রাষ্ট্র পরিচালনায় দ্বৈত-শাসন ব্যবস্থার আশঙ্কা: ঐকমত্য কমিশন থেকে কেন ওয়াকআউট করলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ?

PoriPurno News Desk | ১ আগস্ট ২০২৫
ঐকমত্য কমিশনের চলমান আলোচনায় হঠাৎ করেই আলোচনার মাঝপথে ওয়াকআউট করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। বন্ধুর তালিকা থেকে বহুজন জানতে চেয়েছেন—তিনি কেন এমন করলেন? এই ওয়াকআউট কি নিছক একধরনের রাজনৈতিক প্রতিবাদ, নাকি এর পেছনে রয়েছে গভীর কোনো রাষ্ট্রচিন্তা?
এক কথায়, সালাহউদ্দিন আহমেদ মনে করছেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় ‘দ্বৈত-শাসন’ আনার একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, এবং এর প্রতিবাদে তিনি আলোচনা থেকে বেরিয়ে যান।
দ্বৈত-শাসন ব্যবস্থা বলতে কী বোঝানো হচ্ছে?
রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে তিনটি অঙ্গ—বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগ। এর মধ্যে নির্বাহী বিভাগই সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের প্রতিনিধি। তারা আইন বাস্তবায়ন করে, প্রশাসন পরিচালনা করে, বাজেট তৈরি করে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, এবং রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে।
সালাহউদ্দিন আহমেদের আপত্তি এখানে—যদি নির্বাহী বিভাগ শুধু কাগজে থেকে বাস্তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা বাস্তবায়নের ক্ষমতা না রাখে, তাহলে তা হয়ে দাঁড়ায় ‘কাগুজে বাঘ’। তখন আমলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাস্তবিকভাবে এদের নির্দেশ মেনে চলবে না। ফলে সৃষ্টি হবে একটি ছায়া সরকার বা ‘দ্বৈত শাসন’, যা রাষ্ট্রের ভারসাম্য ও জবাবদিহিতার জন্য মারাত্মক হুমকি।
ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে কী ছিল?
আজকের আলোচনায় কমিশনের প্রস্তাব ছিল—’সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল’ পদে নিয়োগের জন্য একটি আলাদা কমিটি গঠন করতে হবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদের প্রশ্ন—”আমি যদি সরকারের দায়িত্বে থাকি, তাহলে আমার টিম কাদের নিয়ে সাজাবো সে সিদ্ধান্ত অন্য কেউ নেবে—এটা কি কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা?” তিনি এটিকে ‘এবসার্ড আইডিয়া’ বলে উল্লেখ করেছেন।
নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
প্রতিটি মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যের মধ্য থেকে নির্বাচিত হন। তারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করে। সেক্ষেত্রে যদি রাষ্ট্র পরিচালনায় তাদের ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা’ না থাকে, বরং কোনো কমিশনের সুপারিশ বা কমিটির ইচ্ছায় সব কিছু চলতে থাকে, তাহলে মূলত জনপ্রতিনিধির উপর আস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আপনি সরকারে আছেন, কিন্তু আপনার অধীনে কাজ করবে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নিয়োগ আপনি দিতে পারবেন না—তাহলে সরকারের পলিসির বাস্তবায়ন করবে কে?”
সংবিধানের ভারসাম্য নষ্ট হবে না?
তিনি যুক্তি দেন—নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করলে রাষ্ট্রীয় ভারসাম্য নষ্ট হবে। কারণ বিচার বিভাগ সংস্কার করা হয়েছে। এখন যেকোনো বেআইনি পদক্ষেপ আদালতের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ করা সম্ভব। তাহলে নির্বাহী বিভাগের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের যৌক্তিকতা কোথায়?
তিনি বলেন, “আপনারা যদি শক্ত আইন তৈরি করেন এবং স্বচ্ছ সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দেন, তাহলে চেক অ্যান্ড ব্যালান্স নিজেই তৈরি হয়ে যাবে। আলাদা কমিটি করে দায়িত্ব কেড়ে নেওয়ার দরকার নেই।”
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
বিদেশি চাপের ইঙ্গিত?
সালাহউদ্দিন আহমেদ সরাসরি উল্লেখ করেননি, তবে তার বক্তব্যে ইঙ্গিত ছিল—বিদেশি শক্তির সাজেশন বা চাপের মাধ্যমে দেশটিতে ‘দুর্বল সরকার’ প্রতিষ্ঠার একটি কৌশল হিসেবে এধরনের প্রস্তাব আসছে।
তিনি বলেন, “একজন নির্বাচিত সরকার প্রধান যদি ১০ বছরের বেশি ক্ষমতায় না থাকতে পারেন, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন যদি থাকে, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যম স্বাধীন হয়—তাহলে নির্বাহী বিভাগের হাতে ক্ষমতা রাখতে ভয় কিসের?”
শেষ কথায় কী উঠে এসেছে?
আলোচনার শেষভাগে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগে শক্তিশালী আইন হোক, স্বচ্ছতা হোক, কিন্তু নির্বাহী বিভাগের অধিকার ও ক্ষমতা সীমিত করার নামে যেন একটি ছায়া সরকার বা ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ হয়—যা গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ধ্বংস করবে।”
এই যুক্তি থেকেই তিনি ঐকমত্য কমিশনের আজকের অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেছেন।
পাঠকের জন্য ভাবনা:
রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভারসাম্য রক্ষার জন্য কী শুধু বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যথেষ্ট? নাকি নির্বাহী বিভাগের পূর্ণ ক্ষমতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করাও একটি জরুরি শর্ত?
এই প্রশ্নগুলো এখন দেশের ভাবনা-পরিসরে নতুন আলোচনার জন্ম দিচ্ছে। ঐকমত্য কমিশনের ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তগুলো সেই আলোচনাকে কোন দিকে নিয়ে যাবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকেই উঠে এল দ্বৈত-শাসন ব্যবস্থার আশঙ্কা! কেন আলোচনার মাঝপথে উঠে গেলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ? বাস্তব শঙ্কা, রাজনৈতিক সংকেত ও ভবিষ্যতের ইঙ্গিত—সব মিলিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.



