PoriPurno News Desk | August 08, 2025
শিশুরা আমাদের ভবিষ্যত। তাদের মন এবং চরিত্র গড়ে ওঠে পরিবার ও সমাজের পরিবেশ থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে। বিশেষ করে, বাচ্চারা কথা নয়, বরং বড়দের আচরণ থেকে শেখে। তাই শিশুরা যখন জেদ দেখায়, সেটা শুধু একটি ক্ষণস্থায়ী অবস্থা নয়, বরং তার ভিতরে একটি গভীর মানসিক প্রক্রিয়ার ফলাফল।
জেদের মূল কারণ কী?
শিশুর জেদ বাড়ে তখন, যখন সে উপলব্ধি করে তার চাওয়া বা আগ্রহ অবহেলা করা হচ্ছে। যখন তাকে বারবার “না” শুনতে হয়, যখন তার অনুভূতির প্রতি মনোযোগ দেওয়া হয় না, বা যখন সে দেখে তার আশেপাশের বড়রা রেগে যাচ্ছে— তখন শিশুর মনের ভিতর একটা বার্তা জমে:
- “আমার কথা কেউ শোনে না।”
- “চিৎকার, কান্না বা রাগ করলে হয়তো আমার কথা শোনা যাবে।”
এই মনস্তাত্ত্বিক প্রক্রিয়াটিই ধীরে ধীরে শিশুর মধ্যে জেদি স্বভাব, রাগী মনোভাব ও অস্থির আচরণ গড়ে তোলে। তারা বুঝতে শেখে যে কেবলমাত্র রাগ করে বা চিৎকার করে ইচ্ছা পূরণ করা সম্ভব।
কিন্তু আশার আলো আছে — পরিবর্তন সম্ভব!
শিশুদের আচরণ বদলাতে হলে তাদেরকে ভালোভাবে বুঝিয়ে শেখানো, ভালোবাসা ও ধৈর্যের পরিবেশ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুরা কথা শুনে নয়, বড়দের আচরণ দেখে শেখে। তাই আপনি যেভাবে আচরণ করবেন, শিশুও ঠিক সেভাবে তার ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলবে।
- আপনি যদি তাকে সময় দিন, সে নিরাপত্তা ও গুরুত্ব অনুভব করবে।
- আপনি যদি ভালোবাসা দেখান, সে ভালোবাসা দিতে শিখবে।
- আপনি যদি ধৈর্য ধরেন, সে ধৈর্য ধারণ করতে পারবে।
- আপনি যদি তার আগ্রহের প্রতি সাড়া দেন, সে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে।
“না” বলা সহজ, কিন্তু…
কোনো শিশুকে “না” বলা অনেক সহজ ব্যাপার, কিন্তু “না” এর জায়গায় ভালোভাবে বোঝানো, তার আগ্রহ ও অনুভূতিকে সম্মান করা কঠিন কিন্তু অত্যন্ত জরুরি।
- শিশুর ইচ্ছেকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করা উচিৎ নয়।
- তার কৌতূহলকে শাস্তির মাধ্যমেই দমন করা ঠিক নয়।
- চোখে জেদ দেখালে রাগের মাধ্যমে জবাব দেয়াও সঠিক নয়।
বরং তাকে ধীরে ধীরে বোঝাতে হবে, তার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দেখাতে হবে, পাশে থাকতে হবে। এতে সে বুঝবে, তার কথা গুরুত্বপূর্ণ, তার অনুভূতি সম্মানিত।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
কী করবেন?
- না বলার বদলে বিকল্প দিন: যখন কোনো কিছু সম্ভব না, তখন ‘না’ বলে সব শেষ না করে বিকল্প কিছু প্রস্তাব করুন।
- ছোট ছোট সিদ্ধান্ত নিতে দিন: বাচ্চাদের স্বাধীনতা দিন নিজের পছন্দ করার, এতে তার আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠবে।
- সবকিছুতেই না বলবেন না, কিছু ক্ষেত্রে ধৈর্যের সাথে বুঝিয়ে বলুন: শিশুদের মানসিকতা বুঝে সঠিক সময়ে বুঝিয়ে বলুন।
- রাগ হলে থামুন: আপনার রাগ শিশুর শেখার জায়গা, তাই রাগ করেও তাকে ভালোভাবে বোঝানোর চেষ্টা করুন।
- প্রতিদিন কিছুটা সময় শুধু তার জন্য রাখুন: শিশুর প্রতি আপনার ভালোবাসা ও মনোযোগ তার আচরণে বড় প্রভাব ফেলে।
- তার কাছে বারবার বলুন: “তুমি গুরুত্বপূর্ণ,” “তোমার কথা আমি শুনি,” “তোমাকে আমি অনেক ভালোবাসি।”
শেষ কথা
বাচ্চারা যা দেখে তাই হয়। আপনি যদি শান্ত থাকেন, ভালোবাসা দেন, ধৈর্য ধরেন — সে-ও সেইভাবেই শিখবে ও বড় হবে। এর ফলে সে বড় হয়ে একজন সুস্থ, দায়িত্ববান ও ভালো মানুষ হবে।
শিশুর মন ভালো রাখতে, তার ব্যক্তিত্ব গড়তে আমাদের ছোট ছোট ভালো কাজই বড় প্রভাব ফেলে। তাই আজই শুরু করুন শিশুর প্রতি আপনার আচরণ ও মনোভাব পর্যালোচনা করার।
এই গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি সকল মা-বাবার কাছে পৌঁছে দিন, যারা মাঝে মাঝে অসাবধানতায় রাগ দেখান—হয়তো এই লেখা তাদের মনকে নরম করে দেবে, এবং শিশুর প্রতি ভালোবাসা ও ধৈর্যের পথে চালিত করবে।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.
