সিজদার শক্তি: এক বিস্ময়কর ঘটনা!

newsonmo April 1, 2025

0 31 1 minute read

সিজদার শক্তি: এক বিস্ময়কর ঘটনা

একজন যুবক নবীজি ﷺ-এর কাছে এসে জানতে চাইলেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ! মানুষের জন্য সবচেয়ে সম্মানজনক কাজ কোনটি?”

নবী ﷺ বললেন, “সিজদা করা, কারণ এই একটি কাজের মাধ্যমে বান্দা তার প্রভুর সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়।” (সহিহ মুসলিম: ৪৮২)

সিজদার মর্যাদা ও জিবরাঈল (আ.) এর ঘটনা

জিবরাঈল (আ.) হচ্ছেন ফেরেশতাদের প্রধান, যিনি ৬৫০টি ডানা নিয়ে আকাশ ও জমিনের মাঝে আল্লাহর আদেশ বহন করেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী ﷺ বলেছেন:

“আমি যখন মিরাজে গেলাম, তখন এমন এক স্থান অতিক্রম করলাম, যেখানে জিবরাঈল (আ.) থেমে গেলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘হে জিবরাঈল! আপনি কি এখানে থেমে গেলেন?’ তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি যদি এর পর আরেক ধাপ সামনে এগোই, তাহলে আমার ডানা পুড়ে যাবে। কিন্তু আপনি আপনার সিজদার বরকতে আরও সামনে যেতে পারেন।’” (বায়হাকি, দালায়িলুন নুবুওয়াহ: ২/৩৯৯)

একটি বান্দার সিজদা এবং আরশের নিকটবর্তী হওয়া

একদিন মদিনার এক বৃদ্ধ সাহাবি রাতে তাহাজ্জুদে দীর্ঘ সিজদা করছিলেন। ফজরের সময় নবীজি ﷺ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “রাতভর কী করছিলেন?”

তিনি বললেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি সিজদায় পড়ে ছিলাম, আমার মনে হচ্ছিল যেন আমি আল্লাহর আরশের খুব কাছাকাছি আছি।”

নবীজি ﷺ হাসলেন এবং বললেন, “হ্যাঁ, সিজদার দ্বারা বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়।” (সহিহ মুসলিম: ৪৮২)

সিজদার শক্তি ও আমাদের করণীয়

আজকের দিনে, আমরা কি সত্যিই সিজদার শক্তি ও মর্যাদা বুঝতে পারি? যখন একজন বান্দা একান্তভাবে আল্লাহর সামনে সিজদায় পড়ে, তখন সে এমন এক স্থানে পৌঁছে যায়, যেখানে জিবরাঈল (আ.) পর্যন্ত যেতে পারেননি।

উপসংহার

সিজদা শুধু নামাজের অংশ নয়, বরং এটি আল্লাহর সাথে বান্দার গভীর সম্পর্কের প্রতীক। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিনের নামাজে সিজদাকে দীর্ঘ করা এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা।