PoriPurno News Desk | ৬ আগস্ট ২০২৫
সৌদি আরবের মদিনা মুনাওয়ারায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক কূপ—বীরে গরস, মুসলিম উম্মাহর নিকট এক বিশেষ আবেগ ও শ্রদ্ধার স্থান। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এই কূপের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নবীজীর পবিত্র স্মৃতি ও ব্যবহারিক জীবনের একাধিক দিক এই কূপের সাথে সংযুক্ত হওয়ায় এটি ইসলামী ইতিহাসে এক অনন্য মর্যাদা পেয়েছে।
বীরে গরস কূপের অবস্থান
বীরে গরস কূপটি মদিনা মুনাওয়ারার আল-আওয়ালিয়া অঞ্চলে অবস্থিত। এটি মসজিদে নববী থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং কুবা মসজিদ থেকে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। মদিনা সফরকারী হজ ও উমরা পালনকারী মুসলমানরা সহজেই এই কূপে জিয়ারতের সুযোগ পান।
নবীজীর (সা.) সঙ্গে সংযুক্ত ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য
১. নবীজীর পছন্দের কূপ
ইতিহাসে পাওয়া যায়, রাসূলুল্লাহ (সা.) এই কূপের পানি অত্যন্ত পছন্দ করতেন। তিনি এখানকার পানি দিয়ে ওযু করতেন, এবং কখনও কখনও পানও করতেন। এই পানি ছিল অত্যন্ত বিশুদ্ধ ও সতেজ, যা তাঁর শারীরিক ও আত্মিক পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবেও বিবেচিত হতো।
২. ওফাতের পর নবীজীর গোসল
একটি উল্লেখযোগ্য হাদীস থেকে জানা যায়, হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর ওফাতের আগে হযরত আলী (রা.)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন বীরে গরস কূপের পানি দিয়েই তাঁকে গোসল করানো হয়। তিনি বলেছিলেন, “আমার মৃত্যুর পর এই কূপের সাত বালতি পানি দিয়ে আমাকে গোসল করিও।” এই নির্দেশনার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় কূপটির প্রতি তাঁর আস্থা ও ভালোবাসা কত গভীর ছিল।
৩. বরকতময় কূপ
বিভিন্ন বর্ণনা অনুসারে জানা যায়, নবীজী (সা.) এই কূপের পানিতে নিজের থুথু মোবারক ও মধু মিশিয়েছিলেন। ফলে, এই কূপের পানি হয়ে ওঠে আরও বরকতময় ও চিকিৎসাগত দিক থেকেও বিশেষ। তিনি এটিকে তাঁর নিজস্ব কূপ বলে উল্লেখ করেছিলেন এবং একে “জান্নাতের ঝর্ণা” হিসেবেও আখ্যায়িত করেছিলেন।
৪. ইসলামের ইতিহাসের জীবন্ত সাক্ষ্য
হিজরতের পর রাসূলুল্লাহ (সা.) কিছুদিন সাদ ইবনে খায়সামাহ বিন হারিস (রা.)-এর বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন। এই সাহাবিই ছিলেন বীরে গরস কূপের মালিক। তাই নবীজীর মদিনা জীবনের সূচনায় এই কূপ একটি মৌলিক ভূমিকা পালন করেছে।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
আধুনিক পুনরুদ্ধার ও ব্যবস্থাপনা
সময় ও পরিবেশের প্রভাবে বীরে গরস কূপটি একসময় অবহেলিত হয়ে পড়েছিল। পরবর্তীতে সৌদি সরকার এর ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব অনুধাবন করে এটি পুনরুদ্ধার ও সংস্কার করে। এখন সেখানে রয়েছে একটি সুন্দর বেষ্টনী, পান করার ব্যবস্থা এবং নামাজ আদায়ের স্থান। দর্শনার্থীদের জন্য কূপটি উন্মুক্ত এবং তারা সেখানে গিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জিয়ারতের সুযোগ পান।
জিয়ারতের গুরুত্ব
মদিনায় আগত মুসলিমরা বীরে গরস কূপে জিয়ারত করে থাকেন নবীজীর স্মৃতিকে সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে। অনেকেই কূপের পানি পান করে থাকেন, অনেকে তা সাথে নিয়ে যান আশীর্বাদস্বরূপ। তাদের বিশ্বাস, এই পানির রয়েছে আধ্যাত্মিক ও শারীরিক বরকত। এটি মদিনা সফরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে বহু মুসলমানের কাছে।
উপসংহার
বীরে গরস কূপ কেবল একটি প্রাচীন জলাধার নয়; এটি মহানবী (সা.)-এর জীবনের এক অনন্য সাক্ষ্যবহনকারী স্মৃতিচিহ্ন। ইসলামের ইতিহাসে যেসব স্থান নবীজীর জীবনঘনিষ্ঠ এবং আধ্যাত্মিক গুরুত্ব বহন করে, এই কূপ তাদের মধ্যেও একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। মদিনা সফরকারীরা যদি সুযোগ পান, তবে এই কূপ জিয়ারত করে নবীজীর প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করা এক অনন্য অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.
