বাংলাদেশি মানেই ‘ভিসা রিজেক্ট’? অবৈধ অভিবাসনের দায় কার?

PoriPurno News Desk | ২ আগস্ট ২০২৫
“বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখলেই সন্দেহ”—এই ধারণা এখন আর শুধু অতিরঞ্জিত রসিকতা নয়, বাস্তবতার নির্মম প্রতিচ্ছবি।
জনপ্রিয় ইউটিউবার নাদির অন দ্য গো সম্প্রতি এক ভিডিওতে জানিয়েছেন, গত ১ বছরে তিনি ৭টি দেশের ভিসার জন্য আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন—যদিও তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা রয়েছে। যে দেশগুলো তাকে ভিসা দেয়নি, তারা বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত কিংবা নিরাপত্তা সংবেদনশীল দেশ নয়। এ অভিজ্ঞতা থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠছে, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী হওয়াটাই অনেক সময় আন্তর্জাতিক মাইগ্রেশন সিস্টেমে এক ধরনের “রেড ফ্ল্যাগ” হয়ে দাঁড়ায়।
ভিসা রিজেকশনের পেছনের কারণ
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ আজকাল বাংলাদেশিদের ভিসা দিতে অনাগ্রহী। কারণটা খুব সহজ:
অনেক বাংলাদেশি ভিসা নিয়ে বিদেশে গিয়ে আর ফিরে আসে না।
আর এই চিত্র এখনো পাল্টায়নি। বরং, দিন দিন আরও ভয়াবহ হচ্ছে।
কে দায়ী?
এই পরিস্থিতির জন্য শুধু সাধারণ মানুষকে দায়ী করলে ভুল হবে।
মূল দায় সরকারের—এবং এক দালাল-প্রশাসন যৌথ সিন্ডিকেটের।
- সরকার ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’ নাম দিয়ে বিদেশ গমনের সংস্কৃতিকে গৌরবান্বিত করেছে।
- সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠেছে মাল্টি লেভেল দালাল সিন্ডিকেট যারা সহজে অবৈধ প্রিন্ট ভিসা, ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে দেয়।
- বিমানবন্দরেই শুরু হয় দালালদের নিয়ন্ত্রণ। কে যাবে, কে আটকে যাবে, কে ইমিগ্রেশনে হয়রানির শিকার হবে—সবকিছুই অনেক সময় ‘ম্যানেজমেন্ট’-নির্ভর।
একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা
লেখকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, গত বছর একটি উন্নত দেশের রেসিডেন্সি কার্ড এবং একাধিক বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও পুরো পরিবারকে ইমিগ্রেশনে ৩০ মিনিট আটকে রাখা হয়। অসুস্থতা, শিশুদের কান্না—কিছুই তাদের মন গলাতে পারেনি।
অথচ পাশের লাইন দিয়ে কিছু যাত্রী পাস হচ্ছিল, যাদের কাগজপত্র দেখে সহজেই বোঝা যাচ্ছিল তারা অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হচ্ছে। কেন? কারণ তারা হয়তো “ঠিক লোক”-এর মাধ্যমে এসেছে।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
এই অবস্থা পাল্টাবে কীভাবে?
বাংলাদেশিদের বিদেশযাত্রা একপ্রকার অভ্যন্তরীণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। আর এই ফাঁদ ভাঙতে হলে দরকার কিছু কার্যকর ব্যবস্থা:
ইমিগ্রেশন দুর্নীতিমুক্ত করা:
স্মার্ট পাসপোর্ট থাকা মানেই স্মার্ট ইমিগ্রেশন নয়। দুর্নীতির জাল না কাটলে কিছুই বদলাবে না।
দালাল সিন্ডিকেট নির্মূল:
অবৈধ পন্থায় বিদেশে যাওয়ার সুযোগ থাকলেই সেটা মানুষ নেবে—এই সত্যকে বিবেচনায় রেখে প্রথমেই সেই সুযোগটুকু বন্ধ করতে হবে।
দেশে কর্মসংস্থানের পরিবেশ তৈরি:
যাতে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথে, মরুভূমিতে বা ট্রলারে চাপা পড়ে বিদেশ যেতে বাধ্য না হয়।
‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা:
অর্থ পাঠানো মানেই “জাতীয় নায়ক”—এই বিভ্রান্তি থেকে বেরিয়ে প্রকৃত উৎপাদন ও শ্রমনির্ভর মূল্যায়নে ফেরা জরুরি।
বিদেশে যাওয়ার আগে প্রচার করতে হবে ঝুঁকি ও পরিণতি:
চিপ লেবার ভিসার নামে যে দাসত্ব তৈরি হয়, সেটা নিয়ে সঠিক প্রচার চালাতে হবে।
শেষ কথা
বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থায় যখন দুর্নীতি আর অবৈধ সিন্ডিকেটের ছড়াছড়ি, তখন বিদেশিরা কেন বাংলাদেশিদের সন্দেহের চোখে দেখবে না? অবৈধ অভিবাসনের হারে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের চেয়েও এগিয়ে। আর এর দায় কার? উত্তর একটাই—ব্যবস্থা ও ব্যর্থ রাষ্ট্রচিন্তা।
“যখনই বিদেশে কোনো অপরাধী গ্রেপ্তার হয়, পাসপোর্ট খুললে দেখা যায় সে বাংলাদেশি।”
এই চিত্র পাল্টাতে না পারলে, নাদিরদের মতো আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত মানুষদেরও নিয়মিত ভিসা রিজেক্ট খেতে হবে।
ভিসা প্রত্যাখ্যানের অভিজ্ঞতা যেন নিয়মিত যন্ত্রণায় পরিণত হয়েছে বাংলাদেশিদের জন্য। ইউরোপ, আমেরিকা বা মধ্যপ্রাচ্য—সব জায়গাতেই বাড়ছে অবিশ্বাস। কেন? কারা এই বদনামের কারণ? খোঁজ থাকুক আপনার হাতেই।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.



