Islam

নিয়মিত ব্যবহৃত ১৬ টি কুফরি বাক্য যা আপনার ঈমান ধ্বংস করতে পারে

PoriPurno News Desk | আগস্ট ২০২৫

ভূমিকা

ইসলাম আমাদের জীবন ও আচরণে সর্বোচ্চ সতর্কতা শিখায়। মুখে উচ্চারিত প্রতিটি কথা কেবল শব্দ নয়, এটি ঈমানের প্রকাশ। কেউ যদি অজ্ঞতাবশত বা অভ্যাসত এমন কথা বলে যা শিরক বা কুফরের অন্তর্ভুক্ত, তাহলে তার ঈমান বিপন্ন হতে পারে। আল্লাহ তাআলা কোরআনে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন—

إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوا وَجَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۚ أُولَٰئِكَ هُمُ الصَّادِقُونَ
— [আল কুরআন : সূরা আল হুজরাত ৪০]

অর্থাৎ, মুমিনেরা তারা যারা আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করে সন্দেহ পোষণ করে না এবং আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ ও প্রাণ নিয়োজিত করে।

এই প্রবন্ধে আলোচিত ১৬টি কুফরি বাক্য মুসলিম সমাজে ব্যাপক প্রচলিত হলেও এগুলো থেকে সতর্ক থাকা আবশ্যক। কারণ, এরা সরাসরি আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর প্রতি অবজ্ঞা এবং শিরক, কুফর বা অমান্যতা প্রকাশ করে।


১৬ টি কুফরি বাক্য ও তাদের ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি

১. “আল্লাহও লাগে, ইল্লাও লাগে”
এই বাক্যে আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোনো শক্তির সমতা দেয়া হয়েছে, যা শিরক। আল্লাহ তাআলা বলেছেন—

وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ
— [সূরা মায়েদাহ ৫:৭১]

অর্থাৎ, যারা আল্লাহর সাথে অন্য কোনো শিরক করে, তাদের জন্য জান্নাত হারাম।


২. “তোর মুখে ফুল চন্দন পড়ুক”
“ফুল চন্দন” হলো হিন্দু পূজার উপকরণ, মুসলিমের ভাষায় এমন শুভকামনা প্রার্থনা হারাম। কারণ, এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করে হিন্দু উপাসনার সম্মতি বা প্রশংসা করা হয়।


৩. “কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে”
“কেষ্ট” হিন্দু দেবী, তাকে প্রার্থনা করা কুফর। আল্লাহ তাআলা বলেছেন—

وَقَالَ فِرْعَوْنُ يَا مُلَـٰٓئِكَتِىٓ أَسْـَٔلُكُمْ بِٱللَّهِ إِن كُنتُمْ صَـٰدِقِينَ
— [সূরা যুসুফ ১২:৯]

আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে সাহায্য চাইতে পারি না।


৪. “মহাভারত কি অশুদ্ধ হয়ে গেল?”
মহাভারত হলো হিন্দুদের পৌরাণিক কাহিনি, যা মুসলিমদের বিশ্বাসের বাইরে। এ ধরনের কথা বলা ইসলামি বিশ্বাসের পরিপন্থী।


৫. “মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত”
এ বাক্যে আলেমদের অবজ্ঞা ও ইসলামের অপমান রয়েছে, যা কঠোর নিষিদ্ধ।


৬. “লক্ষ্মী ছেলে, লক্ষ্মী মেয়ে, লক্ষ্মী স্ত্রী”
“লক্ষ্মী” হলো হিন্দু দেবীর নাম। মুসলিমদের জন্য এ ধরনের বাক্য ব্যবহার শিরক হিসেবে গণ্য হয়।


৭. “কোনো ওষুধকে জীবন রক্ষাকারী বলা”
জীবন ও মৃত্যু একমাত্র আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে।

وَمَآ أَنتَ بِمُزَجِّلِ ٱلۡمَوْتِ مِنۢ نَّفۡسٍ إِلَّا بِإِذۡنِ ٱللَّهِ
— [সূরা আয-যুমর ৩৯:৪৫]

অর্থাৎ, ওষুধ জীবন দেয় না, আল্লাহ দেয়।


৮. “দুনিয়াতে কাউকে শাহেনশা বলা”
শাহেনশা মানে রাজাদের রাজা, যা আল্লাহর জন্য একমাত্র। মানুষের প্রতি এমন উপাধি ঈমানের বিপক্ষে।


৯. “নির্মল চরিত্র বোঝাতে ধোয়া তুলসী পাতা বলা”
তুলসী হিন্দুদের পবিত্র গাছ। মুসলিমরা এ ধরনের উপমা ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে।


১০. “বিসমিল্লাহয় গলদ বলা”
বিসমিল্লাহ আল্লাহর নাম, এটি অপমান করা কুফর।

فَمَن يَدْعُو مِن دُونِ ٱللَّهِ لَآ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ
— [সূরা কাহফ ১৮:১০৮]


১১. “মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়া বলা”
মৃত্যু আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই কুফরি আচরণ।

Increase Your Business with Expert Digital Solutions!

Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!

 14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
 800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
 Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development

Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level!  Visit: MahbubOsmane.com

১২. “মধ্যযুগ বর্বরতা বলা”
মধ্যযুগ ইসলামের স্বর্ণযুগ ছিল। ইতিহাসের অবমাননা করে এ ধরনের কথা বলা ভুল।


১৩. “মন ঠিক থাকলে পর্দা লাগে না”
পর্দা ফরজ। মন ঠিক থাকার যুক্তিতে তা বাদ দেয়া ইসলাম থেকে বের হওয়ার লক্ষণ।

وَقَرْنَ فِی بُیُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ ٱلْجَـٰهِلِیَّةِ ٱلْأُولَىٰ
— [সূরা الأحزاب ٣٣:٣۳]


১৪. “নামাজ না পড়লেও ঈমান ঠিক আছে”
নামাজ ঈমানের স্তম্ভ। নামাজ ত্যাগ ঈমানের অবনতি।

وَمَن يَتَرَكُ الصَّلَوٰةَ فَقَدْ كَفَرَ
— [সহীহ বুখারী]


১৫. “আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডাকায় লাভ নাই”
আল্লাহ ছাড়া যাকে ডাকাও সেটি শিরক।

وَمَا دَاوُدَ وَلَا سُلَيْمَانَ إِلَّا قَالَا رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا
— [সূরা সাদ ৩৮:৩৫]


১৬. “রোগ মুক্তি কেবল জান্নাতেই”
রোগ নিরাময়ে আল্লাহর ইচ্ছা অপরিহার্য। কেবল জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানবীয় চিকিৎসার অবহেলা শিরক।


উপসংহার

আমাদের প্রতিটি কথা, প্রতিটি উচ্চারণ ঈমানের পরীক্ষার বিষয়। কুরআন ও হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী এমন কোনো বাক্য উচ্চারণ করা থেকে বিরত থাকা মুসলিমদের কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে সঠিক পথে চলার তাওফিক দান করুন। আমীন।


লেখক:
মাহবুব ওসমানী
ইসলামী চিন্তাবিদ ও লেখক
প্রতিষ্ঠাতা, PoriPurno.com

Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?

Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.

MahbubOsmane.com’s Exclusive Services

Digital Marketing
SEO & SMM
Content Creation
Web Development
Google Ads & Meta Ads
Graphic Design
Affiliate Website
Brand Promotion
Marketing Plan & Consulting
Other Services
Our Courses
Domain Hosting

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button