নতুন এনজিএসও স্যাটেলাইট নীতিমালা!
নতুন এনজিএসও স্যাটেলাইট নীতিমালা এবং ইন্টারনেট বন্ধের সম্পর্ক: ফাইজ় তাইয়েব আহমেদের বিশ্লেষণ
বাংলাদেশের নতুন এনজিএসও (Non-Geostationary Orbit) স্যাটেলাইট নীতিমালায় ইন্টারনেট বন্ধের কোনো প্রসঙ্গ নেই বলে দাবি করেছেন ফাইজ় তাইয়েব আহমেদ। তিনি বলেন, The Daily Star-এ প্রকাশিত যে রিপোর্টে ইন্টারনেট বন্ধের প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুল এবং বানোয়াট। এ বিষয়টি সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে তিনি বিস্তারিত একটি পোস্ট প্রকাশ করেছেন।
ফাইজ় তাইয়েব আহমেদ তার ফেইসবুক পোস্টে স্পষ্টভাবে বলেছেন, এনজিএসও স্যাটেলাইট নীতিমালায় ইন্টারনেট বন্ধের কোনো নির্দেশনা নেই এবং সরকারকে ইন্টারনেট বন্ধের ক্ষমতা দেয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এই নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য ছিল, স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি গেটওয়ে কোম্পানিগুলোর ব্যবসা সুরক্ষিত রাখা এবং বিদেশি কোম্পানির একচেটিয়া ইন্টারনেট গেটওয়ে সম্প্রসারণ বন্ধ করা। এর অংশ হিসেবে, একাধিক স্থানীয় গেটওয়ে রাখা এবং রিডান্ডেন্ট গেটওয়ের ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।
ফাইজ় আহমেদ আরও জানান যে, সম্প্রতি ভারতের ইন্টারনেট গেটওয়ে থেকে ইন্টারনেট কেনার সীমা ৫০% নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে ভারতীয় গেটওয়ে ব্যবহার প্রায় ৭০% ছিল, ফলে বাংলাদেশের ইন্টারনেট কার্যক্রম ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। তাই, এই নীতিমালার মাধ্যমে দেশের ইন্টারনেট সুরক্ষা ও নির্ভরশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্য রাখা হয়েছে।
এছাড়াও, স্থানীয় রাউটের এক্টিভ ডিভাইস রাখার পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, সরকার প্রতিটি ডিভাইস থেকে ট্যাক্স ও ভ্যাট সংগ্রহ করবে এবং এটি এনজিএসও থেকে রাজস্ব সংগ্রহের প্রমাণিত পথ। স্থানীয় গেটওয়ের মাধ্যমে ল-ফুল ইন্টারসেপ্টের জন্য ডিভাইস রাখার পরিকল্পনাও রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থার স্বীকৃত সিকিউরিটি প্রোটোকল।
এছাড়া, ফাইজ় আহমেদ স্পষ্ট করেন যে, কোনো ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান যদি দেশের আইন ভঙ্গ করে বা রাজস্ব প্রদান না করে, তবে সরকারের কাছে সেই লাইসেন্স বাতিল করার অধিকার রয়েছে। এটি কোনো নতুন নিয়ম নয়, বরং সবার লাইসেন্সে থাকা এক্সিট ক্লজ, যা সব ধরনের লাইসেন্সের সাথে যুক্ত।
ফাইজ় আহমেদ বলেন, “সরকার প্রধান বর্তমানে বৈদেশিক সফরে আছেন। এমতাবস্থায়, এরকম মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর সংবাদ দেশের ডিজিটাল অর্থনীতি এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সংশয় তৈরি করতে পারে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, সরকারের পক্ষ থেকে ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং ইন্টারনেট বন্ধের পূর্ববর্তী স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) বন্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, ২০১০ সালের টেলিযোগাযোগ আইনে ইন্টারনেট বন্ধের জন্য ক্ষতিপূরণ সংশোধন করা হয়েছে এবং বর্তমান সরকার এটি সংশোধন করতে উদ্যোগ নিয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে, সরকার আর কখনো ইন্টারনেট বন্ধ করতে সক্ষম হবে না।
ফাইজ় আহমেদ অবশেষে বলেন, “আমরা হাসিনার ২০১০ সালের আইন সংশোধন করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি এবং এই সিদ্ধান্তগুলো মিডিয়ায় সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছি।”
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা, যা ইন্টারনেট সুরক্ষা এবং দেশের ডিজিটাল নীতি সম্পর্কিত সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি দূর করতে সহায়ক হবে।
সঠিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের সফলতা নিশ্চিত করুন!
আমরা দিচ্ছি আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট, গ্যারান্টেড SEO র্যাঙ্কিং, এবং প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট – সবকিছু একসাথে MahbubOsmane.com-এ!
✅ ১৪+ বছরের অভিজ্ঞতা
✅ ৮০০+ সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট
✅ প্রমাণিত ফলাফল, সর্বোচ্চ ROI
📩 আজই যোগাযোগ করুন এবং আপনার ব্যবসার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিন!
🌍 ভিজিট করুন: MahbubOsmane.com