Crime

চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের ‘আহত গ্যাং’: সিম্প্যাথি থেকে সন্ত্রাসে রূপান্তরের অজানা কাহিনী

নিউজ ডেস্ক | https://poripurno.com

চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট, যেখানে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেখানে গড়ে উঠেছে একটি সংঘবদ্ধ গ্যাং। আহতদের প্রতি দরদ ও সহমর্মিতার সুযোগ নিয়ে কিছু কুচক্রী মহল গ্যাং তৈরি করে হাসপাতালকে কার্যত নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে। সম্প্রতি এ গ্যাংয়ের মূল দুই নেতা শরীফ ও হিল্লোলের নাম সামনে এসেছে, যারা বিভিন্ন সহিংস কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

কীভাবে ‘আহত গ্যাং’ গড়ে উঠল?

জুলাইয়ের পর দেশজুড়ে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা আর্থিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসে। চক্ষুবিজ্ঞানে থাকা আহতদের জন্য বিশাল পরিমাণ টাকা আসে বিভিন্ন সোর্স থেকে। তবে অতিরিক্ত ক্যাশ ফ্লো থাকায় অনেকে সুস্থ হওয়ার পরও হাসপাতাল ছাড়েনি। প্রভাব খাটিয়ে, কখনও হুমকি দিয়ে তারা হাসপাতালে থাকার ব্যবস্থা করে নেয়। সময়ের সাথে তারা অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার লড়াইয়ে লিপ্ত হয় এবং একপর্যায়ে নিজেদের একটি শক্তিশালী গ্রুপে পরিণত করে।

শরীফ-হিল্লোল গ্যাংয়ের অপরাধসমূহ

এই গ্যাং একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:

(১) ৪ জানুয়ারির শহীদ মিনার হামলা

এই গ্যাংয়ের সদস্যরা ৪ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের একটি সমাবেশে হামলা চালায়। একই সময় অধিকার পরিষদের একটি প্রোগ্রাম থাকায় ঘটনাটিকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে তদন্তে বেরিয়ে আসে, শরীফ ও তার অনুসারীরা সরাসরি হামলায় অংশ নেয়। বিপ্লবী পরিষদের নেতা খোমেনি এহসান দাবি করেন, হামলার পেছনে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্বশীল সার্জিস আলমের হাত রয়েছে।

(২) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে হামলা

সরকার আহতদের সহযোগিতা করছে না—এই অভিযোগ তুলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে হামলা চালানো হয়, যেখানে নেতৃত্ব দেয় শরীফ-হিল্লোল গ্যাং। পরবর্তী সময়ে সার্জিস আলম তাদের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দেয়, যার ছবি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

(৩) চক্ষুবিজ্ঞানের সামনে রাস্তা অবরোধ

একদল আহত ব্যক্তি দাবি করে, তারা পর্যাপ্ত চিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে না। তাদের দাবিকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সহমর্মিতা তৈরি হয়। কিন্তু অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, আহতদের দাবিগুলো মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে, এই অবরোধের নেপথ্যে ছিল শরীফ-হিল্লোল গ্যাং।

(৪) মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা

গ্যাং সদস্যরা মেট্রোরেল স্টেশনে পুলিশ ও কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণসহ ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে।

চক্ষুবিজ্ঞানে ‘টাকার খেলা’

শরীফ-হিল্লোল গ্যাং শুধুমাত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপেই জড়িত নয়, তারা হাসপাতালের পরিবেশও নষ্ট করছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য আসা টাকা লুটপাট, ম্যানিপুলেশন এবং জোর করে হাসপাতালে থাকার মতো অনৈতিক কার্যক্রমে লিপ্ত। বিশেষ করে, তারা প্রশাসন ও জনসাধারণের সহানুভূতিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করছে।

প্রশাসনের করণীয়

এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

  1. চক্ষুবিজ্ঞানের ‘এক্সপায়ার্ড’ আহতদের সিট বাতিল করা।
  2. গ্যাং লিডারদের আইনের আওতায় আনা।
  3. হাসপাতালে অর্থায়নের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

শেষ কথা

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনসহ অন্যান্য সংগঠন আহতদের জন্য কাজ করেছে, কিন্তু কিছু ব্যক্তির অর্থলিপ্সা ও ষড়যন্ত্রের কারণে আহতদের প্রতি জনগণের আবেগ কাজে লাগিয়ে একধরনের ‘ব্যবসা’ শুরু হয়েছে। জনগণকে সজাগ থাকতে হবে, যাতে আহতদের নাম ব্যবহার করে কোনো গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে না পারে। বিপ্লব ও আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালানো হলে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

📢 আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন এবং শেয়ার করুন।

সঠিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের সফলতা নিশ্চিত করুন! 

মাহবুবওসমানী.কম দিচ্ছে আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট, গ্যারান্টেড SEO র‍্যাঙ্কিং, এবং প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট – সবকিছু একসাথে, ইংশাআল্লাহ্‌!

১৪+ বছরের অভিজ্ঞতা
৮০০+ সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট
প্রমাণিত ফলাফল, সর্বোচ্চ ROI

📩 আজই যোগাযোগ করুন এবং আপনার ব্যবসার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিন!
🌍 ভিজিট করুন: MahbubOsmane.com

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button