Tech

বিকাশে ডলার রেমিট্যান্সে ইনসেন্টিভের ‘ধান্দা’? ফ্রিল্যান্সাররা বঞ্চিত, লাভ যাচ্ছে কার পেটে?

PoriPurno News Desk | ৩১জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশে বৈধ পথে আনা রেমিট্যান্সে সরকার ২.৫ শতাংশ হারে ইনসেন্টিভ দিলেও, বাস্তবে সব ক্ষেত্রে এই সুবিধা কি পৌঁছাচ্ছে? প্রশ্ন উঠেছে জনপ্রিয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ লিমিটেড-এর রেমিট্যান্স গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য যাঁরা পেওনিয়ার (Payoneer)-এর মাধ্যমে ডলার এনে থাকেন, তাঁদের অনেকেই অভিযোগ করছেন, বিকাশ থেকে রেমিট্যান্সের ইনসেন্টিভ তারা ঠিকভাবে পাচ্ছেন না।

ডলার রেটের অসঙ্গতি: হিসাবটা কোথায় গড়মিল?

বর্তমানে আন্তর্জাতিক মার্কেটে ১ ডলারের বিনিময় রেট যেখানে ১২১.৮৭ টাকা (৩১ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত), সেখানে পেওনিয়ার থেকে ডলার আসছে ১১৭.৬৪ টাকা রেটে। অর্থাৎ, প্রতি ডলারে প্রায় ৪ টাকা কম পাচ্ছেন প্রাপকেরা। ১০০০ ডলারে এই পার্থক্য দাঁড়ায় ৪২৩০ টাকা পর্যন্ত। সরকার ঘোষিত ২.৫% ইনসেন্টিভ যোগ করেও এই ঘাটতি পূরণ হচ্ছে না।

একজন ভুক্তভোগী ফ্রিল্যান্সার জানান, “আমি ১০০০ ডলার ট্রান্সফার করেছিলাম পেওনিয়ারের মাধ্যমে, পেওনিয়ারে রেট ছিল ১১৭.৬৪ টাকা, অর্থাৎ আমার পাওনা ১১৭৬৪৭ টাকা। কিন্তু বিকাশ আমাকে দিয়েছে ১১৯৩৬৪ টাকা। তাহলে কোথায় গেল ইনসেন্টিভের বাড়তি টাকা?”

এক পক্ষ বলছে ইনসেন্টিভসহ, অন্য পক্ষ বলছে নয়!

আরও বিস্ময়কর হলো, বিকাশের এক এজেন্টের দাবি অনুযায়ী—গ্রাহক ১১৯৩৬৪ টাকা পেয়েছেন, যা ইনসেন্টিভসহ সম্পূর্ণ অর্থ। কিন্তু অন্য একজন বিকাশ প্রতিনিধি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন—পেওনিয়ার থেকে আসা রেমিট্যান্সে বিকাশ কোনো ইনসেন্টিভ দেয় না। অথচ বিকাশের ওয়েবসাইট বা বিজ্ঞাপনে এখনো রেমিট্যান্সে ইনসেন্টিভ পাওয়ার কথা বলা হয়।

গ্রাহক প্রশ্ন করছেন—“আগে যখন পেওনিয়ারের সঙ্গে বিকাশ চুক্তি করেছিল, তখন আমি রেমিট্যান্স ইনসেন্টিভ পেতাম। এখন হঠাৎ করে বন্ধ করে দিলো কেন? আর সেটাই বা আমাদের জানানো হলো না কেন? এটা কি প্রতারণা নয়?”

প্রতারণা, না নিয়ন্ত্রণহীন স্বার্থান্বেষী ব্যবসা?

বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের ট্রান্সপারেন্সির সংকটে ভুগছে। অথচ সরকার নিরলসভাবে প্রবাসী রেমিট্যান্স উৎসাহিত করতে শত কোটি টাকা ব্যয়ে ইনসেন্টিভ দিচ্ছে। এই টাকা ফ্রিল্যান্সার বা রেমিট্যান্স প্রাপক না পেলে—তবে কে পাচ্ছে?

একজন অর্থনীতিবিদ বলেন, “এই খাতে ইনসেন্টিভের টাকা কোথায় যাচ্ছে, সেই ট্র্যাকিং সিস্টেম সরকারের নেই বললেই চলে। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠান গায়ের জোরে বা অস্পষ্ট চুক্তির ফাঁকে গ্রাহকের হক মেরে খাচ্ছে, যা এক ধরনের দুর্নীতির আওতায় পড়ে।”

বিকাশ কী বলছে?

এ বিষয়ে বিকাশের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে গ্রাহক সাপোর্টে যোগাযোগ করলে একেক এজেন্ট একেকরকম ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। কেউ বলছেন—“রেমিট্যান্স ইনসেন্টিভ আপনার পেমেন্টে যুক্ত হয়ে এসেছে।” আবার কেউ দাবি করছেন—“পেওনিয়ারের টাকা রেমিট্যান্স হিসেবে বিবেচিত হয় না, তাই ইনসেন্টিভ নেই।”

এই বিভ্রান্তি থেকেই আরও স্পষ্ট হচ্ছে—বিকাশ এখনো স্পষ্টভাবে জানায়নি, তাদের কোন চ্যানেলে আসা অর্থকে রেমিট্যান্স হিসেবে ধরা হয় এবং কোন চ্যানেলে হয় না।

ফ্রিল্যান্সারদের ক্ষোভ বাড়ছে

বাংলাদেশের হাজার হাজার তরুণ-তরুণী অনলাইনে বৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন। অথচ রেমিট্যান্সের প্রকৃত সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন দিনের পর দিন।

একজন সিনিয়র ফ্রিল্যান্সার বলেন, “আমরা দেশের হয়ে বৈদেশিক আয় বাড়াচ্ছি, অথচ আমাদের সাথেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এইভাবে খেলছে। সরকার কি এসব দেখে না?”

Increase Your Business with Expert Digital Solutions!

Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!

 14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
 800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
 Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development

Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level!  Visit: MahbubOsmane.com

প্রশ্ন রয়ে যায়:

  • বিকাশ কি স্বচ্ছভাবে ইনসেন্টিভ বিতরণ করছে?
  • সরকার পেওনিয়ারের মাধ্যমে আসা অর্থকে রেমিট্যান্স হিসেবে গণ্য করছে কিনা—এই বিষয়ে কোনো পরিস্কার নীতিমালা আছে কি?
  • বিকাশ কীভাবে ইনসেন্টিভের অংশ হিসাব করে এবং গ্রাহককে জানায়?

সরকার যদি এই ইনসেন্টিভ ব্যবস্থা চালু রেখেই অব্যবস্থাপনা, স্বজনপ্রীতি ও অস্বচ্ছতা দূর না করে, তাহলে এই সুবিধা প্রকৃত ভোক্তাদের কাছে পৌঁছাবে না কখনোই।

“রেমিট্যান্স গেল, ইনসেন্টিভও গেল—but কার পেটে গেল লাভ? ফ্রিল্যান্সাররা কি শুধু রেমিট্যান্স নামেই থাকবেন?”
বিকাশ বা অন্যান্য মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে ডলার রেমিট্যান্স আসছে ঠিকই, কিন্তু সরকার ঘোষিত ২.৫% প্রণোদনা থেকে ফ্রিল্যান্সারদের বড় একটি অংশ কীভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন, সেই বাস্তবতাই উঠে এসেছে এই অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনটিতে।

জানুন কারা পাচ্ছেন এই সুবিধা, কারা হারাচ্ছেন—আর কার পকেট ভারি হচ্ছে নীরবে।

Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?

Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.

MahbubOsmane.com’s Exclusive Services

Digital Marketing
SEO & SMM
Content Creation
Web Development
Google Ads & Meta Ads
Graphic Design
Affiliate Website
Brand Promotion
Marketing Plan & Consulting
Other Services
Our Courses
Domain Hosting

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button