PoriPurno News Desk | ২ আগস্ট ২০২৫
“মুরগির রান কার থালায় পড়ত, এই প্রশ্নেই মা হঠাৎ থমকে যায়…”
এভাবে শুরু হয় এক মেয়ের স্মৃতিমাখা আত্মকথন, যেখানে উঠে এসেছে এক নারীর, একজন মায়ের, সমাজে প্রচলিত ‘ছেলে-মেয়ে’র ভিন্নতাভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গির নির্মম বাস্তবতা। আর সেই বাস্তবতা কীভাবে একজন সন্তানের হৃদয়ে আজীবন ক্ষতের মতো রয়ে যায়—তারই এক মর্মস্পর্শী গল্প।
ছেলেরা কেন্দ্র, মেয়েরা প্রান্ত: এক বঞ্চনার চিত্র
এই পরিবারের ছয় ভাইবোন—দুই ভাই, চার বোন। মা ছিলেন গৃহিণী, বাবা সরকারি চাকরিজীবী। ছোটবেলায় দেখা যেত, মা যত্ন করে মুরগি পালন করতেন, বাজার থেকে বড় মাছ আনাতেন—সবকিছুই মূলত দুই ছেলের জন্য।
বিশেষত, বড় ভাই বাড়ি এলেই রান্না হতো মুরগি, আর রান পিস বরাদ্দ থাকত ছেলেদের জন্য। বোনদের জন্য থাকত কেবল পাখনা বা গলার হাড়। মেয়ে সন্তানেরা শুধু চেয়ে থাকত, অভিমান চেপে রাখত, প্রশ্ন করলে জবাব মিলত—”তোর ভাইরা হোস্টেলে থাকে, কষ্ট পায়, মন ভরে না।”
তবু থেমে থাকেনি মেয়েরা
বঞ্চনার পরও চার বোনেই নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে—কেউ কলেজে পড়ায়, কেউ সরকারি চাকরিতে। কিন্তু ভাইদের যতটা যত্ন ও মূল্যায়ন ছিল পরিবারের কাছে, বোনদের জন্য ততটা কখনোই ছিল না। এমনকি ছোট বোন একবার প্রেমে জড়ালে, মা তাকে এমনভাবে ধমক দেন যে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অথচ বড় ভাইয়ের প্রেমের গল্পে মা চুপ ছিলেন। কারণ হিসেবে বলেছিলেন—“ছেলে আর মেয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে।”
চিকিৎসায় মেয়েরাই পাশে, ভাইয়েরা শুধু দূরে
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মায়ের ক্যানসার ধরা পড়ে। সেই মুহূর্তেও দুই ভাই ছিলেন অনুপস্থিত। মা যেন ছিলেন কেবল মেয়েদের দায়িত্বে। চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চেন্নাই, তিন মাস ধরে চলে কেমোথেরাপি, চিকিৎসা, সেবা আর অগাধ ভালোবাসা—সবকিছুই দেয় চার মেয়ে।
মা তখন বুঝতে শুরু করেন জীবনের সত্য। কেবিনে থাকা আরেক বৃদ্ধা মহিলা—যার পাঁচ ছেলে, অথচ একাই কিডনির চিকিৎসা করাতে এসেছে—মেয়েদের দেখে আবেগে বলেন, “তোমরা ভাগ্যবতী। মেয়েরা পাশে আছে, এটা বড় সৌভাগ্য।”
মায়ের চোখে অনুশোচনা, মেয়েদের চোখে ক্ষমা
চিকিৎসা শেষে মা দেশে ফিরে আসেন। মেয়ে চায়, মা তাদের সঙ্গেই থাকুক। কিন্তু মা বলেন, “আমি বাবার করা বাড়িতেই থাকব।”
তবু প্রতিদিন সন্ধ্যায় মা গেটের পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। মেয়েকে দেখে বলেন, “আজ মুরগির রান রেখেছি তোর জন্য।”
এই একটি বাক্যে যেন ভেঙে পড়ে মেয়ে—মনে পড়ে ছোটবেলার সেই একটুকরো রান, যা কখনো জোটেনি।
এখন মা বুঝেছেন—ভুল করেছিলেন। ছেলেমেয়ের মধ্যে যে বিভাজন রেখেছিলেন, সে আজ তাঁকে নিঃসঙ্গ করে তুলেছে।
আর মেয়েরা?
তারা মাকে ক্ষমা করে, ভালোবাসতে শিখেছে নতুন করে।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
একটা সমাজের প্রতিচ্ছবি
এই গল্প শুধু একটি পরিবারের নয়, বরং বহু দক্ষিণ এশীয় পরিবারের বাস্তব প্রতিচ্ছবি। যেখানে আজও ছেলেরা হয় পরিবারের কেন্দ্র, আর মেয়েরা থাকে প্রান্তে।
কিন্তু সময় বদলাচ্ছে। মেয়েরা এগোচ্ছে, দায়িত্ব নিচ্ছে, ভালোবাসার দায় কাঁধে নিচ্ছে—যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই।
উপসংহার
একটা মুরগির রান দিয়ে শুরু হলেও, এই গল্প শেষ হয় একজন মায়ের অনুশোচনা, আর চার মেয়ের ক্ষমা আর ভালোবাসার মাধ্যমে।
আমাদের সমাজকে নতুন করে ভাবতে শেখায় এই বাস্তব গল্প—ভালোবাসা ছেলে-মেয়ে দেখে হয় না, সন্তান মানেই সমান।
একই বাড়ি, একই খাবার, কিন্তু ভাগাভাগিতে বৈষম্য! মায়ের অনুশোচনা আর এক বোনের কষ্টের গল্পে উঠে এসেছে বাস্তব জীবনের নির্মম সত্য। সন্তানদের মধ্যে বিভাজনের পরিণতি কতটা গভীর হতে পারে—জানুন এই হৃদয়স্পর্শী প্রতিবেদন থেকে।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.
