ত্রাণ নিতে এসে প্রাণ গেল আমিরের — গাজায় মার্কিন সেনার সাক্ষ্যে হৃদয়বিদারক দৃশ্য

PoriPurno News Desk | ১ আগস্ট ২০২৫
গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত মাটিতে প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে নতুন নতুন প্রাণহানির মর্মান্তিক পর্ব। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা—ত্রাণ নিতে এসে প্রাণ হারিয়েছে ছোট্ট শিশু আমির।
মাত্র কয়েক মুঠো খাবারের আশায় ১২ কিলোমিটার পথ হেঁটে গাজায় একটি ত্রাণকেন্দ্রে এসেছিল সে। চরম ক্লান্তি আর দুর্ভিক্ষের কষাঘাতে জর্জরিত ছোট্ট শরীরে যখন সামান্য কিছু ডাল ও চাল তুলে পেয়েছিল, তখন সে হয়তো ভেবেছিল—বেঁচে থাকার লড়াইয়ে আজ অন্তত কিছুটা সান্ত্বনা মিলেছে। কিন্তু সেই স্বস্তির মুহূর্তটুকু ছিল খুবই ক্ষণস্থায়ী।
মার্কিন সেনার সাক্ষ্য: ‘আমির আমার হাত চুমু খেয়েছিল’
এই ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সেনা সদস্য অ্যান্থনি আগুইলার, যিনি বর্তমানে বিতর্কিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ)-এর অধীনে গাজায় একটি ত্রাণকেন্দ্রের নিরাপত্তা দায়িত্বে ছিলেন।
একটি আন্তর্জাতিক পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আগুইলার বলেন, “গত ২৮ মে, আমি গাজায় একটি ত্রাণকেন্দ্রে দায়িত্বরত ছিলাম। শিশু আমির ভিড় ঠেলে আমার কাছে আসে এবং তার হাতে থাকা সামান্য ডাল-চাল দেখিয়ে আমাকে বলে, সে খাবার পেয়েছে। আমি তাকে কাছে ডাকলে, সে কৃতজ্ঞতায় আমার হাত চুমু খায়।”
কিন্তু তারপরই ঘটে যায় ভয়াবহ ঘটনা। আগুইলার জানান, “কয়েক মিনিট পরই হঠাৎ করে ইসরায়েলি বাহিনী সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। সেই গুলিতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ছোট্ট আমির।”
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
 14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
 800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
 Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
বিতর্কিত ত্রাণ ব্যবস্থা ও সহিংসতা
এই ঘটনাটি শুধু একটি শিশুর মৃত্যুই নয়, বরং গাজায় ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা কাঠামোর নৃশংস ব্যর্থতার প্রতীক। গাজায় বর্তমানে আন্তর্জাতিক সহায়তা কেন্দ্রগুলো কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর বদলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মদদপুষ্ট বিতর্কিত সংগঠন ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ)-এর ওপর দায়িত্ব চাপানো হয়েছে।
জিএইচএফ-এর অধীনে পরিচালিত এই ত্রাণ কার্যক্রমে নিরাপত্তার অভাব, স্বচ্ছতার সংকট ও হামলার ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিতরণ ব্যবস্থার আওতায় ত্রাণ নিতে গিয়ে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
মানবিক প্রশ্ন
শিশু আমিরের এই মৃত্যু নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে—ত্রাণের নামে যে ‘নিরাপত্তাহীন সহায়তা ব্যবস্থা’ চালু হয়েছে, তা আসলে কতটা মানবিক? বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সহায়তায় যদি ক্ষুধার্ত শিশুর জীবন রক্ষা না হয়, তবে সেই সহায়তা কতটা কার্যকর, আর কতটা ন্যায়সঙ্গত?
একটি শিশুর প্রাণ চলে যাওয়ার মূল্য কে দেবে?
“মাত্র কিছু ডাল আর চালের আশায় ১২ কিলোমিটার হেঁটে এসেছিল ছোট্ট আমির—কিন্তু ফিরল না আর… ত্রাণ নিতে এসে গুলিতে ঝরে গেল নিষ্পাপ প্রাণ!”
পড়ুন হৃদয়বিদারক এই বাস্তব কাহিনি — মার্কিন সেনার মুখে গাজার এক নির্মম ট্র্যাজেডি।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.
 
				 
					


