Politics

নির্বাচন কবে হবে? অনিশ্চয়তার দোলাচলে বাংলাদেশ!

০২ এপ্রিল ২০২৫ | সংবাদদাতা: News Desk

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দিন দিন আরও জটিল হয়ে উঠছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন অনুযায়ী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের মেয়াদ ২০২৯ পর্যন্ত থাকার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। আগস্টের আগে পর্যন্ত কেউ কল্পনাও করেনি যে রাজনৈতিক সমীকরণ এত দ্রুত বদলে যাবে। এখন প্রশ্ন একটাই—পরবর্তী নির্বাচন কবে?

অনেকে মনে করেন, ২০২৭ সালের জুন থেকে ২০২৮ সালের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে। তবে এটি নিছক অনুমান মাত্র। বাস্তবতা হলো, নির্বাচন পিছিয়ে যাচ্ছে একাধিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে। বিশেষ করে বিএনপি’র কিছু কৌশলগত ভুলের কারণে নির্বাচন আরও বিলম্বিত হচ্ছে।


নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার মূল কারণগুলো

১. আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব বিএনপির প্রত্যাখ্যান

বিএনপি যদি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব সমর্থন করত, তবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একদম ভিন্ন হতে পারত। কিন্তু বিএনপি এই প্রস্তাবে সম্মতি দেয়নি, অথচ এই সিদ্ধান্তের পেছনে কোনো ব্যাখ্যাও দেয়নি।

🔴 খেসারত: জনগণের মধ্যে বিএনপির ওপর প্রথমবারের মতো সন্দেহ তৈরি হয়। ফলে নির্বাচন পিছিয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গড়ায়।

২. বিএনপির নেতাকর্মীদের লুটপাট ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ

২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লুটপাট, চাঁদাবাজি এবং নানা অপকর্মের অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে বিএনপির মিডিয়া উইং এই ঘটনাগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়। একইসঙ্গে কিছু বিএনপি নেতার বক্তব্য ভারতের সাথে মিলে যাওয়ায় জনগণের মধ্যে দলটির ‘ভারতপ্রীতি’ নিয়ে সন্দেহ বাড়ে।

🔴 খেসারত: নির্বাচন পিছিয়ে ২০২৬ সালের শুরু অথবা মাঝামাঝি সময়ে চলে যায়।

৩. ভারতপ্রীতি কাটানোর জন্য তিস্তা অভিমুখে যাত্রা, কিন্তু…

বিএনপি তাদের ‘ভারতপ্রীতি’ দুর্নামের বিরুদ্ধে জনসমর্থন ফেরাতে তিস্তা অভিমুখে যাত্রার ঘোষণা দেয়। এটি একটি ভালো পদক্ষেপ ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, একই দিনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

🔴 খেসারত: বিএনপির ভারতপ্রীতি নিয়ে সন্দেহ আরও পাকাপোক্ত হয় এবং জনগণের মাঝে দলটির গ্রহণযোগ্যতা কমতে থাকে।

৪. সংস্কার নিয়ে বিএনপির অস্বচ্ছ অবস্থান

ইন্টারিম সরকারের বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাবের ব্যাপারে বিএনপি একের পর এক অনীহা প্রকাশ করেছে। দলটি স্পষ্ট করেনি, কোন কোন সংস্কার তারা চায় বা চায় না। জনগণ এখন আর বিএনপিকে বিশ্বাস করতে পারছে না।

🔴 খেসারত: বিএনপি জনসাধারণের কাছ থেকে ক্রমাগত বিচ্ছিন্ন হতে থাকে এবং এর ফলে নির্বাচন আরও পিছিয়ে যায়।


একটি ইতিহাস ও বর্তমান পরিস্থিতির মিল

বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। খালেদ মোশাররফ ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু জনগণ ও সেনাবাহিনীর সমর্থন পাননি। ফলে পাল্টা অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতা হারান।

ঠিক তেমনই, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও বিএনপি সঠিক কৌশল না নেওয়ায় ক্রমাগত জনসমর্থন হারাচ্ছে।


তাহলে নির্বাচন কবে?

নির্বাচনের সময় নির্ভর করছে বিভিন্ন শর্ত ও পরিস্থিতির ওপর:

যদি বিএনপি, জামায়াত ও ইন্টারিম সরকার ঐক্যমতে পৌঁছায়, তাহলে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে।
যদি ড. ইউনূস রাজনৈতিকভাবে সফল হন বা ব্যর্থ হন, তার ওপরও নির্বাচন নির্ভর করছে।
যদি যুক্তরাষ্ট্র কোনো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাহলে সরকার দ্রুত নির্বাচন দিতে পারে।
যদি জনগণের মধ্যে অস্থিরতা বেড়ে যায়, তাহলে সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগেভাগেই নির্বাচন দিতে পারে।
অথবা, যদি কোনো আকস্মিক রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে, তাহলে যেকোনো সময় নির্বাচন হতে পারে!

একটি বাস্তবতা: বিএনপি জিতবে?

যেভাবেই হোক, যদি নির্বাচন হয়, তবে বিএনপির জেতার সম্ভাবনা খুবই বেশি। কিন্তু বিএনপি কি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন!

📌 সংবাদটি পড়তে ও শেয়ার করতে ভিজিট করুন: News.MahbubOsmane.com

📝 মাহবুব ওসমানী | news.mahbubosmane.com
🚀 সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদ সবার আগে!

সঠিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের সফলতা নিশ্চিত করুন! 

মাহবুবওসমানী.কম দিচ্ছে আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট, গ্যারান্টেড SEO র‍্যাঙ্কিং, এবং প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট – সবকিছু একসাথে, ইংশাআল্লাহ্‌!

১৪+ বছরের অভিজ্ঞতা – গ্যারান্টেড SEO র‍্যাঙ্কিং
৮০০+ সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট – আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট
প্রমাণিত ফলাফল, সর্বোচ্চ ROI – প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

📩 আজই যোগাযোগ করুন এবং আপনার ব্যবসার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিন!
🌍 ভিজিট করুন: MahbubOsmane.com

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button