রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিচার দাবি—হতে পারে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত!

PoriPurno News Desk | ২৬ জুলাই ২০২৫
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতে নতুন করে আলোড়ন শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে উঠেছে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, বিচারিক শঠতা, শপথ ভঙ্গ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায়ের গুরুতর অভিযোগ। ইতোমধ্যে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে যাত্রাবাড়ীর একটি হত্যা মামলায়, কিন্তু জাতীয় জীবনে তার ‘ভূমিকা’ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তিনি শুধু ফৌজদারি অপরাধেই যুক্ত নন, বরং সাংবিধানিক অপরাধের দায়েও অভিযুক্ত হতে পারেন। বিশেষ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হত্যা করার অভিযোগে তার বিচার হওয়া উচিত বলেই মনে করছেন অনেকে।
অভিযোগের সারসংক্ষেপ:
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল: প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি এমন একটি রায় দেন, যার ফলে দেশের গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিই ভেঙে পড়ে। ফলে দীর্ঘ দেড় দশক ধরে দেশের জনগণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
- শপথ ভঙ্গ ও বিচারিক রাজনৈতিকতা: বিচারপতির পদে বসে তিনি নিরপেক্ষতা হারিয়ে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি ফ্যাসিস্ট শাসনের ‘আইনি রক্ষাকবচ’ হিসেবে কাজ করেছেন।
- রায় পাল্টানোর অভিযোগ: পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ে ‘সংক্ষিপ্ত রায়’ ও ‘পূর্ণাঙ্গ রায়ের’ মধ্যে পার্থক্য করে তিনি ফ্রড করেছেন বলে দাবি করা হয়। এটি সরাসরি রাষ্ট্রদ্রোহের পর্যায়ে পড়ে।
- বিচারিক দলদাসত্ব: বিচারক হিসেবে থাকার সময় তার রায়গুলো ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের মাধ্যম।
আইনি দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্লেষণ:
অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ মঈদুল ইসলাম বলেন, খায়রুল হকের মতো বিচারকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ২১৯ ধারা অনুযায়ী বিচার সম্ভব। এই ধারায় যদি কোনো বিচারক ইচ্ছাকৃতভাবে বেআইনি রায় দেন, তাহলে তাকে ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া যেতে পারে। একাধিক রায়ে অপরাধ প্রমাণিত হলে সাজা হতে পারে ধারাবাহিকভাবে ১৪, ২১ বা আরও বেশি বছর।
অন্যদিকে অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ ইকতেদার আহমেদ বলেন, খায়রুল হক রাষ্ট্রদ্রোহিতার যোগ্য অপরাধ করেছেন। কারণ, তিনি অবসরের ১৬ মাস পর রায়ে স্বাক্ষর করেছেন, যা সরাসরি শপথ ভঙ্গ এবং বেআইনি কাজ। সংবিধানের ১৪৮(১) অনুচ্ছেদ এবং ৭ক ধারা অনুযায়ী এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
সহ-অপরাধী আরও তিন সাবেক বিচারপতি?
খায়রুল হকের সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল রায়ে ছিলেন বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন, সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং এস কে সিনহা। এদের বিরুদ্ধেও একই রকম অভিযোগে মামলা হতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
মানুষের প্রশ্ন: এতদিন কেন অপেক্ষা?
জাতি যখন মাইলস্টোন কলেজের ছাত্রদের প্লেন দুর্ঘটনায় শোকে মুহ্যমান, তখনই হঠাৎ করে খায়রুল হকের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ সরকারকে ধন্যবাদ না দিয়ে বরং বলছে, এত দেরি কেন হলো? এটা কি আবারও একটি “মনোযোগ ঘোরানোর চমক” নয়?
সংবিধান বলছে কী?
- ৭ক ধারা অনুযায়ী, কেউ যদি অসাংবিধানিকভাবে সংবিধান বাতিল, স্থগিত বা পরিবর্তনের চেষ্টায় লিপ্ত হয়, তা হলে তা রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে গণ্য হবে এবং এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
- খায়রুল হকের রায় এবং কার্যক্রম এই ধারার আওতায় আনা সম্ভব বলে বিশ্লেষকদের মত।
শেষ কথা:
প্রধান বিচারপতি হিসেবে এ বি এম খায়রুল হক দেশের আইন, বিচার ব্যবস্থা এবং গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে যেভাবে ধ্বংস করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে, তার জন্য একটি দৃষ্টান্তমূলক বিচার প্রয়োজন। যাতে ভবিষ্যতে কোনো বিচারক বা সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তি আর এমন স্পর্ধা না দেখায়।
জাতির প্রশ্ন এখন একটাই: এ বি এম খায়রুল হক কি শেষ পর্যন্ত শুধুই ইতিহাস হয়ে থাকবেন, নাকি বিচার হয়ে এক নতুন ইতিহাস রচিত হবে?
“সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী? উঠে এসেছে মৃত্যুদণ্ডের সম্ভাবনা! জানুন তার বিচারের পেছনের পুরো কাহিনি ও আইনি বিশ্লেষণ।”
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.



