আন্দোলনের মুখোশ খুলছে একে একে—চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও বিশ্বাসভঙ্গের অপকথন

PoriPurno News Desk | ১ আগস্ট ২০২৫
একদিন যাদের পোস্টার ঝুলেছিল দেশের রাজপথে ‘শোষণের বিরুদ্ধে’ লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে, আজ তাদের মুখোশ একে একে খুলে যাচ্ছে। এক সময়ের ছাত্রনেতা, এখন চাঁদাবাজির আসামি—বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক পরিচয়ে গুলশানে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া সেই এনসিপি নেতার বাস্তবতা যেন সবই বলে দেয়।
রিকশাচালকের সন্তান, আড়াই লাখ টাকার কোরবানির গরু!
যে ছেলেটির বাবা ও চাচা গ্রামে রিকশা চালায়, সে আজ গ্রামে দোতলা বাড়ি তোলে, ঈদে আড়াই লাখ টাকার কোরবানির গরু দেয়। এর উৎস কী? এক বছরের ব্যবধানে এমন আর্থিক উল্লম্ফনের ব্যাখ্যা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা কঠিন নয়।
এই ঘটনার পর দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের (এবং পরবর্তী “জুলাই আন্দোলনের”) সেই সব মুখ, যারা একদিন নিজেদের ‘বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি’ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন।
‘পোশাকে অপুষ্টি, এখন বিলাসিতায় পূর্ণতা’ — কীভাবে এত দ্রুত বদলে গেল দৃশ্যপট?
গত বছরের ৫ আগস্ট আন্দোলনের আগে যারা ছিলেন স্পষ্টভাবে মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান—তাদের বেশভূষা ও শরীরের গঠনেই ছিল সংগ্রামের ছাপ। কিন্তু ১১ মাসের মাথায় দৃশ্যপট পাল্টে গেছে সম্পূর্ণ।
লাখ টাকার ফ্যাশন, দামি ফোন, গরু–গাড়ি–ঘর—সবই এখন হাতের মুঠোয়। প্রশ্ন জাগে—এত দ্রুত এই বদলে যাওয়া সম্ভব কীভাবে?
দুর্নীতির অভিযোগের পাহাড়: রাফি থেকে আসিফের পিএস পর্যন্ত
চট্টগ্রামের আন্দোলনের মুখ রাফিসহ অনেকের বিরুদ্ধেই ঘুষ, বদলি বাণিজ্য, তদবির, এমনকি ভূমি দখলের অভিযোগ উঠছে।
উপদেষ্টা আসিফের পিএস–এর বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত শুরু করেছে এবং তাঁর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও জারি হয়েছে। এটাই কি সেই স্বপ্নের শক্তি, যাকে একদিন তরুণ প্রজন্মের বিকল্প রাজনৈতিক সম্ভাবনা বলে বিবেচনা করা হয়েছিল?
সততার ঘাটতি নাকি নৈতিকতার অভাব?
এই প্রশ্নগুলো এখন সর্বসাধারণের মুখে মুখে—
- আন্দোলনের নেতৃত্বের বড় অংশই কি শুধু সুবিধা নেওয়ার জন্য সামনে এসেছিল?
- অন্যের ত্যাগ দিয়ে অর্জিত রাজনৈতিক মূলধন কি শুধুই বিক্রি করে খাওয়ার জন্য ছিল?
- এদের কাছে আদর্শ কি শুধুই স্লোগানে সীমাবদ্ধ?
একজন পর্যবেক্ষক লিখেছেন,
“বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষ জাস্ট সুযোগের অভাবে সৎ। সুযোগ পেলে দুর্নীতির পথে হাঁটতে সময় লাগে না।”
জুলাই আন্দোলনের জ্যাকপট: কারা ক্যাশ ইন করলো?
আন্দোলন হয়েছিল আবু সাইদের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীর রক্ত দিয়ে, নামহীন ছাত্রছাত্রীদের শ্লোগানে।
কিন্তু শেষ জ্যাকপট গেছে—চাকরি, প্রভাব, সুবিধা আর অর্থনৈতিক উত্থান—সবই সেই ১০-২০ জনের হাতে, যারা লাফিয়ে পড়েছিল মাঝপথে, স্লোগানের মঞ্চে নয়; বরং ক্যামেরার সামনে থাকার লোভে।
অনেকে বলছেন—এই আন্দোলন থেকে সত্যিকারের আদর্শবান কেউ আজ নেই, কারণ তারা হয় সরে দাঁড়িয়েছে, নয়ত বিপথগামী নেতৃত্বের ছায়ায় ঢাকা পড়ে গেছে।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
বিকল্প শক্তির সম্ভাবনা কীভাবে নষ্ট হলো
একটি সময় জনগণ এদের ওপর ভরসা রাখতে চেয়েছিল। ভেবেছিল—এই তরুণরা আওয়ামী লীগের বিকল্প হতে পারে, এমনকি আগামী দশকে দেশের নেতৃত্ব দেবে।
কিন্তু আজ দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ মুখই আন্দোলনের স্বপ্ন বিক্রি করে ধনী হওয়ার শর্টকাটে ব্যস্ত।
এই বিশ্বাসভঙ্গের জবাব আজ জনগণ দিচ্ছে না ঠিকই, কিন্তু ইতিহাসে এর দায় রয়ে যাবে—স্বপ্নচুরি আর আত্মবিশ্বাস ভাঙার দায়।
উপসংহার: কী হারালো দেশ?
এই তরুণদের কাছে ছিল:
- একটি প্রজন্মের আস্থা
- আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতিতে নতুন কিছু গড়ার সুযোগ
- মানুষের ভালোবাসা
কিন্তু তারা হয়তো জানেই না—বিশ্বাস একবার ভাঙলে তা ফিরিয়ে আনা যায় না। তারা হয়তো টাকা-পয়সা পেয়েছে, প্রভাব পেয়েছে, পরিচয় পেয়েছে।
কিন্তু তারা হারিয়েছে জনগণের বিশ্বাস, হারিয়েছে ভবিষ্যতের সম্ভাবনা। যে বিশ্বাস আর একবার পাওয়া খুবই কঠিন।
আন্দোলনের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে ছিল চাঁদাবাজি, দুর্নীতি আর বিশ্বাসভঙ্গের জাল—জানুন কারা ছিল সেই ছদ্মবেশী ‘নায়ক’, আর কীভাবে ভাঙছে জনভ্রান্তি।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.



