়, তারা কি এই দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা চালানোর যোগ্য?”

বাংলাদেশের বহু শীর্ষ রাজনীতিবিদ ও উচ্চপদস্থ আমলা–কর্মকর্তার সন্তান, পরিবার বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। এমনকি কেউ কেউ ওইসব দেশে নাগরিকত্বও গ্রহণ করেছেন। অথচ তারা এই দেশেই রাজনীতি বা প্রশাসনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।


“আমি দেশকে ভালোবাসি”—কিন্তু কোথায় থাকেন?

লেখক উদাহরণ টেনে আনেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কন্যা টিউলিপ সিদ্দিকের সাম্প্রতিক একটি চিঠির প্রসঙ্গ, যেখানে তিনি ড. ইউনুসকে লেখা এক চিঠিতে দেশের প্রতি তাঁর ভালোবাসা প্রকাশ করেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন, সংসদ সদস্যও হয়েছেন।

একইভাবে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ও দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। শুধু তাদের নয়—প্রায় প্রতিটি বড় রাজনৈতিক পরিবারেই একই চিত্র দেখা যায়—সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা বিদেশে, অথচ দেশে চলছে রাজনীতি ও ক্ষমতার চর্চা।

Increase Your Business with Expert Digital Solutions!

Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!

 14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
 800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
 Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development

Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level!  Visit: MahbubOsmane.com

তরুণদের মধ্যে বিদেশমুখিতা: ভবিষ্যৎ সংকেত

বাংলাদেশের ৭০–৮০ শতাংশ তরুণ বর্তমানে ভবিষ্যতের নিরাপত্তা, ক্যারিয়ার ও সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিদেশে চলে যেতে চায়।
কেউ স্কিল ডেভেলপমেন্টের আশায়, কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য, কেউ নিরাপত্তা ও সম্মানের জন্য দেশ ছাড়ছে।

এই ‘ব্রেইন ড্রেইন’ যদি রোধ না করা যায়, তাহলে দেশের নেতৃত্ব ও ভবিষ্যৎ অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব পড়বে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।


প্রশ্ন রেখে যাই…

আফগান সরকারের মতো বাংলাদেশে এমন সিদ্ধান্ত হয়তো বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু এই আলোচনাটি এখন প্রয়োজন, যদি আমরা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে সত্যিকারের জবাবদিহি, নৈতিকতা এবং স্বার্থহীন নেতৃত্ব দেখতে চাই।

শিক্ষা ও স্বজনপ্রীতির দিক থেকে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ, কিন্তু এর পেছনে কী রয়েছে রাজনৈতিক বার্তা?
এই সিদ্ধান্ত ঘিরে উত্তাল বিশ্ব মিডিয়া ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?

Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.

MahbubOsmane.com’s Exclusive Services

Digital Marketing
SEO & SMM
Content Creation
Web Development
Google Ads & Meta Ads
Graphic Design
Affiliate Website
Brand Promotion
Marketing Plan & Consulting
Other Services
Our Courses
Domain Hosting
Exit mobile version