PoriPurno News Desk | ২ আগস্ট ২০২৫
টঙ্গীর এক ব্যস্ততম সড়কে কর্মদিবসের শেষভাগে নেমে এসেছিল এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। হাঁটুসমান বৃষ্টির পানিতে রাস্তা ঢেকে থাকায় খোলা ম্যানহোলের ফাঁদে পড়ে নিখোঁজ হন এক নারী। তাঁর জীবনের শেষ যাত্রাটি ছিল আর দশটা দিনের মতোই সাধারণ—অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথ। কিন্তু সেই পথেই লুকিয়ে ছিল মৃত্যুর ফাঁদ।
গাফিলতির মাশুল দিলেন একজন মা
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলের ওই ম্যানহোলটি দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকনাহীন ছিল। আশপাশের বাসিন্দারা বারবার সিটি কর্পোরেশনকে অবহিত করলেও কেউ কর্ণপাত করেনি।
বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকা রাস্তায় খোলা ম্যানহোলটি কোনোভাবেই বোঝার উপায় ছিল না। সেই ফাঁদে পা পড়তেই মুহূর্তেই যেন তলিয়ে গেলেন মহিলা। ঘটনাটি এত দ্রুত ঘটেছিল যে পাশে থাকা একজন পুরুষ উদ্ধার করতে ছুটে গেলেও পারেননি তাঁকে রক্ষা করতে।
ফায়ার সার্ভিস আর সিটি কর্পোরেশনের দোষারোপের নাটক
পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও তারা দীর্ঘক্ষণ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেননি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর আর কোনো চেষ্টা না করে বসে পড়েন। পরে দায়িত্ব এড়াতে তারা দোষ চাপান সিটি কর্পোরেশনের উপর, এবং সিটি কর্পোরেশন দায় দেন ফায়ার সার্ভিসকে।
শুধু তাই নয়, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৫টা বাজতেই ফায়ার সার্ভিসের দল সময় শেষের অজুহাতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। যেন তারা কোনো খেলনা হারিয়েছে, আর সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় খুঁজে না পেলে তেমন কিছু আসে-যায় না।
মায়ের লাশের অপেক্ষায় কাঁদছে দুই জমজ শিশু
এই নারীর পরিবারে ছিল তাঁর দুইটি মাত্র আট বছরের জমজ সন্তান। মা প্রতিদিন অফিস শেষে যখন ঘরে ফিরতেন, তখন তাদের মুখে হাসি ফুটত। কিন্তু আজকের দিনটি ছিল ভিন্ন।
সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হলেও মা ঘরে ফেরেননি। খবর শুনে পাড়াপড়শিরা জানান, তাদের মা ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ। এরপর থেকে এই দুটি অবুঝ শিশু একটানা কাঁদছে। তাদের কোনো অভিভাবক নেই—নানা, নানী কেউ বেঁচে নেই। একমাত্র ভরসা ছিল মাকে ঘিরেই।
আজ রাতে যখন অনেকে ঘরে আরাম করে সিনেমা দেখছে বা ঘুমোচ্ছে, তখন এই দুই শিশু চোখে ঘুম না নিয়ে তাকিয়ে আছে দরজার দিকে। কেউ ফিরবে না জেনেও তারা অপেক্ষা করছে তাদের মায়ের লাশের জন্য।
“ভাইয়া, আমরা শুধু লাশটা চাই। আর কিছু না”
মহিলার বোনের মেয়ের হৃদয়বিদারক অনুরোধ তুলে ধরা যায় এই কথায়:
“ভাইয়া, একটু দেখেন না কিছু করা যায় কি না। আমরা শুধু লাশটা চাই। আর কিছু না।”
এই আবেদনই প্রমাণ করে কতটা ব্যথায় ভাঙা ও নিরুপায় হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
জনগণের জীবনের মূল্য কি শুধুই পদবি ও পরিচয়ে নির্ধারিত?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন,
“যদি এই নারীর পরিচয় হতো কোনো মন্ত্রী, সচিব কিংবা উপদেষ্টার আত্মীয়, তাহলে কি রাতভর সার্চ চলতো না? তাহলে কি ম্যানহোলটা বছরের পর বছর খোলা থাকতো?”
এই প্রশ্নগুলো সাধারণ জনগণের প্রাণের চিৎকার, যা উত্তরহীন থেকে যায় বারবার।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
এই দায় কার?
এই দুর্ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। প্রতি বর্ষায় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাণহানির ঘটনা ঘটে ঢাকা ও আশপাশের শহরগুলোতে।
কখনো কারেন্টের তার ছিঁড়ে মানুষ মরে, কখনো খোলা ড্রেন কিংবা ম্যানহোলে তলিয়ে যায় প্রিয়জন। কিন্তু প্রতিবারই দেখা যায় প্রশাসনের দায়সারা পদক্ষেপ, দোষারোপের সংস্কৃতি এবং বিচারহীনতার ধারাবাহিকতা।
উপসংহার
এই সংবাদ আর কোনো সংখ্যা নয়—এটা এক মায়ের হারিয়ে যাওয়া জীবনের গল্প, দুই সন্তানের অনন্ত অপেক্ষার গল্প। সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস এবং দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ, অবিলম্বে এই নারীর লাশ উদ্ধারের জন্য সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।
প্রশাসনের দায়িত্বশীলতার অভাবে যেন আর কোনো মা হারিয়ে না যায়, যেন আর কোনো সন্তান মা বলে কাঁদতে না থাকে রাতভর।
জন্মদিনের আগের দিনেই হারাল মা—টঙ্গীর রাস্তায় খোলা ম্যানহোল যেন গিলে খেলো এক পরিবারকে। দুই জমজ শিশুর চোখের জল, বাবার হতাশা আর প্রশাসনের নীরবতা—এই দায় কার? পড়ুন বাস্তবতাকে নাড়া দেওয়া হৃদয়বিদারক প্রতিবেদন।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.
