
PoriPurno News Desk | ২ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত পাল্টা শুল্ক (রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ) কমানোর লক্ষ্যে দেশটি থেকে এক বছরে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের গম, ডাল এবং তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পদক্ষেপটি এমন এক সময় নেওয়া হয়েছে, যখন ওয়াশিংটন বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে, যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে চায় সরকার। সরকারি প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বেসরকারি খাত থেকেও একটি শক্তিশালী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে আমদানি চুক্তি চূড়ান্ত করতে। তারা আরও ১.৫ থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের আমদানির জন্য কাজ করবে, যার মধ্যে তুলা, সয়াবিন, গম ও ডাল প্রধান পণ্য।
সরকারি স্তরের উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় অংশগ্রহণ
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডাব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক নাজনীন কাউসার চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত সরকারি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (USTR) কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করছে। আলোচনার মূল লক্ষ্য, প্রস্তাবিত পাল্টা শুল্কের হার কমানো এবং বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশাধিকার বজায় রাখা।
বাণিজ্য সচিব জানান, বাংলাদেশ সরকার আগামী এক থেকে দেড় বছরে সরকারি পর্যায়ে ১.৫ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। একই সময়ে বেসরকারি খাত থেকে আরও ১.৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি দল ও করণীয়
বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল নেতৃত্বে টেক্সটাইল মিল মালিকদের একটি দল যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন তুলা আমদানির সম্ভাবনা বাড়াতে। একইসঙ্গে সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ এবং টিকে গ্রুপের প্রতিনিধিরাও যাচ্ছেন, যারা প্রধানত গম, সয়াবিন ও ডাল আমদানি করে থাকে।
বেসরকারি খাত থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, তুলা আমদানির ব্যয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলনামূলক বেশি হওয়ায় সরকারি সহায়তা ছাড়া এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা কঠিন হবে। প্রতি পাউন্ড তুলা আমদানিতে বাড়তি খরচ পড়ছে ০.০৩ থেকে ০.০৪ ডলার। রাসেল প্রস্তাব দিয়েছেন, এই তুলা কেন্দ্রীয় বন্ডেড গুদামে সংরক্ষণ করে বাজারে নির্দিষ্ট দামে সরবরাহ করলে চাপ কিছুটা কমানো সম্ভব।
সহায়তা চায় ব্যবসায়ীরা
শওকত রাসেলসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতারা রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) সীমা ২০ মিলিয়ন থেকে বাড়িয়ে ৩০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা এবং সুদের হার ১ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।
এছাড়া, মার্কিন তুলা ব্যবহার করে পোশাক তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হলে ওই পণ্যের ওপর আগের হারে ১৫ শতাংশ ট্যারিফ বহাল রাখার অনুরোধ জানাবেন বলেও জানান শওকত রাসেল।
সরকারি-বেসরকারি যৌথ কৌশলের ফলাফল কী হতে পারে?
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশটি ৭.৯ বিলিয়ন ডলারের তুলা, ১.৭৬ বিলিয়ন ডলারের গম ও ৯২৩ মিলিয়ন ডলারের সয়াবিন আমদানি করেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা এসেছে ৩৬১ মিলিয়ন ডলার, গম ৪৩.৪ মিলিয়ন ডলার এবং সয়াবিন ৩৩৯ মিলিয়ন ডলারের। নতুন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে, যার ফলে শুল্ক আলোচনায় বাংলাদেশের অবস্থান অনেকটাই শক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, সরকার ইতোমধ্যেই জি-টু-জি ভিত্তিতে বছরে ৭ লাখ টন গম কেনার চুক্তি করেছে এবং অতিরিক্ত ২.২০ লাখ টন গমের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। পাশাপাশি এলএনজি আমদানি এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
নতুন বাজার নীতির আলোকপাত
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বাণিজ্য অংশীদারের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য সম্পর্ক গড়তে হলে শুধু রপ্তানিতে নির্ভর না করে আমদানিকেও কৌশলের অংশ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। বাণিজ্য সচিব এ প্রসঙ্গে ভিয়েতনামের উদাহরণ টেনে বলেন, সে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১২৩ বিলিয়ন ডলার হলেও আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি যেখানে মাত্র ৬ বিলিয়ন ডলার, সেখানে আরও ভালো সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
উপসংহার
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি টেকসই বাণিজ্য সম্পর্ক গড়তে বাংলাদেশ সরকারের এই পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যদিও এতে আমদানি ব্যয় বাড়বে, তবে পাল্টা শুল্ক কমানো গেলে বাংলাদেশের রপ্তানি সক্ষমতা অক্ষুণ্ন থাকবে এবং বাণিজ্য ঘাটতির ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.



