ফার্মেসি ডিগ্রি, ১৮ হাজার টাকার চাকরি আর গবেষণাহীন ক্যারিয়ার—চুপ করে থাকলে সমাধান কোথায়?

PoriPurno News Desk | August 02, 2025
টাঙ্গাইলের একটি নামকরা ফার্মেসি কলেজ থেকে অনার্স শেষ করা যুবকটি গতকাল রাজধানীর এক ফার্মেসি শপে ডিউটি করছিলেন—১০ ঘণ্টা শিফটে মাসিক বেতন মাত্র ১৮ হাজার টাকা। চাকরি পেতে তিনি খরচ করেছেন চার বছরের টিউশন, ল্যাব ফি, বাসা ভাড়া, বই–খাতা—সব মিলিয়ে অন্তত ১০ লাখ টাকা। হিসাব করলে বিনিয়োগ–রিটার্ন সমীকরণ রীতিমতো হতাশাজনক।
এই গল্প শুধু একজনের নয়। চাকরির বাজারে বেশির ভাগ ফার্মেসি গ্র্যাজুয়েটই একই বাস্তবতার মুখোমুখি।
৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়, কিন্তু নিয়োগ কোথায়?
ইউজিসির তালিকায় এখন অন্তত ৪২টি সরকারি–বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি প্রোগ্রাম চালু। প্রতিবছর স্নাতক হন গড়ে ৬–৭ হাজার তরুণ–তরুণী। অথচ দেশে কার্যকরভাবে উৎপাদনশীল ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বড়জোর ১৫–২০টি, যেখানে অভিনব গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D)–ভিত্তিক পদ খুবই সীমিত। অফিস–মার্কেটিং ও দোকানের ডিসপেন্সারিও মিলে মোট চাকরির সুযোগ—প্রতি বছর ১–২ হাজারের বেশি নয়।
ফলাফল—অতিরিক্ত ডিগ্রিধারী, কম সুযোগ, নিম্ন বেতন, দ্রুত হতাশা।
“বুয়েটের মতো বিকল্প কেন তৈরি হয় না?”
বুয়েটের মেধাবীরা দেশেই কেরিয়ার গড়তে না পারলেও উচ্চশিক্ষা ও স্কিল আপগ্রেডের মাধ্যমে বিদেশে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ খুঁজে নেয়। ফার্মেসি পাস করা তরুণরা সেই পথে তুলনামূলক কম এগিয়ে আসে।
কারণগুলো—
- গবেষণায় অনভিজ্ঞতা: অধিকাংশ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে থিসিস বা পাবলিকেশন বাধ্যতামূলক নয়।
- মেন্টর সংকট: পিডিএফ–পড়া গবেষক সংখ্যা হাতে গোনা, অনেকেই ইন্ডাস্ট্রি–লিংকড নয়।
- বিষয়বস্তুর সীমিততা: ওষুধ ছাড়াও বায়োটেক, জিন থেরাপি, রেগুলেটরি সায়েন্স—এই সেক্টরগুলোর প্রকল্প দেশে বিরল।
ফল: বিদেশি স্কলারশিপের জন্য দরকারি “রিসার্চ ট্র্যাক রেকর্ড” গড়ে ওঠে না; পিএইচডি বা মাস্টারসের আবেদন স্রেফ সিজিপিএ–নির্ভর করলে রেজাল্ট প্রত্যাখ্যানই হয়।
রিসার্চ না করলে স্কলারশিপ কঠিন—বিশ্বব্যাপী বাস্তবতা
উন্নত দেশে স্কলারশিপ পান তাঁদেরই, যাঁরা গবেষণাসংক্রান্ত দক্ষতা প্রমাণ করতে পারেন (পাবলিকেশন, কনফারেন্স, ল্যাব এক্সপেরিয়েন্স)। ফলে দেশের ভেতরেই:
- ল্যাব–অরিয়েন্টেড কোর্সওয়ার্ক বাধ্যতামূলক করতে হবে।
- মেন্টর–মেন্টি প্ল্যাটফর্ম: সিনিয়র গবেষক–ইন্ডাস্ট্রি বিশেষজ্ঞরা স্বেচ্ছায় জুনিয়রদের হাতে–কলমে শেখানোর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
- ইন্ডাস্ট্রি–অ্যাকাডেমিয়া কোল্যাব: বড় ফার্মা বা জেনারিক ওষুধ প্রস্তুতকারীরা R&D প্রকল্পে স্টুডেন্ট নিয়োগে কর ছাড়–দেয় ছো টোকেন অর্থ বরাদ্দ করলে ডবল লাভ—মান উন্নয়ন ও জ্ঞান সঞ্চয়।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়–নিয়োগসংকট: কার দায়?
- মাঠ পর্যায়ের চাকরিদাতা শুধু সেলস–মার্কেটিং ফোকাসে গ্র্যাজুয়েট নেয়; রিসার্চার বা রেগুলেটরি সায়েন্টিস্ট পদ তুলনামূলক কম।
- ইন্ডাস্ট্রি অনেক ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা চায়, কিন্তু ইন্টার্নশিপ–এপ্রিলেন্টিসে বিনিয়োগ করে না।
- নীতিনির্ধারকেরা নিয়োগের ন্যূনতম মানদণ্ড (entry–level salary) ঠিক করেন না।
ফলে তরুণরা বিদেশমুখী হলেও স্কলারশিপের জন্য প্রস্তুত নয়, দেশে থাকলেও ক্ষমতাবান ব্র্যান্ডে ঢোকার আশায় ‘চাহিও বটে, পাইও বটে’ খেলায় পড়ে যায়।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.