World

ভারতের পানাগড় এয়ারবেসে যুদ্ধবিমান মোতায়েনের প্রস্তুতি: বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে।

 

📍 নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২৫

সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার পানাগড় এয়ারফোর্স স্টেশন-এ ব্যাপক নির্মাণ ও আধুনিকায়নের চিত্র ধরা পড়েছে। বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে মাত্র ১১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ঘাঁটিতে ভারতীয় বিমানবাহিনী (IAF) পুনরায় শক্তি বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে বলে ধারণা করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।

নতুন হ্যাংগার ও ট্যাক্সিওয়ে: যুদ্ধবিমানের উপস্থিতির ইঙ্গিত

সংশ্লিষ্ট স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, পানাগড়ে একাধিক হেভি শেল্টার (হ্যাংগার) এবং ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব হ্যাংগারের দৈর্ঘ্য ২৬ মিটার ও প্রস্থ ৩১ মিটার, যা দেখে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সেখানে রাশিয়ান নির্মিত সু-৩০ এমকেআই (Su-30MKI) মাল্টিরোল ফাইটার জেট মোতায়েনের প্রস্তুতি চলছে।

সু-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানকে ভারতের অন্যতম আক্রমণাত্মক শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর “ফ্ল্যাঙ্কার-ক্লাস” আকারের জন্য এমন হ্যাংগার আদর্শ বলে প্রতীয়মান হয়। এসব যুদ্ধবিমান আফটারবার্নার চালু অবস্থায় মাত্র ৫ মিনিটেরও কম সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে, যা বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এক নতুন মাত্রা যোগ করছে।

পূর্বাঞ্চলে ভারতের সামরিক সক্রিয়তা বাড়ছে

ভারত ইতোমধ্যে জোরহাট, কালাইকুন্ডা, আগরতলা ও হাসিমারা–এয়ারবেসগুলোতে সক্রিয়ভাবে সামরিক তৎপরতা চালিয়ে আসছে। পানাগড়কে একটি ফুল-স্কেল যুদ্ধবিমান ঘাঁটিতে রূপান্তরিত করার পদক্ষেপ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল—বিশেষ করে রংপুর, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট—এর জন্য এক গভীর কৌশলগত হুমকি তৈরি করছে।

বিশেষ করে এই ঘাঁটিটি ১৭তম মাউন্টেন স্ট্রাইক কর্পস এবং পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের স্ট্র্যাটেজিক সাপোর্ট ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় বিষয়টি আরও গুরুত্ব বহন করছে।

রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট

বিশ্লেষকদের মতে, এই সামরিক গতিবিধির পেছনে একটি কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটও রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের সময় বাংলাদেশের রংপুর, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট অঞ্চল হয়ে ভারতের মেঘালয়ের তুরা পর্যন্ত একটি করিডোর চুক্তির আলোচনা চলছিল। বর্তমান সরকার এই আলোচনায় সরে আসায় ভারত হয়তো তা নিরাপত্তা প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখছে এবং উত্তর সীমান্তে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা জোরদার করছে।

বাংলাদেশের করণীয়: লালমনিরহাটে বিমানঘাঁটি স্থাপন সময়ের দাবি

সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশেরও উত্তরাঞ্চলে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি জোরদার করা প্রয়োজন। বিশেষ করে লালমনিরহাটের পুরনো বিমানবন্দরটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিমানঘাঁটিতে রূপান্তর করা এখন সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হতে পারে।

এছাড়া সেখানে আধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করে একটি কার্যকর কনট্রা-থ্রেট গড়ে না তুললে, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দীর্ঘমেয়াদে একটি কৌশলগত ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।


✍️ সংবাদটি প্রস্তুত করেছেন: মাহবুব ওসমান | সূত্র: Aminur Rahman, স্যাটেলাইট বিশ্লেষণ, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতামত

📰 আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন: https://poripurno.com

সঠিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের সফলতা নিশ্চিত করুন! 

মাহবুবওসমানী.কম দিচ্ছে আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট, গ্যারান্টেড SEO র‍্যাঙ্কিং, এবং প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট – সবকিছু একসাথে, ইংশাআল্লাহ্‌!

১৪+ বছরের অভিজ্ঞতা – গ্যারান্টেড SEO র‍্যাঙ্কিং
৮০০+ সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট – আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট
প্রমাণিত ফলাফল, সর্বোচ্চ ROI – প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

📩 আজই যোগাযোগ (  wa.me/+966549485900 or  wa.me/+8801716988953 ) করুন এবং আপনার ব্যবসার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিন!
🌍 ভিজিট করুন: MahbubOsmane.com

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button