দাজ্জালের ফিতনা: আবরাহামীয় ধর্মের দৃষ্টিতে শেষ যুগের ভয়াবহ বাস্তবতা
লেখক: Rashed Hasan Akash
সম্পাদনায়: Mahbub Osmane
প্রকাশের তারিখ: 21 April 2025
ভূমিকা
বিশ্ব রাজনীতির পরিবর্তন, ধর্মীয় সংঘাত ও মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা যেন এক অদৃশ্য ভবিষ্যতের বার্তা দিচ্ছে। বিশেষ করে তিনটি আবরাহামীয় ধর্ম—ইসলাম, ইহুদি ও খ্রিষ্টান—তাদের ধর্মগ্রন্থ ও বর্ণনায় এক ভয়াবহ শেষ যুগের ইঙ্গিত দিয়ে আসছে। প্রতিটি ধর্মের বর্ণনায় রয়েছে এক অলৌকিক নেতার আবির্ভাব, এক মহাযুদ্ধ এবং এক বিরাট পরিবর্তনের পূর্বাভাস। মুসলিমদের কাছে এই নেতা দাজ্জাল নামে পরিচিত—যার ফিতনা এতটাই ভয়ানক যে, সকল নবী তাঁর উম্মতকে এ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
আবরাহামীয় ধর্মগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচয়
ইসলাম, ইহুদি ও খ্রিষ্টান ধর্মের মূল শিকড় ইব্রাহিম (আলাইহিস সালাম)। এই তিনটি ধর্মই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে জন্ম লাভ করে এবং একত্ববাদী বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে গঠিত।
- ইহুদি ধর্ম: শুরু হয় মুসা (আঃ)-এর মাধ্যমে।
- খ্রিষ্টান ধর্ম: গঠিত হয় যীশু (ঈসা আঃ)-এর উপর ভিত্তি করে।
- ইসলাম ধর্ম: পরিপূর্ণতা পায় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর মাধ্যমে।
শেষ যুগের বার্তা: তিন ধর্মের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি
ইসলামের দৃষ্টিতে দাজ্জালের আগমন
- শেষ যুগে এক অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন মিথ্যাবাদী নেতা দাজ্জাল পৃথিবীতে আবির্ভূত হবে।
- তিনি অসাধারণ প্রতিভা ও মিরাকলের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন।
- মুসলমানদের নেতা হবেন ইমাম মাহদি, এরপর ঈসা (আঃ) পুনরায় পৃথিবীতে অবতরণ করবেন সিরিয়ার উমাইয়া মসজিদে।
- ঈসা (আঃ) এসে দাজ্জালকে হত্যা করবেন এবং পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন।
- ঘটনাগুলোর মূল কেন্দ্র হবে ফিলিস্তিন, সিরিয়া, জর্ডান ও লেবানন।
ইহুদি বিশ্বাসে ‘মশীহ’ ও ফিলিস্তিন রাজ্য
- ইহুদিরা বিশ্বাস করে নবী দাউদ (আঃ) ও সোলায়মান (আঃ)-এর রাজ্য ছিল ফিলিস্তিনে।
- তারা সেই ‘হারানো রাজ্য’ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চায়।
- তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে ‘মসীহ’ নামের একজন নেতা আসবেন এবং চিরস্থায়ী ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবেন।
- আল-আকসা মসজিদ ভেঙে ‘থার্ড টেম্পল’ নির্মাণের পরিকল্পনা তাদের এই বিশ্বাসের অংশ।
খ্রিষ্টানদের দৃষ্টিতে শেষ যুগ
- শেষ যুগে ৭ বছরব্যাপী এক মহাসংকট বা ‘গ্রেট ট্রাইবুলেশন’ দেখা দেবে।
- ঈসা (আঃ) এসে প্রকৃত খ্রিষ্টানদের ‘Rapture’ মাধ্যমে স্বর্গে নিয়ে যাবেন।
- অনেক খ্রিষ্টান বিশ্বাস করে মুসলমানরাই হবে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ।
- তারা ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাকে শেষ যুগের সূচনা হিসেবে দেখে।
একই চরিত্র, ভিন্ন পরিচয়: বিভ্রান্তিকর বাস্তবতা
এই তিনটি ধর্ম একই ব্যক্তিকে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে:
- মুসলিমরা তাকে “দাজ্জাল” হিসেবে চিহ্নিত করে এবং প্রত্যাখ্যান করে।
- ইহুদিরা তাকে “মশীহ” বলে মেনে নেয়।
- কিছু খ্রিষ্টান গোষ্ঠী নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-কে (নাউযুবিল্লাহ) ভুলভাবে অ্যান্টি-ক্রাইস্ট বলে মনে করে।
এই বিভ্রান্তি ও মতবিরোধ প্রমাণ করে, দাজ্জালের ফিতনা শুধুমাত্র ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বরং বৈশ্বিক ও ধর্মীয় রাজনীতিতেও এক ভয়ানক বিপর্যয়।
উপসংহার
দাজ্জালের ফিতনা এমন এক ভয়ঙ্কর পরীক্ষা, যার জন্য পূর্ববর্তী সকল নবী তাদের উম্মতকে সতর্ক করেছেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার উম্মতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে এই ফিতনা থেকে বাঁচতে বলেছেন। দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদেরকে সবসময় আল্লাহর আশ্রয় কামনা করতে হবে এবং দ্বীনের জ্ঞান অর্জনে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে দাজ্জালের ফিতনা ও ভ্রান্তি থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
তথ্যসূত্র: ইসলামী গ্রন্থ, হাদীস, আধুনিক বিশ্লেষণ এবং লেখক Rashed Hasan Akash-এর গবেষণাভিত্তিক আলোচনা।
সঠিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের সফলতা নিশ্চিত করুন!
মাহবুবওসমানী.কম দিচ্ছে আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট, গ্যারান্টেড SEO র্যাঙ্কিং, এবং প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট – সবকিছু একসাথে, ইংশাআল্লাহ্!
✅ ১৪+ বছরের অভিজ্ঞতা – গ্যারান্টেড SEO র্যাঙ্কিং
✅ ৮০০+ সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট – আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট
✅ প্রমাণিত ফলাফল, সর্বোচ্চ ROI – প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট📩 আজই যোগাযোগ ( wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 ) করুন এবং আপনার ব্যবসার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিন!
🌍 ভিজিট করুন: MahbubOsmane.com