ড. ইউনূসের বক্তব্য ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া: বিভ্রান্তির নতুন খেলা?
📅 ২৬ মার্চ ২০২৫ | ✍ নিউজ ডেস্ক
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি একটি বক্তব্য দিয়েছেন, যা দেশের রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ২৫ মার্চ ২০২৫ তারিখে দেওয়া এই বক্তব্যে তিনি দেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে স্পষ্টতই বলেছেন, “ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে।” অথচ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বিশ্লেষক দাবি করছেন, তার বক্তব্যে নির্বাচন নিয়ে কিছু বলা হয়নি!
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া: বিভ্রান্তির জন্ম?
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ড. ইউনূসের ভাষণের সমালোচনা করেছেন এই যুক্তিতে যে, সেখানে নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা নেই। অথচ ড. ইউনূস নিজেই নির্বাচনের সময়কাল নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। তাহলে এই অস্বীকার করার কারণ কী? রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষা নাকি নতুন বিতর্ক তৈরির চেষ্টা?
এদিকে ইউটিউব সংবাদ বিশ্লেষক ডা. জাহেদ দাবি করেছেন, “ড. ইউনূসের ভাষণে নাকি শেখ হাসিনার ছায়া দেখা গেছে!” অর্থাৎ, কিছু মহল এতটাই হতাশ যে, তারা এখন ড. ইউনূসকে বর্তমান সরকারের সমর্থক হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে!
চাঁদাবাজদের ধরার ভয়?
অনেকেই মনে করছেন, বিএনপি ও তাদের সমর্থিত গোষ্ঠীর এ ধরনের প্রতিক্রিয়ার মূল কারণ চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান। বিভিন্ন অপরাধে দলের নেতাদের গ্রেফতার এবং বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তাই তারা এখন রাজনৈতিক বিভ্রান্তি ছড়িয়ে জনগণের মনোযোগ অন্যদিকে ঘোরাতে চাইছে।
মির্জা আব্বাসের দ্বৈত অবস্থান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস কিছুদিন আগেও ৫ আগস্টের আন্দোলনের পর ছাত্রদের প্রশংসা করেছিলেন। তখন তার বিরুদ্ধে ৬০-৭০টি মামলা ছিল, তাই তিনি আন্দোলনকারীদের ধন্যবাদ জানান। অথচ এখন তিনিই বলছেন, “দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই।”
প্রশ্ন হলো, তার মত বদলানোর কারণ কী?
-
৫ আগস্টের আন্দোলন সফল হয়েছিল, তাই তিনি তখন আন্দোলনকারীদের ধন্যবাদ দিয়েছিলেন।
-
এখন সেই ছাত্রদের রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
-
ছাত্রদের কৃতিত্ব স্বীকার করলে দলের সিনিয়র নেতাদের রাজনৈতিক অবস্থান দুর্বল হতে পারে।
এ কারণেই হয়তো তিনি এখন ৫ আগস্টের আন্দোলনের গুরুত্ব অস্বীকার করছেন!
জনগণের প্রতিক্রিয়া: কেন কেউ রাস্তায় নামেনি?
গত ১৭ বছরে বিএনপির আন্দোলনে জনগণ কেন সাড়া দেয়নি? কেন কেউ রাস্তায় নামে না? এর উত্তর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা স্পষ্টভাবে দিয়েছেন:
👉 বিএনপির দ্বিমুখী নীতি: দলটি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা যা করেছিল, এখন তার বিপরীত কথা বলছে। জনগণ এই ভণ্ডামি বুঝে গেছে।
👉 অপরাধীদের রক্ষা করা: বিএনপি যখনই আন্দোলনের ডাক দিয়েছে, তখন জনগণ দেখেছে, এতে অপরাধী, দুর্নীতিবাজ এবং দাগি চাঁদাবাজরা নেতৃত্ব দিয়েছে। ফলে জনগণ এতে সম্পৃক্ত হতে চায়নি।
👉 ভিত্তিহীন রাজনৈতিক প্রচার: বিএনপির বেশিরভাগ প্রচার অতিরঞ্জিত ও বাস্তবতা বিবর্জিত। তারা সবসময় সরকারের বিরুদ্ধে এমনসব অভিযোগ আনে, যার কোনো বাস্তব প্রমাণ নেই।
আল্লাহ যা বলেছেন, তাই সত্য!
আল-কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
“নিশ্চয়ই মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ!” (সূরা ইবরাহীম: ৩৪)
বিএনপি নেতাদের অবস্থান দেখে এই আয়াতের কথা মনে পড়াটা স্বাভাবিক। যারা একসময় ছাত্রদের ধন্যবাদ দিয়েছে, তারাই আজ তাদের অবদান অস্বীকার করছে! যারা নিজে নির্বাচন চায়, তারা এখন আবার নির্বাচন প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছে!
শেষ কথা
বাংলাদেশের রাজনীতি এখন এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিছু দল ও ব্যক্তি জনগণের সentiment নিয়ে খেলা করতে চাইছে। তবে বাংলাদেশের জনগণ এখন অনেক সচেতন। তারা জানে কারা সত্য বলছে, আর কারা শুধু নিজের স্বার্থের জন্য মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।
🔗 আরও আপডেটের জন্য ভিজিট করুন: news.mahbubosmane.com
সঠিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের সফলতা নিশ্চিত করুন!
মাহবুবওসমানী.কম দিচ্ছে আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট, গ্যারান্টেড SEO র্যাঙ্কিং, এবং প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট – সবকিছু একসাথে, ইংশাআল্লাহ্!
✅ ১৪+ বছরের অভিজ্ঞতা
✅ ৮০০+ সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট
✅ প্রমাণিত ফলাফল, সর্বোচ্চ ROI
📩 আজই যোগাযোগ করুন এবং আপনার ব্যবসার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিন!
🌍 ভিজিট করুন: MahbubOsmane.com