Islam

ফেসবুকের ‘গুনাহমুক্ত’ মুখোশ ও বাস্তবতার দ্বন্দ্ব: ইসলাম কী বলে?

PoriPurno News Desk | ১ আগস্ট ২০২৫

আজকের ডিজিটাল যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষত ফেসবুক এমন এক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে—যেখানে মানুষ নিজের জীবনের ‘মেকআপ দেওয়া সংস্করণ’ প্রদর্শন করে। বাস্তব জীবনের দুর্বলতা, গুনাহ, ফিতনা, মানসিক টানাপোড়েন, এমনকি বাথরুমে যাওয়া—সব কিছু স্কিপ করে নিখুঁত একটা ছবি তুলে ধরে।

ঠিক যেভাবে হলিউডের কোনো সিনেমায় আমরা দেখি—প্রধান চরিত্র ঘুম থেকে উঠেই তৈরি হয়ে যায়, মেকআপসহ। তার মানবিক দুর্বলতাগুলো দেখানো হয় না। কিন্তু বাস্তবে? বাস্তবে আমরা সবাই ভুল করি, গুনাহ করি, ফিতনায় পড়ি।

দ্বীনি কমিউনিটিতে মিথ্যা পূজার জন্ম

এই মেকআপ সংস্কৃতি শুধু দুনিয়াদারি পোস্টেই সীমাবদ্ধ না। দ্বীনি কমিউনিটিতেও এটাই বাস্তবতা।
একজন ভাই নিয়মিত ভালো ভালো রিমাইন্ডার, ইসলামী নাসিহাহ, কোরআনের আয়াত ও হাদীস পোস্ট করছেন। তাকে দেখে অনেকেই মনে করে—“এই ভাই তো গুনাহমুক্ত। তিনি কখনোই ফিতনায় পড়তে পারেন না। তার খিয়ানত হতেই পারে না।”

তবে যখন বাস্তব জীবনে সেই ব্যক্তির কোনো ভুল, গুনাহ, দুর্বলতা সামনে আসে—তখনই সেই ভাইয়ের ওপর নেমে আসে সামাজিক নিন্দার ঝড়। মানুষ তাকে নিচে নামাতে চায়, অপমান করতে চায়, ট্রল করতে চায়।

ইসলাম কি কারো গুনাহমুক্ত থাকার দাবি সমর্থন করে?

না। ইসলামী দৃষ্টিতে কেউই গুনাহমুক্ত নয়। আমাদের নবী মুহাম্মদ ﷺ ব্যতীত প্রতিটি মানুষই গুনাহ করে এবং করবে। তবে উত্তম হলো—যারা গুনাহ করে, তারা ফিরে আসে, তাওবা করে।

🕋 কুরআনে আল্লাহ বলেনঃ

﴿وَخُلِقَ الْإِنسَانُ ضَعِيفًا﴾
“মানুষকে দুর্বল স্বভাবের করেই সৃষ্টি করা হয়েছে।”
সূরা আন-নিসা, ৪:২৮

🔖 আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেনঃ

﴿إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلتَّوَّٰبِينَ وَيُحِبُّ ٱلْمُتَطَهِّرِينَ﴾
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদেরও ভালোবাসেন।”
সূরা আল-বাকারা, ২:২২২

🤲 রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ

‏كُلُّ بَنِي آدَمَ خَطَّاءٌ، وَخَيْرُ الْخَطَّائِينَ التَّوَّابُونَ‏
“আদম সন্তানের প্রত্যেকেই ভুল করে, আর সর্বোত্তম ভুলকারী হলো যারা তাওবা করে।”
জামে তিরমিযী, হাদীস: ২৪৯৯ | সহীহ

দ্বীনি ভাইদের প্রতি বাড়তি প্রত্যাশা কেন?

একজন দাঈ বা দ্বীনি ভাই নিয়মিত কোরআন-হাদীসের আলো ছড়াচ্ছেন, এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। কিন্তু এতে তাদের মানুষ হিসেবে ভুল করার অধিকার নষ্ট হয়ে যায় না। আমরা তাদের দেবতা বানিয়ে ফেলি, অদৃশ্য এক ইনফ্যালিবল (অভ্রান্ত) চরিত্রে বসিয়ে দেই—এটাই সবচেয়ে বড় অন্যায়।

আল্লাহ বলেনঃ

﴿وَلَا تُزَكُّوا أَنفُسَكُمْ ۖ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنِ ٱتَّقَىٰ﴾
“তোমরা নিজেদের প্রশংসা করো না। কে আল্লাহভীরু, সে বিষয়ে তিনিই ভালো জানেন।”
সূরা আন-নাজম, ৫৩:৩২

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরবিদগণ বলেন, কাউকে পুরোপুরি ‘পরিপূর্ণ’ ধরে নেওয়া, এবং নিজেদের বা অন্যের তাকওয়ার নিশ্চিত সনদ দেওয়া—এটি স্পষ্ট অহংকার ও অজ্ঞতা।

ফেসবুকের রঙিন দ্বীন বনাম বাস্তব দ্বীন

ফেসবুক বা সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেবল রিমাইন্ডার, নাসিহাহ, দারস বা সুন্দর কথা বললেই সে ভালো মুমিন—এই ধারণা বাতিলযোগ্য। কারণ কুরআন বলছে:

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لِمَ تَقُولُونَ مَا لَا تَفْعَلُونَ﴾
“হে মুমিনগণ! তোমরা কেন এমন কথা বলো যা তোমরা করো না?”
সূরা আস-সাফ, ৬১:২

আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্যতা মূলত অন্তরের তাকওয়ার ওপর নির্ভরশীল, ফেসবুক পোস্টের ওপর নয়।

Increase Your Business with Expert Digital Solutions!

Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!

 14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
 800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
 Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development

Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level!  Visit: MahbubOsmane.com
মানুষের সম্মান নষ্ট করা এক ধরণের জুলুম

আধুনিক এই ‘এক্সপোজার কালচার’ শুধু ইসলামবিরোধী না, বরং একটা বড় ফিতনা। কাউকে ট্রল করা, তার ভুলকে বাড়িয়ে ধরিয়ে অপমান করা—এটা সরাসরি হারাম।

قال رسول الله ﷺ:
‏مَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا، سَتَرَهُ اللَّهُ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ‏
“যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের (গোপন) দোষ ঢেকে রাখবে, আল্লাহ তায়ালা তার দোষ দুনিয়া ও আখিরাতে ঢেকে রাখবেন।”
সহীহ মুসলিম, হাদীস: ২৫৯০

ফেসবুকে বা পাবলিক ফোরামে দ্বীনি ভাইদের ছোট করে, তাদের সম্মানহানি করে কী আমরা আল্লাহর কাছে মুক্তি পেতে পারব?

উপসংহার: আমরা সবাই গুনাহগার, তবে প্রত্যাবর্তন করাটাই আসল সৌন্দর্য

ফেসবুকের রঙিন দ্বীন আর বাস্তব জীবনের সংগ্রাম এক নয়। যারা ইসলামের দাওয়াত দেন, তারাও মানুষ—তাদেরও দুর্বলতা আছে, গুনাহ আছে, এবং আল্লাহর দরবারে তাঁরাও সাহায্যপ্রার্থী।

তাদেরকে দেবতা বানিয়ে না দেখে, মানবিক ভুলের পর ফিরে আসার সুযোগটা দিতে হবে।
ইসলাম কেবল নিখুঁত হবার আহ্বান দেয় না, বরং বারবার ফিরে আসার পথটা খোলা রাখে।

আল্লাহ বলেনঃ

**﴿قُلْ يَـٰعِبَادِىَ ٱلَّذِينَ أَسْرَفُوا۟ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا۟ مِن رَّحْمَةِ ٱللَّهِ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَغْفِرُ ٱلذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلْغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ﴾
“বলুন, হে আমার বান্দারা যারা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে থাকেন। নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”
সূরা আয-যুমার, ৩৯:৫৩

ফেসবুকে ইসলামি পোস্ট, কুরআনের আয়াত—কিন্তু বাস্তব জীবনে কতটা মিল? সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বিচারিতা, আত্মপ্রবঞ্চনা আর ধর্মের সত্য নির্দেশনা নিয়ে এক চিন্তাশীল প্রতিবেদন। ইসলাম কি এই মুখোশকে সমর্থন করে?

Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?

Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.

MahbubOsmane.com’s Exclusive Services

Digital Marketing
SEO & SMM
Content Creation
Web Development
Google Ads & Meta Ads
Graphic Design
Affiliate Website
Brand Promotion
Marketing Plan & Consulting
Other Services
Our Courses
Domain Hosting

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button