সামনে সৌদিতে কর্মসংস্থানের সুবর্ণ সুযোগ, তবু যে কারণে পিছিয়ে পড়তে পারেন বাংলাদেশি কর্মীরা

PoriPurno News Desk | August 04, 2025
বর্তমানে সৌদি আরব অভিবাসন ও শ্রমনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। “ভিশন ২০৩০” বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে দেশটি এখন দক্ষতা বা স্কিলের ভিত্তিতে বিদেশি কর্মীদের মূল্যায়ন করছে—জাতীয়তা নয়। এই নীতিগত পরিবর্তনের ফলে বিশ্বজুড়ে দক্ষ জনশক্তির জন্য সৌদি আরবে তৈরি হচ্ছে বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ।
তবে এই সুযোগের দ্বার উন্মুক্ত হলেও, দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশি কর্মীরা নানা কারণে সেই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছেন না।
কেন এই পরিবর্তন সৌদি সরকারের?
সৌদি সরকার এখন বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে তিনটি স্পষ্ট স্কিল লেভেল নির্ধারণ করেছে:
- High Skill:
 চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সফটওয়্যার ও আইটি এক্সপার্ট, বিশেষায়িত টেকনিক্যাল এক্সপার্ট
- Mid Skill:
 গাড়িচালক, কারিগর, প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান, হাউজ টেকনিশিয়ান
- Low Skill:
 সাধারণ শ্রমিক, হেলপার, পরিষ্কারকর্মী ইত্যাদি
আগে যেখানে মধ্যপ্রাচ্যে ‘কোন দেশের লোক’ তা দেখে কর্মী বাছাই করা হতো, এখন সেটি বদলে গেছে। এখন ‘কে কী পারে’ সেটাই প্রধান বিবেচ্য বিষয়।
কোথায় পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশি কর্মীরা?
১. স্কিল ঘাটতি:
বাংলাদেশ থেকে এখনও বড় একটি অংশ অদক্ষ বা স্বল্প দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যায়। অথচ সৌদি এখন দক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
২. ট্রেনিং ও টেকনিক্যাল সার্টিফিকেশনের অভাব:
অনেকেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই বিদেশে যান। অথচ এখন যেকোনো টেকনিক্যাল পজিশনের জন্য আন্তর্জাতিক মানের সার্টিফিকেট চাওয়া হচ্ছে।
৩. ইংরেজি ও আরবি ভাষাজ্ঞান দুর্বল:
কর্মস্থলে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান বাধা ভাষা। ফিলিপাইন, ভারত, নেপাল কিংবা ইন্দোনেশিয়ার তুলনায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের এই দিকটি দুর্বল বলে বিবেচিত।
৪. তথ্য ও প্রস্তুতির অভাব:
বিভিন্ন সময়ে দেখা যায়, বাংলাদেশি কর্মীরা রিক্রুটমেন্ট সংস্থার মাধ্যমে যথাযথ তথ্য ও প্রস্তুতি ছাড়াই বিদেশে যান, ফলে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েন।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
 14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
 800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
 Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
তবে সুযোগ এখনই! কীভাবে প্রস্তুত হওয়া উচিত?
- কারিগরি প্রশিক্ষণ নিতে হবে — সরকার অনুমোদিত টিটিসি বা বেসরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত।
- ভাষা শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ — অন্তত প্রাথমিক আরবি ও ইংরেজি জ্ঞান থাকতে হবে।
- প্রামাণ্য সনদপত্র সংগ্রহ — প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে।
- বিশ্বমানের স্কিল উন্নয়ন — সৌদির প্রাসঙ্গিক সেক্টর অনুযায়ী ট্রেনিং নিতে হবে (যেমন: সৌদি এখন সৌর বিদ্যুৎ, স্মার্ট হোম, এবং আইটি নির্ভর অনেক কাজ চালু করছে)।
বাংলাদেশের সম্ভাবনা বিশাল, যদি প্রস্তুতি থাকে সঠিক
বিশ্বের অন্যতম বড় শ্রমবাজার হচ্ছে সৌদি আরব। বর্তমানে দেশটির নির্মাণ, হেলথ, হসপিটালিটি, আইটি এবং পরিষেবা খাতে হাজার হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশি শ্রমিকরা যদি আধুনিক স্কিল ও পেশাগত মান উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দেন, তবে এই বাজারে তাদের অবস্থান অনেক বেশি শক্তিশালী হতে পারে।
শেষ কথা:
বিশ্ব শ্রমবাজার এখন প্রতিযোগিতামূলক। জাতীয় পরিচয় নয়, দক্ষতাই হবে ভবিষ্যতের পাসপোর্ট। এখন সময় দক্ষ হওয়ার, সময় প্রস্তুতির। তা না হলে, সুবর্ণ সুযোগের দরজা সামনে খোলা থাকলেও—আমরা শুধু বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকব।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.
 
				 
					


