৫ বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স প্রণোদনা: ফ্রিল্যান্সারদের প্রাপ্য গেল কোথায়?

PoriPurno News Desk | ২ জুলাই ২০২৫

২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সরকার রেমিট্যান্স প্রণোদনার নামে খরচ করেছে আনুমানিক ২৫ হাজার কোটি টাকা। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ দেওয়া এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে এই প্রণোদনার ব্যবস্থা চালু করা হয়। তবে এই প্রণোদনার বাস্তব সুবিধাভোগী কারা? আর যারা প্রকৃত অর্থে বৈধ পথে আয় পাঠিয়েছেন—ফ্রিল্যান্সার, ইউটিউবার, অ্যাডসেন্স ব্যবহারকারী কিংবা রিমোট জব হোল্ডার—তাদের ভাগ্যে জুটেছে কিছু?

এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আজকের প্রতিবেদন।


রেমিট্যান্স প্রণোদনার হিসাব: কে পেল, কে পেল না

২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে সরকার প্রথমবারের মতো রেমিট্যান্সের উপর ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া শুরু করে। পরে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে এটি বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করা হয়, যা এখনো বহাল রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ১০৯.৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

বছরভিত্তিক সরকারের ব্যয় ছিল নিম্নরূপ:

মোট ব্যয়: প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা।


আপনি কি ব্যাংকিং চ্যানেলে মাত্র ১০০ ডলারও পেয়েছেন? তাহলে আপনার প্রণোদনা কোথায়?

ফ্রিল্যান্সার, ইউটিউবার, গ্রাফিক ডিজাইনার, অ্যাডসেন্স ইনকামার বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস ব্যবহারকারী—যেকোনো ব্যক্তি যদি বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে ১ ডলারও আয় করে থাকেন, তাহলে তাতেও সরকার ২-২.৫% হারে প্রণোদনার বরাদ্দ রেখেছে।

তবুও বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার বা ইউটিউবার এই প্রণোদনা পাননি। প্রশ্ন ওঠে—এই বিশাল অঙ্কের টাকা তাহলে গেল কোথায়?


ভুয়া কোম্পানি, শেল মার্কেটপ্লেস ও বিএফডিএস: কাদের হাত ধরে টাকা গেল?

সরকার যে ৫৫টি মার্কেটপ্লেসকে রেমিট্যান্স প্রণোদনার উপযুক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে, তার মধ্যে কিছু ভুয়া বা শেল কোম্পানি রয়েছে। সবচেয়ে আলোচিত দুটি নাম:

এই মার্কেটপ্লেসগুলো ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের নামে কালো টাকা হোয়াইট করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি সরকার ওই ফাঁকা কোম্পানিগুলো থেকেই আসা ডলারের বিপরীতে প্রণোদনাও দিয়েছে।

এই তালিকা কারা ঠিক করেছে? তাদের দায়ভার কে নেবে?


বিএফডিএস (BFDS): মূল অপারেশনাল হাতিয়ার?

বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (BFDS) নামের একটি সংগঠন ২০২০ সালে আত্মপ্রকাশ করলেও, প্রণোদনা চালু হয় ২০১৯ সালের জুলাইতে। অর্থাৎ, এর আগে থেকেই চলছিল প্রস্তুতি।

এই সংগঠনকে কেন্দ্র করে প্রণোদনা পাওয়ার জন্য আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়, যার বার্ষিক ফি ছিল ১৫০০ টাকা। বাস্তবে এই কার্ড থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশই প্রণোদনা পাননি। বরং এর মাধ্যমে:


সত্যিকার ফ্রিল্যান্সাররা বঞ্চিত, অথচ টাকার অঙ্কে কোটি কোটি!

একটি নির্দিষ্ট ব্যাংকের হিসাবেই দেখা গেছে, সেখানে কেবলমাত্র একটি ফ্রিল্যান্সিং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কোটির বেশি টাকা প্রণোদনার হিসাব তৈরি হয়েছে। অথচ অ্যাকাউন্টধারী ব্যক্তি কোনো টাকা পাননি। হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার তাদের প্রাপ্য প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।


তাদের টাকা গেল কোথায়?

এই ২৫ হাজার কোটি টাকা থেকে কারা টাকা পেয়েছে?

Increase Your Business with Expert Digital Solutions!

Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!

 14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
 800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
 Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development

Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level!  Visit: MahbubOsmane.com

সমাধান কী?


উপসংহার: আমরা আমাদের পাওনা চাই

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ফ্রিল্যান্সারদের অবদান অনস্বীকার্য। তারা বৈধ পথে ডলার এনেছেন, দেশের রিজার্ভ গড়েছেন। অথচ রাষ্ট্রের বরাদ্দকৃত প্রণোদনা থেকেও তারা বঞ্চিত। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ হতেই হবে।

আমরা শুধু একটাই প্রশ্ন করি—আমাদের প্রণোদনার টাকা কে খেয়েছে?


এই প্রতিবেদনটি আপনাকে দারুণভাবে সাহায্য করবে ফ্রিল্যান্সিং কমিউনিটিতে আলোড়ন তুলতে। চাইলে আপনি নিচে মন্তব্য বা প্রমাণ দিয়ে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন।

Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?

Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.

MahbubOsmane.com’s Exclusive Services

Digital Marketing
SEO & SMM
Content Creation
Web Development
Google Ads & Meta Ads
Graphic Design
Affiliate Website
Brand Promotion
Marketing Plan & Consulting
Other Services
Our Courses
Domain Hosting

Exit mobile version