PoriPurno News Desk | ১ আগস্ট ২০২৫
ভূমিকা
হজ একটি ইবাদতমাত্র নয়, এটি অন্তরের পরিশুদ্ধি, আত্মার সংশোধন এবং আল্লাহর নিকট চূড়ান্ত আত্মসমর্পণের শিক্ষা। প্রতি বছর লাখো মুসলমান আরাফাহর ময়দানে দাঁড়িয়ে আল্লাহর দরবারে চোখের পানি ফেলেন, তাঁর দয়া ও মাগফিরাত কামনা করেন। তবে কখনো কখনো এই ময়দানে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা আমাদের হৃদয় কাঁপিয়ে দেয়, শেখায় জীবনের আসল উদ্দেশ্য কী হওয়া উচিত।
আজ এমনই এক ঘটনা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি—এক ১৭ বছর বয়সী তরুণীর হজের সময়কার ইবাদত ও তাঁর কবুল হওয়া দুআর সাক্ষী হয়ে ওঠা এক মৃত্যু, যা সত্যিই আমাদের জন্য একটি বড় শিক্ষা ও ইবাদতের প্রতি নতুনভাবে ফিরে তাকানোর উপলক্ষ।
ঘটনার বর্ণনা
এক হজযাত্রী বোন তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে বর্ণনা করেন:
“৮ই জুলহিজ্জায় আমরা মীনার ক্যাম্পে পৌঁছাই। আমাদের দলে ১৭ বছর বয়সের এক বোন ছিলেন। বয়সে তরুণী হলেও আমি তাঁকে দিনে-রাতে এমন আমলে ব্যস্ত দেখেছি যে, তা সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। সারাদিন আল্লাহর যিকির, কুরআন তিলাওয়াত ও বিনয়ের সাথে আল্লাহর স্মরণে নিমগ্ন থাকতেন তিনি। কোনো দুনিয়াবি আলোচনায় অংশ নেননি; বরং একান্তে আল্লাহর ইবাদতে ডুবে ছিলেন।”
“৯ই জুলহিজ্জা, আরাফাহর দিন। ক্যাম্পে পৌঁছে সবাই যখন আরামের জন্য জায়গা খুঁজছিল, তখন সেই বোন একাকিত্বের জন্য, তাঁর রাব্বের সান্নিধ্যের জন্য নিরিবিলি একটি জায়গা খুঁজছিলেন। এবং সেখানে জোহরের সালাতের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দাঁড়িয়েই আল্লাহর কাছে কাঁদছিলেন, দুআ করছিলেন। এক মুহূর্তও বসেননি, একবারও হাত নামাননি।”
চূড়ান্ত দুআর মুহূর্ত
আরাফাহ থেকে মুজদালিফার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে সেই বোন আল্লাহর কাছে চোখের জলে একটি দুআ করছিলেন:
“ইয়া আল্লাহ! আপনি যদি আমার তাওবাহ কবুল করে থাকেন, তাহলে আজই যেন আমার জীবনের শেষ দিন হয়।”
এই দুআ শুনে অনেকে অবাক হয়েছিলেন। এত অল্প বয়সে কেউ মৃত্যুর কামনা করে? কিন্তু তিনি আসলে দুনিয়া থেকে চূড়ান্তভাবে আল্লাহর নিকট ফিরে যেতে চাচ্ছিলেন, গুনাহমুক্ত হয়ে।
দুআর কবুলিয়ত ও মৃত্যু
বাসে ওঠার পর সেই বোন কিছুক্ষণ বিশ্রামের উদ্দেশ্যে সামনের সিটে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। একজন সাথী বোন তাঁর পাশে বসেন এবং সূর্যাস্তের পরে তাঁকে জাগাতে চেয়েছিলেন, যেন তাঁকে সুসংবাদ দিতে পারেন যে—
“আল্লাহ তাঁর বান্দাদের নিয়ে ফেরেশতাদের সামনে গর্ব করেন এবং ক্ষমা করেন।”
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:
❝مَا مِنْ يَوْمٍ أَكْثَرَ مِنْ أَنْ يُعْتِقَ اللَّهُ فِيهِ عَبْدًا مِنَ النَّارِ مِنْ يَوْمِ عَرَفَةَ، وَإِنَّهُ لَيَدْنُو، ثُمَّ يُبَاهِي بِهِمُ الْمَلَائِكَةَ❞
“আরাফাহর দিনের চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে আল্লাহ কোনো দিনে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন না। আল্লাহ নিকটবর্তী হন এবং তাঁর বান্দাদের নিয়ে ফেরেশতাদের মাঝে গর্ব করেন।”
— সহীহ মুসলিম: ১৩৪৮
কিন্তু সেই বোন আর কোনো জবাব দিলেন না। মাথা ছুঁয়ে ডাকতে গিয়েই বুঝলেন—তিনি আর দুনিয়াতে নেই।
আল্লাহ তাঁর সেই দুআ কবুল করেছেন। তিনি তাঁর রবের সান্নিধ্যে চলে গেছেন—ইন-শা-আল্লাহ পূর্ণ বিনয়, খালিস তাওবাহ ও একান্ত ইবাদতের মাঝে।
এই মৃত্যু কীসের ইঙ্গিত দেয়?
এই ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়—আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁর বান্দার দুআ শুনেন, গ্রহণ করেন এবং যার অন্তর খাঁটি, তাকেই দেন সেরা বিদায়।
কুরআনে আল্লাহ বলেনঃ
﴿وَقَالَ رَبُّكُمُ ٱدْعُونِىٓ أَسْتَجِبْ لَكُمْ﴾
“তোমাদের প্রতিপালক বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব।”
— সূরা গাফির (৪০): আয়াত ৬০
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
 14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
 800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
 Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
আমাদের শিক্ষা ও করণীয়
এই তরুণীর ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—
🔹 মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি এখনই শুরু করতে হবে
🔹 আল্লাহর দরবারে একাগ্রচিত্তে দুআ করতে শিখতে হবে
🔹 হজ, আরাফাহ ও অন্যান্য ইবাদতকে রূপ দিতে হবে হৃদয়ের ইবাদতে
🔹 সর্বোত্তম মৃত্যু চাইতে হবে—حُسْنُ الْخَاتِمَة
اللَّهُمَّ ارْزُقْنَا حُسْنَ الْخَاتِمَةِ
“হে আল্লাহ! আমাদেরকে উত্তম পরিণতি দিন।”
উপসংহার
এই ১৭ বছরের বোনের জীবন ও মৃত্যু ছিল আমাদের জন্য একটি বাস্তব উদাহরণ—আল্লাহকে ভালোবাসা, তাঁর সামনে নিজেকে পুরোপুরি সমর্পণ করা এবং দুনিয়ার মোহ থেকে দূরে থেকে একাগ্রতায় আত্মার মুক্তির ইবাদত করা কীভাবে একজন মানুষকে ‘হুসনুল খাতিমা’ তথা উত্তম মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আল্লাহ আমাদেরকেও যেন এমন খাঁটি তাওবাহ ও ঈমানের সাথে এই দুনিয়া ত্যাগ করার তাওফিক দান করেন।
আমীন, ইয়া রাব্বাল আলামীন।
১৭ বছরের এক তরুণীর চোখের জলে ভেজা দুআ কিভাবে হয়ে উঠল কবুলের নিদর্শন?
প্রাণ কাঁপানো এই সত্যিকারের কাহিনি প্রমাণ করে—আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন, তাঁকে কী অসাধারণ পরিণতির পথে নিয়ে যান।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.
