Business

তারেক রহমানের ভবিষ্যৎ রাজনীতি: পুরনো পথে ফিরবেন, নাকি নতুন ইতিহাস রচনা করবেন?

Story Highlights
  • Knowledge is power
  • The Future Of Possible
  • Hibs and Ross County fans on final
  • Tip of the day: That man again
  • Hibs and Ross County fans on final
  • Spieth in danger of missing cut

 

নিউজ ডেস্ক | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হলেও, এর অভ্যন্তরীণ কোন্দল, দুর্নীতি ও ক্ষমতার লড়াই বারবার দলটির ভবিষ্যৎকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে—তিনি কি দলীয় দুর্নীতিবাজদের প্রভাব কাটিয়ে নতুন ইতিহাস রচনা করবেন, নাকি পুরনো রাজনীতির ফাঁদে পা দেবেন?


ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড

২০০৩-০৪ সালের দিকে রাজধানীর পল্টনের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও বিএনপি কর্মী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। এক সপ্তাহ পর তার মৃতদেহ পাওয়া যায় গাজীপুরে। নিহতের পরিবার দাবি করে, তিনি বিএনপির ওয়ার্ড কাউন্সিলর চৌধুরী আলমের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং দলের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার দ্বন্দ্বের বলি হয়েছেন। এই ঘটনার পর দলীয় প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ন্যায়বিচার মিলেছে কিনা, তা আজও প্রশ্নবিদ্ধ।

এ ধরনের ঘটনা বিএনপির জন্য নতুন কিছু নয়। বরকত উল্লাহ বুলুর মতো নেতারা দলীয় আনুগত্যের বাইরে গিয়ে নিজের ক্ষমতা ও সম্পদ বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করেছেন, কিন্তু জনগণের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে মোটরসাইকেলে চড়ে জনগণকে আশ্বাস দেওয়া বুলু পরবর্তীতে মন্ত্রী হয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করলেও তার এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি।


দলীয় নমিনেশন ও ব্যবসায়ী প্রভাব

২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির জনপ্রিয়তা নিশ্চিত থাকায়, বিশিষ্ট শিল্পপতি এম এ হাশেম কয়েক কোটি টাকা অনুদান দিয়ে নোয়াখালী-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিশ্চিত করেন। কিন্তু তার উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাধাগ্রস্ত হয় বরকত উল্লাহ বুলুর ক্যাডার বাহিনীর দ্বারা। তিনি নিজ নামে একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করলেও, তা ব্যর্থ হয় এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেখানে ‘আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করে।

এই ঘটনা প্রমাণ করে, বিএনপির অনেক নেতা দলের নাম ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছেন, কিন্তু জনগণের কল্যাণে কাজ করেননি।


রাজনৈতিক দাসত্ব ও স্বাধীন চিন্তার অভাব

বাংলাদেশের রাজনীতিতে দলীয় আনুগত্য এতটাই শক্তিশালী যে, জনগণ অনেক সময় নিজেদের স্বার্থ না বুঝেই নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন দিয়ে যায়। দার্শনিক অ্যারিস্টটল বলেছিলেন, “মানুষ দুই প্রকার— দাস এবং স্বাধীন। কিছু মানুষ জন্মগতভাবেই দাস, তারা যে কোনো পরিস্থিতিতে দাস হবার জন্যই জন্ম নেয়। বাকিরা জন্ম নেয় শাসন করার জন্য।”

বর্তমান রাজনৈতিক চিত্রেও একই বাস্তবতা লক্ষ্য করা যায়। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা নিজেদের দলের শাসনের দুর্নীতি ও ব্যর্থতার জন্য কোনো অনুশোচনা অনুভব করে না। ফলে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চার পরিবর্তে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থই রাজনীতির মূল এজেন্ডা হয়ে দাঁড়ায়।


তারেক রহমানের সামনে কঠিন সিদ্ধান্ত

বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংকট ও দুর্নীতি অনেক পুরনো। ২০০৭ সালের ‘ওয়ান-ইলেভেন’ সেনা-সমর্থিত সরকারের সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়, যাকে ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’ বলা হয়। এই অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই ছিল বিএনপির কর্মী।

এমনকি, মঈন ইউ আহমেদকে সেনাপ্রধান করার সিদ্ধান্তের ফলে তারেক রহমানকে তার ভাই আরাফাত রহমান কোকোকে হারাতে হয়েছে। খালেদা জিয়ার কারাবন্দিত্বের সময়ও বিএনপি তার মুক্তির জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

এখন তারেক রহমানের সামনে দুটি পথ খোলা:

  1. পুরনো রাজনীতিতে ফিরে যাওয়া: দলীয় দুর্নীতিবাজ নেতাদের সঙ্গ ধরে রেখে ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করা, যা দীর্ঘমেয়াদে বিএনপিকে আরও দুর্বল করে দিতে পারে।

  2. নতুন ইতিহাস রচনা করা: রাজনীতিতে স্বচ্ছতা ও জনকল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া, এবং ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মতো ব্যক্তিত্বদের পরামর্শ গ্রহণ করে নতুন ধারা তৈরি করা।


ড. মুহাম্মদ ইউনুস: বিএনপির সম্ভাব্য পরামর্শদাতা?

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ মাত্র দুজন রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছে যারা ভারতের প্রভাবমুক্ত থেকে দেশ শাসন করেছেন—জিয়াউর রহমান ও ড. মুহাম্মদ ইউনুস। জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তা ও দেশপ্রেম অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে বিএনপির বর্তমান অবস্থা বিবেচনায়, ড. ইউনুসের মতো একজন দূরদর্শী ব্যক্তিত্বের পরামর্শ তারেক রহমানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

ড. ইউনুস যদি ক্ষমতায় নাও আসেন, তবুও তার চিন্তাধারা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা বিএনপির জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।


এ্যারিস্টটলের পরামর্শ ও তারেক রহমানের করণীয়

প্রাচীন দার্শনিক অ্যারিস্টটল একবার তার শিষ্য আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটকে রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি পুরনো ও বড় বড় গাছের ডাল ছেঁটে ছোট ডালগুলোকে সূর্যের আলো পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি বুঝিয়েছিলেন যে, পুরনো ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের ছাঁটাই না করলে নতুন নেতৃত্ব বিকশিত হবে না।

তারেক রহমানকেও এ ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিএনপির দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের সাথে নিয়ে ক্ষমতায় ফিরলে তার জন্য রাজনীতি আরও কঠিন হয়ে পড়বে। বরং তিনি যদি নতুন ও স্বচ্ছ নেতৃত্ব নিয়ে সামনে আসেন, তবে বিএনপির জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে।


উপসংহার

তারেক রহমানের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। তিনি যদি দলের দুর্নীতিবাজদের ছাঁটাই করতে না পারেন, তবে বিএনপি তার রাজনৈতিক অস্তিত্বই হারাতে পারে। কিন্তু যদি তিনি গণতান্ত্রিক সংস্কার ও স্বচ্ছ রাজনীতির পথে হাঁটেন, তবে বিএনপির হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পারেন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা হবে কিনা, তা নির্ভর করছে তারেক রহমানের ওপর। তিনি কি পুরনো পথে হেঁটে রাজনীতির ঘূর্ণিপাকে হারিয়ে যাবেন, নাকি নতুন ইতিহাস রচনা করবেন? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।


📌 সংবাদটি প্রকাশিত হলো: News.MahbubOsmane.com

সঠিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের সফলতা নিশ্চিত করুন! 

মাহবুবওসমানী.কম দিচ্ছে আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট, গ্যারান্টেড SEO র‍্যাঙ্কিং, এবং প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট – সবকিছু একসাথে, ইংশাআল্লাহ্‌!

১৪+ বছরের অভিজ্ঞতা
৮০০+ সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট
প্রমাণিত ফলাফল, সর্বোচ্চ ROI

📩 আজই যোগাযোগ করুন এবং আপনার ব্যবসার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিন!
🌍 ভিজিট করুন: MahbubOsmane.com

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button