Islam

আত্মার জাগরণ: লন্ডনের এক নাস্তিকের ইসলাম গ্রহণের হৃদয় ছোঁয়া গল্প

লন্ডন, যুক্তরাজ্য — আজকের এই বস্তুবাদী যুগে বিশ্বাসের আলো কতটা গভীরভাবে হৃদয়ে রেখাপাত করতে পারে, তার এক জীবন্ত প্রমাণ হয়ে উঠেছে লন্ডনের এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে এক নাস্তিক বন্ধুর ডিনার টেবিলের আলাপচারিতা। ছোট্ট একটি প্রশ্ন, নির্ভেজাল যুক্তি এবং একজন মুমিনের ধৈর্য ও আকিদাহ—পরিবর্তন করে দিল এক অবিশ্বাসীর জীবন।

ঘটনার সূচনা: একটি সাধারণ ডিনার

লন্ডনের একটি আরবিয়ান রেস্টুরেন্টে রাতের খাবারে মিলিত হন দুইজন। একজন আল্লাহভীরু মুসলিম, অন্যজন একঘরে নাস্তিক। অর্ডার দেবার মুহূর্তেই ভেসে আসে এশার আজান। মুসলিম ভাইটি সাথে সাথে নামাযে দাঁড়িয়ে যান। নামায শেষে ফিরতেই নাস্তিক বন্ধু জিজ্ঞাসা করে বসে, “আপনি এখনো নামায পড়েন? এত আধুনিক যুগে এমন ব্যাকডেটেড মানসিকতা দুঃখজনক!”

এই প্রশ্ন থেকেই শুরু হয় এক যুক্তিবহ বিতর্ক। প্রতিটি প্রশ্নে মুমিন ব্যক্তি শান্তভাবে উত্তর দেন। তিনি প্রমাণ করেন, যদি মৃত্যুর পরে জান্নাত-জাহান্নাম, পাপ-পুণ্য কিছুই না থাকে, তাহলেও একজন মুসলিমের ইবাদত বিফলে যায় না—বরং প্রতিটা কাজই তার দুনিয়াবি উপকারে আসে।

পরিপূর্ণ আত্মবিশ্বাসে প্রতিটি উত্তর

নামায, রোযা, মদ পান থেকে বিরত থাকা, হজ্জের খরচ—প্রতিটি বিষয়ে যুক্তিবাদী ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝিয়ে দেন, ইবাদত শুধু পরকালের জন্য নয়, দুনিয়ার জন্যও শান্তির পথ। তিনি বলেন,

“আমি আল্লাহর ইবাদত করি, কারণ তিনি ইবাদতের যোগ্য। জান্নাতের লোভ বা জাহান্নামের ভয় নয়, বরং ভালোবাসা থেকেই আমি নামায পড়ি।”

সবশেষে তিনি নাস্তিক বন্ধুকে একটাই প্রশ্ন করেন—“যদি মৃত্যুর পরে দেখেন, জান্নাত-জাহান্নাম সত্যি, তাহলে আপনি কী করবেন?”

এক নতুন যাত্রার শুরু

কথোপকথনের পরে তাদের আর যোগাযোগ হয়নি। কিন্তু আল্লাহর দরবারে দোয়া ছিল অব্যাহত। কয়েক সপ্তাহ পর সেই নাস্তিক বন্ধু নিজেই ফোন করে ডেকে আনেন তাকে আগের সেই রেস্টুরেন্টে। দেখা মাত্রই চোখে পানি, মুখে দাড়ি, গায়ে লম্বা জামা—এক নতুন মানুষ।

তিনি জানান, সেদিনের আলোচনার পর থেকে তার হৃদয়ে এক অজানা কষ্ট কাজ করতে থাকে। ঘুমাতে পারতেন না, খেতে পারতেন না, নিজের মধ্যে এক ভিন্ন মানুষকে অনুভব করতেন। অবশেষে আল্লাহর হেদায়েতে ফিরে আসেন ইসলামে। বিশ বছর পর আবার শুরু করেন নামায, আল্লাহর পথে চলা।

শেষ কথায় হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া বার্তা

এই গল্পটি শুধুই একজন ব্যক্তির ইসলাম গ্রহণের ঘটনা নয়, বরং এটি একটি যুগান্তকারী উদাহরণ—কীভাবে এক একজন মুসলিম তার আচরণ, যুক্তি এবং আন্তরিকতার মাধ্যমে কাউকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে পারেন।

শেষে সেই ব্যক্তি বলেন,

“আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম বিনিময় দিন এবং আমাকে জান্নাতে আপনার সাথী হিসেবে কবুল করুন!”


✍️ লেখক: (সংগৃহীত)
📰 সংকলন ও উপস্থাপনা: Mahbub Osmane
📍 প্রকাশিত: news.mahbubosmane.com

সঠিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের সফলতা নিশ্চিত করুন! 

মাহবুবওসমানী.কম দিচ্ছে আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট, গ্যারান্টেড SEO র‍্যাঙ্কিং, এবং প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট – সবকিছু একসাথে, ইংশাআল্লাহ্‌!

১৪+ বছরের অভিজ্ঞতা – গ্যারান্টেড SEO র‍্যাঙ্কিং
৮০০+ সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট – আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট
প্রমাণিত ফলাফল, সর্বোচ্চ ROI – প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট📩 আজই যোগাযোগ (  wa.me/+966549485900 or  wa.me/+8801716988953 ) করুন এবং আপনার ব্যবসার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিন!
🌍 ভিজিট করুন: MahbubOsmane.com

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button