
প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৫
পরিপূর্ণ নিউজ ডেস্ক | www.poripurno.com
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ঘটে গেলো এক অপ্রত্যাশিত কূটনৈতিক দৃশ্য, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে উঠেছে।
বৈঠকের এক পর্যায়ে ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনাদের দেশে হোয়াইট ফার্মারদের বিরুদ্ধে জেনোসাইডের অভিযোগ পাচ্ছি। আমরা এর ব্যাখ্যা আশা করছি।” উত্তরে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট হাস্যরসের মাধ্যমে বলেন, “দুঃখিত ডন, আপনাকে দেয়ার মতো কোনো বোয়িং জেট আমার নাই।” ট্রাম্প জবাব দেন, “আপনি দিলে আমি নিয়ে নিতাম!”
এই কথোপকথনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মে, যেখানে দর্শকরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘ক্লাউনসুলভ’ আচরণ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের কৌশলী ঠাট্টার প্রতিক্রিয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু করেন।
যখন ট্রাম্প চুপ, অস্ত্র যখন গাজায়…
ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকায় হোয়াইট ফার্মারদের বিরুদ্ধে ‘জেনোসাইড’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, প্রশ্ন উঠে এসেছে— তিনি কি কখনও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ উচ্চারণ করেছেন?
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যখন ফিলিস্তিনি জনগণের উপর বর্বর হামলা, শিশুদের হত্যা ও হাসপাতালের ধ্বংসযজ্ঞের অভিযোগ উঠে, তখন কি ট্রাম্প বা মার্কিন প্রশাসন ততটা সোচ্চার ছিলেন?
অবশ্যই নয়। বরং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে আমেরিকা নিজেই, যার বহু অংশ ব্যবহার হয়েছে গাজায় হামলার ক্ষেত্রে। এত অস্ত্র সরবরাহের পর এর ব্যবহার নিয়ে অজানা থাকার প্রশ্নই ওঠে না।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
রাজনৈতিক ভব্যতা ও ‘আতিথেয়তার শিক্ষা’
আরব বিশ্বের আতিথেয়তা সম্পর্কে প্রশংসা করে বলা হয়ে থাকে যে, অতিথিদের সম্মান জানাতে তারা সবসময় এগিয়ে থাকে। ট্রাম্প নিজেও সৌদি আরব সফরের সময় সেই আতিথেয়তার স্বাদ পেয়েছেন। অথচ, যখন নিজের দেশেই কোনো রাষ্ট্রপ্রধান তাকে সফরে আসে, তখন ট্রাম্পের আচরণ হয়ে ওঠে চূড়ান্ত অসৌজন্যমূলক।
এই বৈঠকের সময় তার ভঙ্গিমা, বক্তব্য ও দৃষ্টিভঙ্গি অনেক বিশ্লেষকের মতে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক নীতিমালার লঙ্ঘন।
বিশ্ব ব্যবস্থা বদলে যাচ্ছে, আমেরিকা-ইসরায়েল একঘরে?
বিশ্ব এখন আগের মতো নেই। টেক দুনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এক সময় আমেরিকা-ইউরোপের হাতে থাকলেও, এখন চীনের অগ্রযাত্রা ও অন্যান্য বিকল্পের উত্থান সেই কর্তৃত্বকে টলিয়ে দিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক সজাগতা ও ডিজিটাল সচেতনতার যুগে আমেরিকা ও ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষও প্রশ্ন তুলছে। সামাজিক মাধ্যমে এখন একটি স্পষ্ট বার্তা ভেসে আসছে—
“নতুন দিনের আগমনী গান রচিত হচ্ছে…”
আজকের বিশ্ব আর আগের মতো একমুখী নয়। যাদের কখনো প্রশ্ন করা যেত না, তাদের নিয়েই এখন হাসাহাসি হচ্ছে। ট্রাম্পের মতো বিশ্বনেতাও রক্ষা পাচ্ছেন না তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ থেকে।
শেষ কথা
একটি রাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড তার কূটনৈতিক সম্পর্ক, মানবাধিকার রেকর্ড এবং আন্তর্জতিক আচরণের উপর ভিত্তি করেই বিচার হয়। ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য ও আমেরিকার পক্ষপাতমূলক নীতিই এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
সারা বিশ্বের মানুষ এখন তাদের চোখ দিয়ে দেখছে, নিজেদের বিবেক দিয়ে ভাবছে— কে অপরাধী, আর কে নির্যাতিত।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.