যুদ্ধাপরাধ, নিষ্ঠুরতা ও মানসিক বিকৃতি: যখন খুনিকে রক্তমাখা হাতই ফিরিয়ে দেয় ‘ফিলিংস’

PoriPurno News Desk | ৩১জুলাই ২০২৫
৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস সদস্যদের বর্বরতা আজও বাঙালির জাতীয় স্মৃতিতে গাঁথা। সেই সময়ের নির্মম, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। সেখানে এক সাক্ষ্য উঠে এসেছে যা শুধু ইতিহাস নয়, মানবতার হৃদয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে।
এক ভয়ংকর স্বীকারোক্তি:
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তালুকদার মো. তৌহিদুর ইসলাম এক সাক্ষাৎকারে এমন এক যুদ্ধাপরাধীর জবানবন্দির বর্ণনা দেন, যা শুনে শিউরে উঠতে হয়।
প্রসিকিউটর বলেন:
“একজন আসামি আছে যার ব্যাপারে আমরা তদন্ত পেয়েছি। সে নিজের হাতে মাথায় গুলি করে ১,০০০ জন মানুষকে হত্যা করেছে। তাদের একটি নির্দিষ্ট স্থানে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তার নেশা ছিল বন্দিদের চোখ-হাত-পা বেঁধে বুড়িগঙ্গা নদীতে নিয়ে যাওয়া। সেখানকার একটি নৌকার মধ্যে বসিয়ে সে গুলি করত। তারপর লাশ ফেলে দিত নদীতে। একসময় আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি কেন নিজের হাতে গুলি করো?”
উত্তরে সেই যুদ্ধাপরাধী যা বলেছে, তা কল্পনাকেও হার মানায়:
“গুলির পর নিথর দেহের মগজ আর গরম রক্ত যখন হাতে লাগে, তখন আমার মধ্যে এক অনুভূতি আসত— একধরনের ‘ফিলিংস’। এটা আমার কাছে আনন্দদায়ক ছিল।”
এই বক্তব্য কী প্রকাশ করে?
এটি শুধু একজন খুনির বিকৃত মানসিকতারই উদাহরণ নয়, এটি এক ভয়ংকর বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয় আমাদের। যে ব্যক্তি শত শত মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে এবং সে সেই হত্যাকেই নিজের মানসিক তৃপ্তির উৎস হিসেবে বর্ণনা করছে— তার মানসিক গঠন যে কতটা বিকৃত, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
মনোবিজ্ঞান কী বলে?
মনোবিজ্ঞানীরা এমন অপরাধপ্রবণ মানসিকতাকে সাইকোপ্যাথি (Psychopathy) বলে থাকেন। এই ধরনের মানুষ সাধারণ মানবিক অনুভূতির বাইরে। তাদের মধ্যে অপরাধ থেকে একধরনের আনন্দ আসে। অপরাধ না করলে তারা বিরক্তি বা শূন্যতা অনুভব করে।
সাইকোপ্যাথদের সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো, তারা অনেক সময় সমাজে স্বাভাবিক রূপে চলাফেরা করে। তাদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়, কিন্তু তারা মানবতার জন্য এক বড় হুমকি।
এই বিবরণ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
- ইতিহাস জানার জন্য: মুক্তিযুদ্ধ শুধু একটি রাজনৈতিক লড়াই ছিল না; এটি মানবতার পক্ষে এক মহাসংগ্রাম ছিল।
- নতুন প্রজন্মকে সচেতন করার জন্য: যেন তারা বুঝতে পারে, কী ভয়াবহ দানবদের বিরুদ্ধে এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল।
- ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য: বিচার শুধু শাস্তি নয়, এটি ভবিষ্যতের জন্য সতর্কবার্তা।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
বিচারের অগ্রগতি ও দায়বদ্ধতা:
এই যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলছে বিচার। জাতি হিসেবে আমাদের দায়িত্ব— আমরা যেন ইতিহাসকে মুছে যেতে না দিই, আমরা যেন বিচারকে থেমে যেতে না দিই।
শেষ কথা:
যে ব্যক্তি মানুষের নিথর দেহ থেকে গরম রক্ত ছিটকে তার হাতে লাগলে ‘আনন্দ’ অনুভব করে, সে মানুষ নয়— সে এক বিকৃত চিন্তাধারার রূপ। এ ধরনের ব্যক্তিদের স্থান শুধুই বিচারের কাঠগড়ায়, ইতিহাসের ঘৃণিত পাতায়।
এই ঘটনাগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়: স্বাধীনতা কোনো উপহার নয়— এটি লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত।
এই ইতিহাস আমাদের জানতে হবে, জানতে দিতে হবে— যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো ‘ফিলিংস’প্রিয় খুনি জন্ম না নেয়।
যখন রক্তই হয়ে ওঠে অনুভূতির উৎস! খুনিদের মানসিক গহ্বরে কী লুকিয়ে থাকে?
যুদ্ধাপরাধ, নির্মমতা আর বিকৃত মানসিকতা—কেন কিছু মানুষ রক্তপাতেই খুঁজে পায় ‘ফিলিংস’? জানুন বাস্তব উদাহরণ ও মনোবিজ্ঞানীর বিশ্লেষণ।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.



