PoriPurno News Desk | ২ আগস্ট ২০২৫
ঢাকার ব্যস্ত এলাকার অন্যতম একটি মিলনায়তন, হাতিরঝিলের বিয়াম ভবনে ফেব্রুয়ারিতে ঘটে যাওয়া এসি বিস্ফোরণের ঘটনা প্রথমে সাধারণ দুর্ঘটনা মনে হলেও, তদন্তে উঠে এসেছে এক ভয়াবহ পরিকল্পিত নাশকতার চিত্র।
ঘটনার তদন্তের ভার পড়ে পিবিআই (Police Bureau of Investigation) এর ওপর। আধুনিক প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহারের মাধ্যমে তারা বের করে আনে এক বিস্ময়কর ও জটিল অপরাধের প্রকৃত চেহারা।
ঘটনাপরম্পরা: দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত আগুন
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিয়াম মিলনায়তনে ঘটে যাওয়া এসি বিস্ফোরণে ২ জন নিহত হন। শুরুতে এটি একটি সাধারণ বৈদ্যুতিক ত্রুটিজনিত দুর্ঘটনা মনে হলেও, তদন্তে নামার পর পিবিআই একে সন্দেহজনক বলে বিবেচনা করে। তারা দেখেন, বিস্ফোরণের ধরন, আগুনের বিস্তার এবং ঘটনাস্থলে পেট্রোলের উপস্থিতি কোনোক্রমেই স্বাভাবিক নয়।
তদন্তে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার
তদন্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পিবিআই দেখতে পায় এক ব্যক্তি মুখে মাস্ক পরে ক্যামেরা বন্ধ করে দিচ্ছেন। কিন্তু তার আগে বা পরে সেই ব্যক্তি কোনোভাবেই চিহ্নিত হচ্ছিলেন না। তার পোশাকও অফিসে কারও সঙ্গে মেলেনি। এতে বোঝা যায়, ব্যক্তি অফিসেই পোশাক পরিবর্তন করে। মুখ আংশিক দৃশ্যমান থাকলেও পুরো চেহারা বোঝা যাচ্ছিল না।
এখানেই এআই-এর ভূমিকা শুরু। পিবিআই তাদের নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মাস্ক পরা ব্যক্তির মুখের দৃশ্যমান অংশ থেকে সম্ভাব্য পূর্ণাঙ্গ মুখের একাধিক অনুমানভিত্তিক ছবি তৈরি করে। এরপর সেই ছবিগুলোর সঙ্গে বিয়াম অফিসে কর্মরত ব্যক্তিদের ছবি মিলিয়ে দেখা হয়।
মুভমেন্ট অ্যানালাইসিস: অপরাধী শনাক্তের আরেক প্রযুক্তি
শুধু মুখের ছবি নয়, সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া সেই ব্যক্তির হাঁটার ধরন, শরীরের গতি ও চালচলন (movement pattern) অনুসন্ধান করে মেলে ফেলা হয়—এই ব্যক্তি অফিসে নিয়মিত যাতায়াতকারী কারা, তাদের মধ্যে কারা এর সঙ্গে মিলে যায়।
বলা হয়ে থাকে, মানুষের হাঁটার ধরন প্রায় অনন্য। এই “মুভমেন্ট সিগনেচার” ধরেই অবশেষে শনাক্ত করা হয় সেই মুখোশধারীকে—তিনি ছিলেন বিয়াম অফিসের একজন কর্মচারী।
পরিকল্পনার পরিণতি: নিজেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু
তদন্তে জানা যায়, এই কর্মচারীসহ তিনজন একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যুক্ত ছিলেন। মূলত অফিসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ধ্বংসের উদ্দেশ্যে তারা আগুন লাগান। একজন বাইরে থেকে ক্যামেরা বন্ধ করেন, অন্য দুইজন একটি রুমে প্রবেশ করে সেখানে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেন।
তবে তাদের পেট্রোল ব্যবহারের জ্ঞান সীমিত ছিল। পেট্রোল অত্যন্ত দ্রুত জ্বলনশীল পদার্থ, যার একটি অংশ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে বদ্ধ রুমে আগুন লাগালে তা মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগানোর পরপরই রুমের দরজার কাছে অবস্থানকারী দুই ব্যক্তি বের হতে না পেরে রুমের ভেতরেই নিহত হন।
পুলিশ বলল না, কিন্তু প্রযুক্তি ছিল জোরালো
এই তদন্তে এআই-এর বিভিন্ন দিক ব্যবহার করা হলেও, সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তা খোলাসা করা হয়নি। কারণ হয়তো ছিল কৌশলগত, কিংবা তদন্তের গভীরতা অপ্রকাশিত রাখার উদ্দেশ্যে। তবে সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, এই ঘটনার বিশ্লেষণে একাধিক সফটওয়্যার ও অ্যালগরিদম ব্যবহার করে অপরাধী চিহ্নিত করা হয়েছে।
চমকপ্রদ তথ্য: কুকুরের আচরণও ছিল ক্লু
তদন্তের আরেকটি অনন্য অংশ ছিল অফিস চত্বরে ঘুরে বেড়ানো কুকুরগুলোর আচরণ বিশ্লেষণ। বিভিন্ন সময় অপরিচিত ব্যক্তির প্রতি কুকুরের প্রতিক্রিয়া, অথবা চেনা লোকদের দেখলে তাদের আচরণ কেমন—তা বিশ্লেষণ করেও পুলিশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পায়। যদিও এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ হয়নি, তবে ভবিষ্যতে এটি আরেকটি আলোচনার বিষয় হতে পারে।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
প্রেস ব্রিফিং: পরিচিত মুখ
ঘটনা তদন্তে নেতৃত্ব দেন পিবিআই ঢাকার একজন জোন প্রধান ও এসপি আব্দুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত এসপি থোয়াইয়াংপ্রু মারমা।
ঘটনার বিস্তারিত সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করা হয় বিয়াম মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে। উপস্থিত সাংবাদিকদের আপেল, স্যান্ডউইচ দিয়ে আপ্যায়নও করা হয়, যা প্রাসঙ্গিক দৃষ্টিতে সংবাদ পরিবেশের উষ্ণতা যোগ করে।
উপসংহার
বাংলাদেশে প্রযুক্তির প্রয়োগে অপরাধ তদন্ত এখন শুধু মানুষের অভিজ্ঞতা বা অনুমানের উপর নির্ভরশীল নয়, বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মুভমেন্ট অ্যানালাইসিস এবং এমনকি প্রাণীর আচরণ বিশ্লেষণকে ব্যবহার করে একেকটি ঘটনা উদঘাটন করা হচ্ছে অত্যন্ত আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে। এই ঘটনা তার অন্যতম উদাহরণ।
কীভাবে আধুনিক প্রযুক্তি বদলে দিচ্ছে তদন্তের ধারা? ঢাকার আলোচিত বিয়াম অডিটরিয়ামের আগুনের ঘটনায় এআই ব্যবহার করে সত্য উন্মোচন করলো পিবিআই। জানুন কীভাবে মিললো আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.