জেরুজালেম বিজয়ের পূর্বশর্ত: সীমান্তবর্তী মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর ভূমিকাই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যৎ।

লেখক: মহবুব ওসমান
তারিখ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫


সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
জেরুজালেম বিজয় শুধুমাত্র একটি আবেগ নয়, এটি একটি কৌশলগত লড়াই – যার জন্য প্রয়োজন ঐক্য, কৌশল, এবং সীমান্তবর্তী মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, জেরুজালেম কখনোই এককভাবে জয় করা যায়নি – বরং এই পবিত্র ভূমি প্রতিবারই মুসলিম বাহিনীর ঐক্য এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই মুক্ত হয়েছে।


মূল প্রতিবেদন:

ফিলিস্তিনের অব্যাহত দখলদারিত্ব এবং গাজায় গণহত্যার প্রেক্ষিতে আজ বিশ্বজুড়ে মুসলিম উম্মাহর হৃদয় ক্ষতবিক্ষত। জেরুজালেম মুক্তির স্বপ্ন সকল মুসলিমের অন্তরে বহমান, তবে বাস্তবতা হলো – এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে হলে প্রয়োজন সুসংগঠিত কৌশল এবং ঐতিহাসিক বাস্তবতার আলোকে পদক্ষেপ গ্রহণ।

📌 ইতিহাস কী বলে?

মুসলিমদের ইতিহাসে যতবারই জেরুজালেম মুক্ত হয়েছে, ততবারই তার পূর্বশর্ত হিসেবে সীমান্তবর্তী রাষ্ট্রসমূহ বিশেষত মিশর ও সিরিয়া জয় করা হয়েছে। সালাহউদ্দিন আইয়ুবি থেকে শুরু করে মমলুক শাসকদের জমানা – সকল ঐতিহাসিক বিজয়ে দেখা যায়, তারা প্রথমে মিশর ও সিরিয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেখান থেকেই শুরু হয় জেরুজালেমমুখী বিজয় অভিযান।

🌍 বর্তমান ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা: কে কোথায় দাঁড়িয়ে?

বর্তমানে দখলদার ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী দেশগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র সিরিয়া একপ্রকার বিজিত, যেখানে বহু বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও আন্তর্জাতিক প্রভাব বিদ্যমান। অন্যদিকে:

🇸🇦 সৌদি আরব: আশা এখনো জাগ্রত

সৌদি আরবের বর্তমান অবস্থান অনেকটাই কৌশলগত। তারা প্রকাশ্যে হয়তো দৃঢ়ভাবে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিচ্ছে না, কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে তারা মুসলিমদের পক্ষেই দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস অনেকের। বিশেষ করে যখন সুন্নি ঘরানার শক্তিগুলো (যেমন: তুরষ্ক, সিরিয়া, ইরাক) জেরুজালেম বিজয়ের লক্ষ্যে একত্রিত হবে, তখন সৌদির পাশে দাঁড়ানো একটি কৌশলগত বাধ্যবাধকতায় পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ।

তবে এই দেরি করার অন্যতম কারণ হতে পারে মক্কা ও মদীনার নিরাপত্তা – যা সৌদি সরকারের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

🇪🇬 মিশর: সবচেয়ে দুর্বল কড়ি

মিশরের বর্তমান শাসক আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি পশ্চিমাদের প্রত্যক্ষ মদদে ক্ষমতায় এসেছেন। মুসলিম ব্রাদারহুডের রক্তে রঞ্জিত হয়ে গঠিত এই শাসনব্যবস্থার কাছ থেকে ফিলিস্তিনের জন্য হৃদয় থেকে সহানুভূতি আশা করা কঠিন। সিসি যদি চাইলেও ফিলিস্তিনিদের প্রকৃত সমর্থন দিতে যান, তবে তাঁর ক্ষমতা টিকে থাকবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

⚠️ ইরানের বাস্তবতা: বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত হতে হবে

ইরান যদিও বারবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে আসছে, বাস্তবে গত ১৫ বছরে ইরান ইসরায়েলের কোনো বড় ক্ষতি করতে পারেনি। বরং ইরানের নীতিগত ভুলের কারণে হামাসের শীর্ষ নেতারা শহীদ হয়েছেন এবং ফিলিস্তিন অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে, ইরানের উপর নির্ভর করে জেরুজালেম বিজয়ের স্বপ্ন দেখা বাস্তববাদিতা নয়।

🔚 উপসংহার: মিশর বিজয়, জেরুজালেম বিজয়ের পূর্বশর্ত

বর্তমান বাস্তবতায় জেরুজালেম মুক্তির পূর্বশর্ত হিসেবে মিশর ও সৌদি আরবের উপর প্রভাব প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য। বিশেষ করে মিশরের বর্তমান শাসক সিসি যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন এই অঞ্চলে প্রকৃত স্বাধীনতার আশা রাখা প্রায় অসম্ভব। সুতরাং, মুসলিম উম্মাহর উচিত এই দুটি রাষ্ট্রের পরিস্থিতিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং ঐক্যবদ্ধ কৌশল প্রণয়ন করা।

জেরুজালেম মুক্তি শুধুমাত্র আবেগ নয়, এটি ইতিহাসের একটি প্রমাণিত প্যাটার্ন – যা বাস্তবায়নের জন্য দরকার ঐক্য, কৌশল এবং সাহসিকতা।


#FreePalestine #StopGenocideInGaza #UniteMuslimUmmah #JerusalemIsOurs

সঠিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের সফলতা নিশ্চিত করুন! 

মাহবুবওসমানী.কম দিচ্ছে আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট, গ্যারান্টেড SEO র‍্যাঙ্কিং, এবং প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট – সবকিছু একসাথে, ইংশাআল্লাহ্‌!

১৪+ বছরের অভিজ্ঞতা – গ্যারান্টেড SEO র‍্যাঙ্কিং
৮০০+ সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট – আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট
প্রমাণিত ফলাফল, সর্বোচ্চ ROI – প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

📩 আজই যোগাযোগ করুন এবং আপনার ব্যবসার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিন!
🌍 ভিজিট করুন: MahbubOsmane.com

Exit mobile version