ছেলে বউয়ের, কিন্তু মেয়ে কখনও পর হয় না – বাস্তবতা নাকি মানসিকতা?

০২ এপ্রিল ২০২৫ | সংবাদদাতা: News Desk
“ছেলের বিয়ে হয়ে গেলে সে আর নিজের থাকে না, বউয়ের হয়ে যায়। কিন্তু মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলেও সে কখনো পর হয় না।”—এই কথাটি আমাদের সমাজে বহুবার শোনা যায়। কিন্তু এই ধারণাটি কতটা সত্য? এটি কি শুধু সামাজিক প্রচলন, নাকি বাবা-মায়ের নিজেদের মনোভাবের কারণেই সম্পর্কের এই দূরত্ব তৈরি হয়?
আমাদের সমাজে দেখা যায়, বাবা-মায়েরা মেয়ের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা প্রদর্শন করেন। মেয়ে সুখে থাকলেই বাবা-মা সুখী হন, মেয়ের কষ্টকে নিজের কষ্ট বলে মনে করেন। কিন্তু ছেলের ক্ষেত্রে বিষয়টি একদম ভিন্ন। ছেলেকে সবসময় দায়িত্ব পালনের চাপে রাখা হয়, তার প্রতি নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যাশা আরোপ করা হয়। যদি ছেলে সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়, তখনই বাবা-মায়ের কাছে সে অবহেলার পাত্র হয়ে যায়।
মেয়ে বনাম ছেলে: বাবা-মায়ের আচরণগত পার্থক্য
১. মেয়ের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, কিন্তু ছেলের প্রতি দায়িত্বের বোঝা
👉 মেয়েকে দেওয়া হয় নিঃস্বার্থভাবে: বাবা-মা কখনো মেয়ের কাছে কিছু প্রত্যাশা করেন না। মেয়ের সুখই যেন তাদের সুখ। তার বিয়ে, সংসার, শখ সবকিছুতে তারা খরচ করতে প্রস্তুত থাকেন, কখনোই হিসাব কষেন না।
👉 ছেলের কাছে রিটার্ন আশা করা হয়: ছেলেকে পড়াশোনা, ব্যবসা বা ক্যারিয়ারে সহযোগিতা করলে, বাবা-মা তার বিনিময়ে কিছু প্রত্যাশা করেন। ছেলের উপার্জন হলে তাকে দায়িত্ব পালন করতেই হবে—এটাই যেন অলিখিত নিয়ম।
২. মেয়ের জামাই বনাম ছেলের বউ: কেমন পার্থক্য?
👉 মেয়ের জামাইকে সম্মান দেওয়া হয়: বাবা-মা মেয়ের জামাইকে ভালোবাসেন, যত্ন করেন। যদি তিনি উচ্চশিক্ষিত বা ধনী হন, তবে তাকে আরও বেশি সম্মান করা হয়।
👉 ছেলের বউকে সহজে আপন করে নেওয়া হয় না: অনেক সময় দেখা যায়, ছেলের বউকে পরিবারের একজন হিসেবে গৃহীত হতে লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়। শ্বশুর-শাশুড়ির মনে এক ধরনের সন্দেহ কাজ করে—“এই মেয়ে আমাদের ছেলে কেড়ে নিল!”
৩. অর্থনৈতিক হিসাব: মেয়ের বিয়ে বনাম ছেলের বিয়ে
👉 মেয়ের বিয়েতে বিশাল খরচ করলেও কিছু মনে হয় না: বিয়ের দেনমোহর, গয়না, সাজসজ্জা, অনুষ্ঠান—সবকিছুতেই বাবা-মা খরচ করেন খুশি মনে।
👉 ছেলের পড়াশোনা বা ক্যারিয়ারে খরচ করলেই মনে করিয়ে দেওয়া হয়: “তোর জন্য এত টাকা খরচ করেছি, এখন তুই কী করছিস?”—এই কথাটি ছেলেদের জীবনে বহুবার শুনতে হয়।
ছেলের বউয়ের প্রতি শ্বশুর-শাশুড়ির মনোভাব
অনেক সময় ছেলের বউ যদি ভালো চাকরি করেন, ধনী পরিবার থেকে আসেন বা স্বাবলম্বী হন, তাহলে শ্বশুর-শাশুড়ি মনে মনে এক অস্বস্তি অনুভব করেন। ছেলে-বউ বেশি সুখে থাকলে বাবা-মায়ের মধ্যে হিংসা জন্ম নেয়। কিন্তু মেয়ের বিয়ে ভালো জায়গায় হলে বাবা-মা আনন্দিত হন, গর্বিত হন।
কেন এই দ্বৈত মানসিকতা?
কারণ বাবা-মায়ের মনে ছেলে সম্পর্কে এক ধরনের স্বার্থ জড়িয়ে থাকে। তারা চান, ছেলে তাদের দেখাশোনা করুক, তাদের সুখ-দুঃখের অংশ হোক। কিন্তু মেয়ে যেহেতু অন্য বাড়িতে চলে যায়, তার কাছে কোনো প্রত্যাশা থাকে না।
উপসংহার
এটি শুধুই সামাজিক প্রচলন, নাকি অভ্যন্তরীণ মানসিকতা? প্রকৃতপক্ষে, এটি বাবা-মায়ের মানসিকতার পরিবর্তনের ওপর নির্ভর করে। যদি তারা ছেলেকে ভালোবাসেন নিঃস্বার্থভাবে, যেমনটা তারা মেয়েকে ভালোবাসেন, তাহলে এই সমস্যাগুলো থাকবে না।
সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে—ভালোবাসার ক্ষেত্রে কখনোই পার্থক্য করা উচিত নয়। প্রত্যাশার চাপ ছেলের ওপর দিলে সম্পর্কের দূরত্ব বাড়বেই। তাই সময় এসেছে এই মানসিকতা বদলানোর।
📌 সংবাদটি পড়তে ও শেয়ার করতে ভিজিট করুন: News.MahbubOsmane.com
📝 মাহবুব ওসমানী | news.mahbubosmane.com
🚀 সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদ সবার আগে!
সঠিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের সফলতা নিশ্চিত করুন!
মাহবুবওসমানী.কম দিচ্ছে আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট, গ্যারান্টেড SEO র্যাঙ্কিং, এবং প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট – সবকিছু একসাথে, ইংশাআল্লাহ্!
✅ ১৪+ বছরের অভিজ্ঞতা – গ্যারান্টেড SEO র্যাঙ্কিং
✅ ৮০০+ সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট – আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট
✅ প্রমাণিত ফলাফল, সর্বোচ্চ ROI – প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
📩 আজই যোগাযোগ করুন এবং আপনার ব্যবসার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিন!
🌍 ভিজিট করুন: MahbubOsmane.com