BangladeshWorld

দ্বিতীয় ইসরায়েলের খোঁজে: ভারত-ইসরায়েল সম্পর্ক ও মুসলিম বিদ্বেষের অশনি সংকেত!

 

প্রকাশকাল: ১৪ এপ্রিল ২০২৫
লিখেছেন: নিউজ ডেস্ক | news.mahbubosmane.com


ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষের রক্ত যখন গাজা উপত্যকার মাটিকে রঞ্জিত করছে, তখন হাজার মাইল দূরে বসে আমরা অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি—”আমরা তো নিরাপদে আছি”। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সত্যিই কি আমরা নিরাপদে আছি? আমরা কি জানি, আমাদের একেবারে ঘাড়ের কাছে আরেকটি ‘ইসরায়েল’ বহু আগেই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে?

আমরা কথা বলছি প্রতিবেশী দেশ ভারতের। হ্যাঁ, এই ভারতেই এখন গড়ে উঠেছে এক ধরনের ‘দ্বিতীয় ইসরায়েল’, যেখানে মুসলিম বিদ্বেষ আজ রাষ্ট্রীয় নীতিতে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারত ও ইসরায়েলের সম্পর্ক এখন এতটাই ঘনিষ্ঠ যে, দুই দেশের মধ্যে এক ধরনের ‘মুসলিম বিরোধী জোট’ গড়ে উঠেছে বলেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন।


ভারত-ইসরায়েল সম্পর্ক: অপ্রতিরোধ্য সামরিক জোট

১৯৯২ সালে ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হলেও, ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই সম্পর্ক যেন এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। ২০১৭ সালে মোদী ছিলেন প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ইসরায়েল সফর করেন। এর ঠিক এক বছর পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ভারত সফর করেন।

এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সামরিক, প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সহযোগিতা অভূতপূর্ব হারে বাড়তে থাকে। ভারত এখন ইসরায়েল থেকে উন্নত অস্ত্র, ড্রোন ও মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, প্রতিবছর ভারতের বিপুল সংখ্যক সৈন্য ইসরায়েলে প্রশিক্ষণ নিতে যায় এবং ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিমতীরে সামরিক অভিযানে অংশগ্রহণ করে।

বিশ্বস্ত সূত্রমতে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী IDF-এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সৈন্যরা সরাসরি জড়িত রয়েছে। এই সৈন্যদের একটি বড় অংশ আসে ভারতের মনিপুর ও মিজোরামের ইহুদি সম্প্রদায় থেকে।


ভারতে মুসলিমদের অবস্থা: তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক!

ভারতের মোট জনসংখ্যার আনুমানিক ১৫–২০ শতাংশ মুসলিম হলেও, সেনাবাহিনী ও সরকারি চাকরিতে তাদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত নগণ্য—সেনাবাহিনীতে মাত্র ২% এবং সরকারি চাকরিতে ৩%। মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য, বঞ্চনা এবং রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন যেন এক নিত্যদিনের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সম্প্রতি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মতিতে মুসলিম ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি সংক্রান্ত একটি বিতর্কিত বিল—“ওয়াক্‌ফ বিল ২০২৫” আইনে পরিণত হয়েছে। এর ফলে লাখ লাখ একর ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি দখলের পথ এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে এবং কিছু কিছু এলাকায় ইতিমধ্যেই দখলের ঘটনা ঘটছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় মুসলিমবিদ্বেষ ও গাজা নিয়ে উল্লাস!

গাজায় ইসরায়েলের চালানো হত্যাযজ্ঞের ভিডিও যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে, তখন অনেক ভারতীয় নাগরিক এই হত্যাযজ্ঞের প্রতি পৈশাচিক উল্লাস প্রকাশ করে। ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার), ইউটিউব সহ নানা প্ল্যাটফর্মে দেখা যায়, বহু ভারতীয় ব্যবহারকারী ইসরায়েল সেনাবাহিনীর সমর্থনে পোস্ট ও মন্তব্য করছেন।


মুসলিম দেশগুলোর নিরবতা ও ভারতীয় জামাই আদর

যেখানে মুসলিমরা নিজ দেশে চরম নিপীড়নের শিকার, সেখানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ভারতীয়দের রয়েছে রাজকীয় সম্মান। শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাতেই (UAE) ২৫% নাগরিক ভারতীয়। সেখানে সম্প্রতি একটি বিশাল রামমন্দির উদ্বোধন করা হয়েছে। সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, ওমান সহ প্রায় সব আরব দেশেই ভারতীয়দের প্রাধান্য, চাকরির বাজারে একচেটিয়া দখল।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারত ছিল বিশ্বের সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রাপক দেশ—মোট প্রায় ১২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকই এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো থেকে। ভারতীয় শ্রমিকরা মুসলমানদের অর্থেই দেশের অর্থনীতি সচল রাখছে, অথচ নিজ দেশে মুসলমানদেরকে পদে পদে নিপীড়ন করছে।


বাংলাদেশেও কি গাজার মতো পরিণতি অপেক্ষা করছে?

যেভাবে ভারতীয় রাজনীতি ও সমাজ মুসলিম বিদ্বেষের দিকে ধাবিত হচ্ছে, এবং যেভাবে বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট সরকার ইসলামপন্থীদের কণ্ঠ রোধ করছে, তাতে আশঙ্কা করা যায়—আমাদের ভবিষ্যতও হয়ত গাজার মতো অন্ধকারময় হতে পারে। যদি আমরা এখনই সচেতন না হই, ঐক্যবদ্ধ না হই, তবে আমাদের ভবিষ্যৎ যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।


করণীয়: এখনই সময় জেগে ওঠার!

বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত:

  • সচেতনতা বৃদ্ধি করা

  • মুসলিম সম্প্রদায়ের ঐক্য রক্ষা

  • নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে সোচ্চার হওয়া

  • ইসলামভিত্তিক শিক্ষা ও দাওয়াহকে বিস্তার করা

  • সর্বোপরি, আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা


শেষ কথা:
একটি মুসলিম হিসেবে দায়িত্ব হলো সত্য উচ্চারণ করা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং উম্মাহর পাশে থাকা। দ্বিতীয় ইসরায়েল যদি পাশেই গড়ে ওঠে, তাহলে আমাদেরও প্রস্তুত হতে হবে—শারীরিক, মানসিক, রাজনৈতিক এবং সর্বোপরি ঈমানীভাবে।


নোট: এই প্রতিবেদনটি তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট জাতি, ধর্ম বা দেশের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো উদ্দেশ্য নয়; বরং মুসলিম উম্মাহকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস মাত্র।

সঠিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের সফলতা নিশ্চিত করুন! 

মাহবুবওসমানী.কম দিচ্ছে আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট, গ্যারান্টেড SEO র‍্যাঙ্কিং, এবং প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট – সবকিছু একসাথে, ইংশাআল্লাহ্‌!

১৪+ বছরের অভিজ্ঞতা – গ্যারান্টেড SEO র‍্যাঙ্কিং
৮০০+ সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট – আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট
প্রমাণিত ফলাফল, সর্বোচ্চ ROI – প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

📩 আজই যোগাযোগ করুন এবং আপনার ব্যবসার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিন!
🌍 ভিজিট করুন: MahbubOsmane.com

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button