ফয়েজ তাইয়েব বনাম সামিট-মিডিয়া সিন্ডিকেট: ‘দুর্নীতি’ আড়ালে কর্পোরেট আধিপত্যের লড়াই?

PoriPurno News Desk | ৩১জুলাই ২০২৫
বিটিসিএলের ফাইভজি ‘রেডিনেস’ প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার-এ প্রকাশিত একযোগে ধারাবাহিক প্রতিবেদনগুলো বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রতিবেদনের কেন্দ্রে আছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ তাইয়েব। অভিযোগের ধরন দেখে প্রথমেই প্রশ্ন জাগে—এটা কি সত্যিই দুর্নীতির অনুসন্ধান, না কি এটি কর্পোরেট আধিপত্য টিকিয়ে রাখার একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা?
মিডিয়া ও কর্পোরেটের সম্পর্ক: অদৃশ্য সেতুবন্ধন
প্রথম আলো পরিচালিত মিডিয়াস্টার লিমিটেড সরাসরি ট্রান্সকম গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত হলেও এর গভীরে রয়েছে একটি ট্রাস্ট—প্রথম আলো ট্রাস্ট। এবং এই ট্রাস্টের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান। এই ট্রাস্টের তহবিল জোগান দেয় সামিট, বিশেষত “আলোর পাঠশালা” প্রকল্পে। ২০০৯–২০১৫ সাল পর্যন্ত আজিজ খান ছিলেন এই ট্রাস্টের চেয়ারম্যান।
Follow the money—এই সাংবাদিকতা মৌলনীতি সামনে এনে বলা যায়, ট্রাস্টের এই আর্থিক নির্ভরশীলতা অনেক সময় রিপোর্টিংয়ের নিরপেক্ষতা নষ্ট করে। এর ফলে প্রথম আলো কিংবা ডেইলি স্টার যখন সামিটের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিটিসিএলের কোনো পদক্ষেপের সমালোচনা করে, তখন সেটি কেবল একটি ‘সংবাদ’ না থেকে এক ধরনের ‘কৌশলগত স্ট্যান্স’-এ পরিণত হয়।
সামিট বনাম বিটিসিএল: অবকাঠামো নিয়ন্ত্রণের লড়াই
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৫৫ হাজার কিলোমিটার ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক সামিটের নিয়ন্ত্রণে। এই পরিস্থিতিতে বিটিসিএল যদি নিজস্ব ফাইবার অপটিক ব্যাকবোন তৈরি করে এবং সুলভ মূল্যে আইএসপি-দের কাছে ভাড়া দেয়, তাহলে সামিটের দীর্ঘমেয়াদি লাভে বড় ধাক্কা লাগবে। বিটিসিএলের ৫জি উদ্যোগ তাই সামিটের কাছে শুধু প্রতিদ্বন্দ্বিতার নয়—একটি ‘ঝুঁকি’র নাম।
এখানেই ফয়েজ তাইয়েবের ভূমিকা আলোচনায় আসে। তিনি প্রকল্পটিকে এগিয়ে নিচ্ছেন, যদিও কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই দুর্নীতির অভিযোগগুলো বাস্তব ভিত্তিতে উঠে আসছে, না কি এগুলো পরিকল্পিত অপপ্রচারের অংশ?
চারটি অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা
১. দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রকিউরমেন্টে অগ্রগতি
→ প্রকল্পের বিপরীতে ইতোমধ্যেই এলসি ইস্যু হয়ে গেছে, পিছিয়ে গেলে রাষ্ট্রের ১৪০ কোটি টাকার ক্ষতি। তাছাড়া পণ্যটি হুয়াওয়ে থেকে—বিশ্বমানে স্বীকৃত কোম্পানি।
- প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন হয়নি
→ বিটিসিএলের টেকনিক্যাল সক্ষমতা না থাকার কারণে এই ধরণের ইন্সপেকশন সাধারনত কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ। ফয়েজ তাইয়েব পোস্ট-শিপমেন্ট ইন্সপেকশনের পরামর্শ দেন যা সঠিক এবং বাস্তবসম্মত। - দুদককে প্রভাবিত করার অভিযোগ
→ তিনি সরকারিভাবে জিও ইস্যু করে চিঠি দেন। সেখানে দুদককে প্রভাবিত করার কোনো অনৈতিক প্রয়াস নেই। বরং প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বার্থে রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করেছেন। - বুয়েটের সুপারিশ অগ্রাহ্য করে অতিরিক্ত ক্ষমতা স্থাপন
→ ফয়েজ দাবি করেছেন এই অতিরিক্ত সক্ষমতা ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয়। কারণ, এসব যন্ত্রপাতি ২৫–৩০ বছর স্থায়ী হয়। বর্তমানে অতিরিক্ত মনে হলেও ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে।
মিডিয়া সিন্ডিকেটের গেমপ্ল্যান?
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনগুলো এসেছে একই দিনে, প্রায় একই শিরোনাম ও কাঠামোতে। এটি স্বাভাবিক সাংবাদিকতা নয়, বরং ‘কোঅর্ডিনেটেড ন্যারেটিভ বিল্ডিং’। এর পেছনে আজিজ খানের সামিটের অর্থায়ন থাকা অস্বাভাবিক নয়।
আজিজ খান শুধু একজন ব্যবসায়ী নন, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানের বড় ভাই। শেখ পরিবারের সাথে সামিটের পারিবারিক সম্পর্কও রয়েছে। একে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে একটি ‘অলিগার্ক নেটওয়ার্ক’, যা পর্দার আড়ালে দেশের অর্থনীতির নিয়ন্ত্রক।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
ইন্টারিম সরকারের ব্যর্থতা?
বর্তমান ইন্টারিম সরকার এখনো এই কর্পোরেট-মিডিয়া-রাজনৈতিক সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে দৃঢ় কোনো অবস্থান নেয়নি। এর ফলে, ভবিষ্যতে যে সরকারই আসুক না কেন, এই সিন্ডিকেট নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে যেকোনো ‘ভিন্নমতকে’ দুর্নীতির অভিযোগে ঘায়েল করবে। এবার যেমন ফয়েজ তাইয়েবকে করা হচ্ছে।
উপসংহার
ফয়েজ তাইয়েবের ওপর দুর্নীতির অভিযোগের চেয়ে বড় ইস্যু হলো—বাংলাদেশের টেলিকম খাতের ওপরে কর্পোরেট মাফিয়া, মিডিয়া সিন্ডিকেট এবং রাজনৈতিক সম্পর্কের এক জটিল নেটওয়ার্ক কীভাবে কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চায়।
এই রিপোর্ট সেই রঙ্গমঞ্চের প্রথম দৃশ্য মাত্র। যেকোনো সরকারি প্রকল্প, যেটি অলিগারকদের ব্যবসায়িক স্বার্থে আঘাত করবে, তাকেই টার্গেট করা হবে ‘দুর্নীতিবাজ’ আখ্যা দিয়ে। এবং এই আক্রমণের নেতৃত্ব দেবে মিডিয়া—যাদের নিরপেক্ষতার মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে কর্পোরেট পৃষ্ঠপোষকতা।
“ফয়েজ তাইয়েব বনাম সামিট-মিডিয়া সিন্ডিকেট: দুর্নীতির অভিযোগ নাকি কর্পোরেট আধিপত্যের যুদ্ধ?”
ব্যক্তিগত অপরাধ না কি গোটা সিস্টেমকে চেপে ধরার চেষ্টা? ফয়েজ তাইয়েবের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পেছনে কি শুধু দুর্নীতি, নাকি আরও গভীর কর্পোরেট খেলা চলছে?
সিন্ডিকেট বনাম স্বতন্ত্র কণ্ঠ—এই লড়াইয়ের আসল রূপ জানুন অনুসন্ধানী বিশ্লেষণে।একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ বনাম গণস্বার্থ—আপনি কোন পক্ষে?
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.



