প্রেম নয়, প্রতিশ্রুতির বিয়ে: শুরুর ভালোবাসা, আজ শুধুই বেদনার গল্প

PoriPurno News Desk | ১ আগস্ট ২০২৫
একটি মেয়ের জীবনের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা স্বপ্নভঙ্গের করুণ কাহিনি আমাদের সামনে এসেছে। মাত্র ৯ বছর বয়সে তার বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। ছেলের পরিবারের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় মেয়েটির পরিবার। তখন থেকেই একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভিত্তিপ্রস্তর রচিত হয়—যার দায় এখন কেউ নিতে চায় না।
ছেলেটির ব্যবহার, আচরণ, চালচলন দেখে বাবা-মা সন্তুষ্ট হলেও, মেয়েটির মনে ছিল এক ধরনের অস্বস্তি, অপছন্দ। কিন্তু সামাজিক চাপ আর পরিবারের মানসিক বোঝাপড়ায় তাকে রাজি হতে হয়। তারা ভাবতেন—সময় গেলে ভালোবাসা জন্মাবে। নিকট আত্মীয় হিসেবে ছেলেটির পরিবারে নিয়মিত যাওয়া-আসা ছিল, যা মেয়েটির জন্য ছিল অস্বস্তিকর, অনিচ্ছার পরও।
১৬ বছর বয়সে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সে সম্পর্ক মেনে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং ধীরে ধীরে ভালোবাসতেও শেখে। কিন্তু সংসার শুরু হওয়ার পরই ধরা পড়ে বাস্তবতার নির্মম চিত্র।
প্রথম বছর ছেলেটি ছাত্র ছিল, যোগাযোগ-দেখাশোনার খরচ পরিবারই বহন করত। এমনকি মেয়েটিই ব্যালেন্স দিয়ে কথা বলত, যাতে স্বামীর খরচ না হয়। পরে চাকরি হয় ছেলেটির, কিন্তু তখন থেকেই শুরু হয় দূরত্ব, অবহেলা। মেয়েটি প্রয়োজনীয় কিছু চাইলে অপরাধীর মতো আচরণ পেতে থাকে। খরচের ক্ষেত্রে গড়িমসি, অনীহা আর অজুহাত তৈরি হতে থাকে।
এক সময় গর্ভবতী হন মেয়েটি। সেই সময় থেকে সন্তান জন্ম পর্যন্ত যত খরচ, সবকিছুই মেয়েটির বাবার পরিবার বহন করে। তার শ্বশুরবাড়ির যুক্তি ছিল—“মেয়ে তো বাবার ঘরের, খরচও বাবার।”
এই মানসিকতার ধারাবাহিকতায় মেয়েটির পরিবার সবকিছু দিয়েও শান্তি পায়নি। শাশুড়ি সবসময় নালিশ করতেন, মেয়েটিকে নিয়ে পেছনে খারাপ কথা বলতেন, ছেলে ও আশপাশের মানুষকে ভুল ধারণা দিতেন। অথচ মেয়েটি কখনো সামনাসামনি তর্ক করেনি, ইচ্ছাকৃতভাবে সম্পর্ক নষ্ট করার কিছুই করেনি।
আজ বহু বছর কেটে গেছে। সন্তান বড় হচ্ছে। স্বামীর আচরণ আরও কঠিন, অর্থের গরম দেখায়, দায়িত্বে ফাঁকি, মাঝে মাঝে হেনস্তা, এমনকি শারীরিক হুমকিও দেয়। অসুস্থ হলে চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে চায় না। বরং মেয়েটির বাবার বাড়িই সব করে যাচ্ছে।
এই অবস্থায় হতাশ হয়ে একবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন তিনি। পরিবার ও সমাজ বলে “ধৈর্য ধরো, ঠিক হয়ে যাবে।” কিন্তু দিন দিন পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। একদিকে আত্মমর্যাদা, অন্যদিকে ভালোবাসার টান। একটা অসম্পূর্ণ সম্পর্ক, যেখানে অনুভূতি আছে, ভালোবাসা আছে, কিন্তু নেই সম্মান, নেই দায়িত্ব।
স্বামী এখন বলে—“আমি তো সিরিয়াস ছিলাম না, ছোটবেলায় মজা করেই বলেছিলাম।” অথচ সেই মজার কথা নিয়েই একটি মেয়ে আজ সংসার করছে, সন্তান লালন করছে, স্বামীকে ভালোবেসে জীবন কাটাচ্ছে।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
এই গল্প শুধু একজন নারীর নয়, অনেকের জীবনের প্রতিচ্ছবি। যেখানে ছোটবেলার প্রতিশ্রুতি হয় অদ্ভুত শেকল, আর জীবনের বাস্তবতা হয় একাকিত্ব, বঞ্চনা আর ধৈর্যের পরীক্ষা।
সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব, এই ধরনের সম্পর্কগুলোতে মেয়েরা যেন অবহেলার শিকার না হয়। শুধুমাত্র পরিবারের চাপে, সামাজিক চুক্তির নামে কোনো মেয়েকে জীবনের এমন ছন্দহীন যন্ত্রণার দিকে ঠেলে দেওয়া হতে পারে না।
শেষকথা: ভালোবাসা শুধু অনুভূতির বিষয় নয়, এটি দায়িত্ব, কর্তব্য ও সম্মানের মিশ্রণ। আর তা না থাকলে, তা হয়ে পড়ে নিছক একপাক্ষিক আত্মত্যাগ—যা কেবল অন্তহীন বেদনার নামান্তর।
যেখানে প্রেম নয়, বিয়ের ভিত্তি ছিল একটি প্রতিশ্রুতি। সময়ের সঙ্গে গড়ে উঠেছিল ভালোবাসা, আবার সেই সময়ই এনে দিয়েছে দুরত্ব, কষ্ট আর নিঃসঙ্গতা। বাস্তব জীবনের এই সম্পর্কগাঁথা প্রশ্ন তোলে—ভালোবাসা কি প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে টিকে থাকতে পারে? এক হৃদয়ছোঁয়া প্রতিবেদন।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.



