নারীই নারীর প্রধান শত্রু? বৃদ্ধাশ্রমে মর্মস্পর্শী এক পুনর্মিলনের কাহিনি

PoriPurno News Desk | ১৫ আগস্ট ২০২৫
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে কীভাবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস মানুষকে এমন এক পরিস্থিতিতে দাঁড় করায়, যা হয়তো কোনো গল্পকারও কল্পনা করতে সাহস পান না— ঠিক তেমনই এক বাস্তব ঘটনা ঘটেছে শিল্পপতি লায়লা খন্দকারের জীবনে। নিজের হাতে গড়া ডুপ্লেক্স বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বৃদ্ধাশ্রমের উদ্দেশে শেষ বিদায় নিচ্ছেন তিনি।
স্বামী মারা যাওয়ার পর ১২ বছরের একমাত্র সন্তানকে নিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর সংগ্রামী পথচলা। একে একে দাঁড় করিয়েছেন শিল্পকারখানা, তৈরি করেছেন “গ্রীন গ্রুপ” নামের প্রতিষ্ঠান। কিন্তু গত বছর এক সড়ক দুর্ঘটনায় শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লে শিল্পকারখানা পরিচালনার দায়িত্ব লিখে দেন ছেলে ও ছেলের বউয়ের হাতে।
এক বছরের মাথায় ছেলের বউয়ের চাপে মাকে বাড়ি থেকে সরিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় ছেলে। বিদায়ের মুহূর্তে ছেলে, ছেলের বউ বা নাতি— কেউই উপস্থিত হয়নি। বৃদ্ধাশ্রম থেকে আসা কর্মীরা তাঁকে নিয়ে যাচ্ছিল। চলে যাওয়ার সময় লায়লা খন্দকার মনে মনে অভিশাপ দিচ্ছিলেন— “যে বউ আজ আমাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাচ্ছে, তার জন্য আরও ভয়াবহ কিছু অপেক্ষা করছে। একদিন আমার পায়ের নিচে আসতে হবে।”
বৃদ্ধাশ্রমে অপ্রত্যাশিত সাক্ষাৎ
বৃদ্ধাশ্রমে পৌঁছে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি কক্ষে। সেখানে দু’টি খাট— একটি খালি, আরেকটিতে কুঁজো হয়ে শুয়ে আছেন এক বৃদ্ধা। ঘুম ভাঙতেই দু’জনের চোখাচোখি হয়। মুহূর্তের মধ্যে তাঁরা চিনে ফেলেন একে অপরকে— বৃদ্ধা আর কেউ নন, লায়লা খন্দকারের শাশুড়ি!
১৯ বছর আগে, স্বামীকে চাপ দিয়ে এই শাশুড়িকেই বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়েছিলেন লায়লা। এরপর আর কোনোদিন খোঁজ নেননি।
শাশুড়ি হাসিমুখে বলেন, “বৌমা, আমি অপেক্ষা করছিলাম তুমি কবে এখানে আসবে। তোমার জন্য আমি সিট খালি রেখে দিয়েছি।”
কথা শুনে লায়লা কান্নায় ভেঙে পড়ে শাশুড়ির পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে চাইলেও শাশুড়ি পা ছুঁতে দেননি। বরং বুকে টেনে নিয়ে বলেন, “অনেকদিন তোমাকে জড়িয়ে ধরি না, আসো, বৌমা।” এই বুকে জড়িয়েই শাশুড়ি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
নারী-নারীর প্রতি বিদ্বেষের সামাজিক বাস্তবতা
এই ঘটনাটি আমাদের সমাজের একটি তিক্ত সত্যকে সামনে আনে— আজকাল অনেক নারী নিজের শাশুড়িকে কাছে রাখতে চান না, বরং দূরে সরিয়ে দেওয়াই স্বস্তি মনে করেন। অথচ, অজান্তেই তাঁরা নিজের ভবিষ্যতের করুণ চিত্র আঁকছেন।
যেমনটি ঘটেছে লায়লা খন্দকারের জীবনে— তিনি যেভাবে শাশুড়িকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়েছিলেন, একই ভাগ্য তাঁর নিজের জন্যও অপেক্ষা করছিল।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
ধর্মীয় শিক্ষা ও সতর্কবার্তা
ইসলামে মায়ের মর্যাদা অপরিসীম, শ্বশুর-শাশুড়িকেও মা-বাবার মর্যাদায় রাখার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।
কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন:
وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا۟ إِلَّآ إِيَّاهُ وَبِٱلْوَٰلِدَيْنِ إِحْسَـٰنًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ ٱلْكِبَرَ أَحَدُهُمَآ أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًۭا كَرِيمًۭا
(সূরা আল-ইসরা, ১৭:২৩)
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَاقٌّ لِوَالِدَيْهِ”
(সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যে তার পিতামাতার অবাধ্য) — সহীহ মুসলিম, হাদিস ২৫৫৬
শেষ কথা
এই কাহিনি কেবল এক ব্যক্তির নয়— এটি আমাদের পরিবারের, সমাজের এবং মানসিকতার প্রতিচ্ছবি। আজ যদি আমরা মা, শাশুড়ি, বয়স্ক আত্মীয়দের সম্মান ও যত্ন না করি, কাল একই পরিণতি আমাদের জন্য অপেক্ষা করতে পারে।
পরিবর্তন শুরু হোক আমাদের পরিবার থেকেই— আমাদের স্ত্রী, বোন, কন্যা এবং মায়েদের মনে করিয়ে দিই, একজন নারীর সেরা শক্তি আরেকজন নারী হতে পারে— যদি আমরা চাই।
লিখেছেন: মাহবুব ওসমানী — ইসলামী চিন্তাবিদ, লেখক এবং PoriPurno.com এর প্রতিষ্ঠাতা
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.