সাংবাদিকতা না কি ওয়ার অন টেররের নতুন মুখোশ?

নিউইয়র্ক টাইমসের সাম্প্রতিক রিপোর্ট ও তার রাজনৈতিক এজেন্ডা
📅 ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | সংবাদদাতা: News Desk
নিউইয়র্ক টাইমসের সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যেখানে ইসলামপন্থী রাজনীতির উত্থানকে “উগ্রবাদ” হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। কিন্তু এই রিপোর্ট কি সত্যিই নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার প্রতিফলন, নাকি এটি ওয়ার অন টেররের নতুন রূপ?
রিপোর্টের মূল প্রতিপাদ্য
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের ফলে ইসলামি উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এবং বর্তমান সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। রিপোর্টে একাধিকবার “ইসলামী উগ্রবাদ” শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু উগ্রবাদ বলতে আসলে কী বোঝানো হচ্ছে, সেটি স্পষ্ট করা হয়নি।
রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে:
- ইসলামী শাসন চাওয়াকে উগ্রবাদ হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।
- মেয়েদের শর্টস পরে ফুটবল খেলার বিরোধিতা করা মানেই উগ্রবাদ।
- সেক্যুলারিজম শব্দ বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গ, জামায়াতের কল্যাণ রাষ্ট্র চাওয়া, কাদিয়ানী ইস্যু—সব একসাথে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে।
পশ্চিমা সাংবাদিকতার দ্বৈত নীতি
রিপোর্টটি পশ্চিমা মিডিয়ার পূর্বনির্ধারিত আদর্শিক অবস্থানেরই প্রতিফলন। এই প্রতিবেদনের মূল বার্তা সহজ:
✅ পশ্চিমা লিবারেল নীতিই একমাত্র গ্রহণযোগ্য আদর্শ।
✅ বাংলাদেশে ইসলামি সমাজব্যবস্থা বা মূল্যবোধের প্রতি আগ্রহ বাড়া মানেই “উগ্রবাদ”।
✅ ইসলামি রাজনীতি মানেই বিপদ, বর্বরতা, এবং সভ্যতার জন্য হুমকি।
কিন্তু প্রশ্ন হলো—একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে, যেখানে জনগণের বড় অংশ ইসলামি মূল্যবোধকে মেনে চলে, সেখানে এই চেতনা যদি রাজনৈতিকভাবে প্রকাশ পায়, তাহলে সেটাকে কি উগ্রবাদ বলা যায়?
ঔপনিবেশিক মানসিকতা ও লিবারেল একচোখা নীতি
নিউইয়র্ক টাইমসের এই প্রতিবেদন আসলে ওরিয়েন্টালিজমের আধুনিক সংস্করণ। পশ্চিমা আদর্শিক কাঠামোতে ইসলামি রাজনীতি সবসময়ই সন্দেহের চোখে দেখা হয়।
এই বায়াসড রিপোর্টের মাধ্যমে যা বোঝানো হচ্ছে:
❌ ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাস করা = উগ্রবাদ
❌ পশ্চিমা লিবারেল সংস্কৃতির বিরোধিতা করা = বর্বরতা
❌ ইসলামি শাসন ব্যবস্থা চাওয়া = সন্ত্রাসের প্রথম ধাপ
নতুন ‘Benevolent Despotism’
রিপোর্টে বর্তমান সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ,
✅ “ইসলামী উগ্রবাদ” দমন করতে হলে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।
✅ যেকোনো ইসলামি রাজনৈতিক আদর্শ বা সামাজিক রীতিকে দমন করাই সমাধান।
এই দৃষ্টিভঙ্গি আসলে ওয়ার অন টেরর নীতিরই নতুন রূপ। মার্কিন থিংক-ট্যাঙ্কগুলো বহুদিন ধরে বলে আসছে—মুসলিম দেশগুলোতে গণতন্ত্র বিপজ্জনক, কারণ সেক্ষেত্রে ইসলামপন্থীরা ক্ষমতায় আসতে পারে। তাই দরকার সুশীল স্বৈরাচার, যারা “বর্বর মুসলিমদের” সভ্য করবে!
বাংলাদেশ কি পশ্চিমা মূল্যবোধ মানতে বাধ্য?
নিউইয়র্ক টাইমস ধরে নিয়েছে, যেহেতু পশ্চিমা বিশ্ব মেয়েদের শর্টস পরে ফুটবল খেলা পছন্দ করে, তাই বাংলাদেশেও এটা চালু হওয়া উচিত। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতা কী?
🇧🇩 ৯০% মানুষ মুসলিম, সমাজ এখনো রক্ষণশীল।
🇧🇩 নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর মেয়েরা অর্থনৈতিক চাপে শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে, কিন্তু এর সঙ্গে শর্টস পরে খেলাধুলার কী সম্পর্ক?
🇧🇩 সমাজ কি একমত হয়েছে যে, মেয়েরা পাবলিকলি শর্টস পরে খেলবে?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে নেই। কারণ তাদের আগ্রহ নিরপেক্ষ বিশ্লেষণে নয়, বরং একপেশে এজেন্ডা বাস্তবায়নে।
উপসংহার
নিউইয়র্ক টাইমসের এই প্রতিবেদন আসলে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক বয়ান প্রতিষ্ঠার চেষ্টা। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে সজীব ওয়াজেদ জয় এক গবেষণাপত্র তৈরি করেছিলেন, যেখানে বলা হয়েছিল সেনাবাহিনীর বড় অংশ উগ্রবাদী হয়ে গেছে। এই ধরনের প্রচারণার লক্ষ্য একটাই—”ইসলামি হুমকি” সৃষ্টি করে রাষ্ট্রীয় দমননীতি বৈধতা দেওয়া।
এখন প্রশ্ন হলো—নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা কি সত্যিই এজেন্ডাহীন? নাকি এটি শুধু ওয়ার অন টেররের নতুন মুখোশ?
👉 আপনার মতামত কী? নিচে কমেন্টে জানান!
📢 শেয়ার করুন, সচেতনতা বাড়ান!
🔗 বিস্তারিত পড়ুন: https://poripurno.com
📝 মাহবুব ওসমানী | news.mahbubosmane.com
🚀 সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদ সবার আগে!
সঠিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের সফলতা নিশ্চিত করুন!
মাহবুবওসমানী.কম দিচ্ছে আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট, গ্যারান্টেড SEO র্যাঙ্কিং, এবং প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট – সবকিছু একসাথে, ইংশাআল্লাহ্!
✅ ১৪+ বছরের অভিজ্ঞতা – গ্যারান্টেড SEO র্যাঙ্কিং
✅ ৮০০+ সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট – আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট
✅ প্রমাণিত ফলাফল, সর্বোচ্চ ROI – প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
📩 আজই যোগাযোগ করুন এবং আপনার ব্যবসার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিন!
🌍 ভিজিট করুন: MahbubOsmane.com