বদলের আশায় ছিল দেশ, কিন্তু বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে হতাশার প্রতিচ্ছবি।

লেখক:
Masum Billah Bhuiyan তারিখ: ২২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ প্রতিবেদন:
একসময় আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম—প্রশাসনের কাঠামো হবে জনবান্ধব, দায়িত্বশীল এবং ন্যায়ভিত্তিক। আশাবাদ ছিল, নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে প্রশাসনের ভেতরে আসবে গঠনমূলক পরিবর্তন। কিন্তু বাস্তবতা যে ভিন্ন, তা আজ আর অস্বীকার করার উপায় নেই। পক্ষপাতমূলক আচরণ, জবাবদিহিহীনতা ও কার্যকর পদক্ষেপের অভাব আমাদের হতাশ করেছে বারবার।
ছোটখাটো অপরাধীদের ধরে বাহবা কুড়ানো হচ্ছে, যেন সেটাই বড় কোনো ন্যায়বিচারের প্রতীক। অথচ প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে যারা বিভিন্ন অনিয়ম ও নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের অনেকেই এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন—কেউ কেউ তো আবার পদোন্নতির সম্মানও পেয়েছেন। এসব চিত্র শুধু জনসাধারণের মনে ক্ষোভই তৈরি করছে না, বরং জাতির সঙ্গে যেন এক প্রকার তামাশাও চালানো হচ্ছে।
বিচারের ভার শুধু কি দুর্বলদের জন্য?
জুলাই-আগস্টের সেই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড, যেগুলো এক সময় গোটা জাতিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল, আজ বিস্মৃতির ধুলোয় ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। সেইসব শহীদ পরিবারের দীর্ঘশ্বাস এখন আকাশকেও ভারি করে তোলে। বিচারহীনতার এই চিত্র ভাবায়—নির্যাতিতদের কণ্ঠ কি তবে চিরদিনই নিস্তব্ধ থাকবে?
ইচ্ছার ঘাটতি, না কি পুরনো ব্যবস্থার প্রতি মোহ?
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রশাসনিক রদবদলের প্রত্যাশা ছিল জনগণের। কেউ কেউ তখন বলেছিল, “ঝুঁকি নিচ্ছে সরকার”। কিন্তু ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন নেই। এতে বোঝা যাচ্ছে, সমস্যা সময়ের নয়—সমস্যা ইচ্ছার ঘাটতিতে।
যেসব ব্যক্তিরা অতীতে নিপীড়ন, দুর্নীতি এবং প্রশাসনিক অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদেরই যখন পুরনো অবস্থানে পুনর্বহাল করা হয়, তখন সাধারণ মানুষ হতাশ হয়। আর এই হতাশা থেকে জন্ম নেয় এক বড় প্রশ্ন: এত প্রতিশ্রুতির পরও যদি বাস্তবে পরিবর্তনের ছিটেফোঁটাও না থাকে, তবে দায়ভার কে নেবে?
আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থায় অদৃশ্য সন্ত্রাস
দেশের প্রতিটি স্তরে—from টেম্পু স্ট্যান্ড থেকে হাইওয়ে, পাড়া-মহল্লা থেকে বাসস্ট্যান্ড—অদৃশ্য এক সন্ত্রাস বিরাজ করছে। চাঁদাবাজি যেন এখন ইজারা ব্যবসার অংশ হয়ে গেছে। পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন—সবখানেই চলছে সুসংগঠিত অপরাধচক্রের তাণ্ডব। অথচ প্রশাসনের নীতিনির্ধারকরা বারবার বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ ব্যক্তিদেরই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বসাচ্ছেন।
জনগণের বিশ্বাস কি হারাতে বসেছে?
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যদি কোনো রাজনৈতিক দল হস্তক্ষেপ করে, তবে তা জনগণের সামনে স্পষ্ট করে তুলে ধরা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। অন্যথায়, অবিশ্বাসের দেয়াল গড়ে উঠবে, আর একবার গড়ে উঠলে তা ভাঙা সহজ নয়।
“চেষ্টা চলছে” – এই অজুহাত আর গ্রহণযোগ্য নয়
প্রশাসন থেকে এখনো কেউ কেউ বলছেন, “চেষ্টা চলছে।” শুরুতে হয়তো এটি যুক্তিসঙ্গত মনে হয়েছিল, কিন্তু ৯ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও যদি পুরনো অপরাধীদের পুরস্কৃত করা হয়, তবে সেই ‘চেষ্টা’ কেবল একধরনের অজুহাত হিসেবেই প্রতিভাত হয়।
পরিবর্তনের দায়িত্ব কাদের?
সরকার পরিচালনা সহজ নয়—এটা সবাই জানে। কিন্তু জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে বাস্তবতার মিল না থাকলে, সেই ব্যবস্থার ওপর মানুষের বিশ্বাস হারিয়ে যায়। রাষ্ট্র রাতারাতি বদলে ফেলা যায় না ঠিকই, তবে জনসাধারণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে। আর না হলে সেই পুরোনো ব্যবস্থার ভেতরেই ঘুরপাক খাবে জাতি।
শেষ কথা: দায় এড়ানো নয়, দায়িত্ব পালন জরুরি
আপনারা যেহেতু গণমানুষের সমর্থনে ক্ষমতায় এসেছেন, তাহলে সেই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও আপনাদের নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ হতে হবে। জনগণ কোনো অলীক আশার খাঁচায় আটকে থাকতে চায় না, তারা চায় কার্যকর, মানবিক এবং দায়বদ্ধ প্রশাসন।
সঠিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের সফলতা নিশ্চিত করুন!
মাহবুবওসমানী.কম দিচ্ছে আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট, গ্যারান্টেড SEO র্যাঙ্কিং, এবং প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট – সবকিছু একসাথে, ইংশাআল্লাহ্!
✅ ১৪+ বছরের অভিজ্ঞতা – গ্যারান্টেড SEO র্যাঙ্কিং
✅ ৮০০+ সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট – আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট
✅ প্রমাণিত ফলাফল, সর্বোচ্চ ROI – প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
📩 আজই যোগাযোগ ( wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 ) করুন এবং আপনার ব্যবসার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিন!
🌍 ভিজিট করুন: MahbubOsmane.com