“গাড়ি জাহান্নামে যাক, তুই আগে লক খোল”: নিঃশেষ এক পরিবারের বুকফাটা কান্না

PoriPurno News Desk | ৬ আগস্ট ২০২৫
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মাইক্রোবাস খাদে পড়ে নিহত ৭
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ঘটে গেছে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এক প্রবাসীকে স্বাগত জানাতে আসা একটি পরিবারের সাত সদস্য চিরতরে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন।
একটি মাইক্রোবাস খাদে পড়ে পানিতে ডুবে গেলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। বুধবার, ৬ আগস্ট ভোরে, নোয়াখালীর পূর্ব চন্দ্রগঞ্জের জগদীশপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
একজন বেঁচে যাওয়া মানুষের যন্ত্রণার স্বাক্ষ্য
ওমান প্রবাসী বাহার উদ্দীন, যিনি মাত্র তিন বছর পর দেশে ফিরেছিলেন, ছিলেন সেই মাইক্রোবাসে। তিনি বেঁচে গেলেও হারিয়েছেন নিজের মা, স্ত্রী, কন্যাসহ পরিবারের আরও ছয়জনকে।
চোখভেজা কণ্ঠে বাহার উদ্দীন বলেন:
“গাড়ি ডুবে যায়নি, প্রথমে নৌকার মতো ভাসছিল। আমি বারবার ড্রাইভারকে বলছিলাম, লক খুলতে। সবাই বেরিয়ে আসবে। গাড়ি জাহান্নামে যাক, তুই আগে লক খোল। সে তাও খোলেনি। পরে নিজে জানালা দিয়ে আস্তে করে বের হয়ে গেল। আমরা জানালা ভেঙে কয়েকজন বের হই, কিন্তু বাকিরা আর পারেনি।”
তিনি আরো বলেন,
“যদি লক খুলতো, তাহলে সবাই বেঁচে যেতো। আমি অনেকবার নিষেধ করেছিলাম পরিবারকে এত দূর না আসার জন্য। কিন্তু তারা শুনেনি।”
ড্রাইভারের ঘুম এবং অবহেলার অভিযোগ
বাহার উদ্দীনের বাবা আব্দুর রহীম বলেন,
“ড্রাইভার বারবার ঝিমাচ্ছিল। আমরা বহুবার বলেছি, তুমি গাড়ি দাঁড় করাও, একটু ঘুমাও। সে বলে, ‘না, সমস্যা নেই।’ কিন্তু রাস্তায় দেখা গেছে, সে ঘুমে ঢুলে পড়ছে, আবার হঠাৎ সজাগ হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত সে গাড়ি খাদে ফেলে দেয়।”
নিহতদের পরিচয়
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন:
- ফয়েজ্জুনেছা (৮০) – বাহার উদ্দীনের নানী
- মোরশিদা বেগম (৫৫) – মা
- কবিতা বেগম (২৪) – স্ত্রী
- লাবনী বেগম (৩০) – ভাবী
- রেশমি আক্তার (৮) – ভাতিজি
- লামিয়া আক্তার (৯) – ভাতিজি
- মীম আক্তার (২) – কন্যা
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
ঘটনার বিবরণ
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মো. মোবারক হোসেন ভূঁইয়া সময় সংবাদকে জানান, দুর্ঘটনার সময় বাহার উদ্দীনের পরিবার তাকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে নিয়ে লক্ষ্মীপুরের নিজ বাড়িতে ফিরছিল। ভোরবেলা পূর্ব চন্দ্রগঞ্জ এলাকায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় এবং পানিতে ডুবে যায়।
বাহার উদ্দীনসহ চারজন জানালার কাচ ভেঙে বের হতে পারলেও, সাতজন ভেতরে আটকে পড়ে মারা যান।
জিজ্ঞাসা: একটি লক যদি খুলে যেত…
এই ঘটনায় শুধু একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায়—ড্রাইভার যদি সময়মতো লক খুলে দিত, তাহলে কী সাতটি জীবন রক্ষা পেতো না?
একটি পরিবারের একসাথে এতজন প্রিয়জনের মৃত্যু, একজন স্বামী, পুত্র, সন্তান ও জামাতা হিসেবে বাহার উদ্দীনের হৃদয়ে যে স্থায়ী ক্ষত হয়ে থাকবে, তা কোনো ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
পাঠকের জন্য বার্তা
এই ঘটনা কেবল একটি দুর্ঘটনা নয়, এটি অবহেলা, অমনোযোগ এবং দায়িত্বহীনতার একটি ভয়াবহ চিত্র। যারা পেশাগতভাবে যাত্রী পরিবহন করেন, তাদের উচিত সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা এবং যাত্রীদের জীবন সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনো আপস না করা।
আমরা এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.



